ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিলে কি করা উচিত ? What should be done if loved ones suffer?

ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিলে কি করা উচিত ? আজকের আমাদের আর্টিকেলের বিষয়টি হলো এটি। আমাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই জীবনে কোনো না কোনো সময়ে কাওকে না কাওকে ভালো অবশই পেয়েছি।

আর ভালোবাসার ক্ষেত্রে কষ্ট পাওয়াটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার, কেননা ভালোবাসার মধ্যে দুঃখ, কষ্ট, খুশি ইত্যাদি প্রত্যেকটি ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে।

অনেক সময় আমরা যাদের মন প্রাণ দিয়ে ভালো বেশে থাকি তারাই আমাদের প্রচুর কষ্ট দিয়ে থাকে, আর সেই কষ্ট অনেকটাই বেশি অনুভব হয়ে থাকে।

বন্ধুরা, জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে কম বেশি সবাই প্রেমে পড়ে।

মনের ক্যানভাসে আঁকা হয় কত রঙিন স্বপ্প। সব স্বপ্ন সত্যি হয় না।

কেউ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষকে পায়, কেউ পায়না। তবে জীবনে ভালোবাসার মানুষের থেকে কষ্ট প্রায় সবাই পেয়েছে।  

তেমনটা কখনোই আশা করা ঠিক নয়।

তবে নিজেদের ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে আমাদের চিন্তাধারা কিছুটা মিলে যায়।

যখন আমাদের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আমাদের মনোমালিন্য হয়, বা কোনো কথা নিয়ে কথা কাটাকাটি/ দ্বন্দ লাগে তখন যদি কেউ একজন অনিচ্ছাকৃত আঘাত দিয়ে কথা বলে, তখন কষ্ট লাগে।

আসলে কোনো কথা যেটা অচেনা মানুষের বলা আর খুব কাছের মানুষের বলা, দুটোর অনেক তফাৎ আছে। 

২)  কোনো কারনে অবহেলা করলে বা যোগাযোগ না রাখলে

 ভালোবাসার মানুষ দীর্ঘ দিন অবহেলা করুক বা একদিনের জন্য অবহেলা করুক, আঘাত দুই ক্ষেত্রেই আসে, কখনো কম কখনো বেশি।

আমরা হয়তো আমাদের সারাদিনের ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা দিনের কোনো একটা সময় বিশেষ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিই, ফোনকল, ভিডিওকল বা ম্যাসেজের মাধ্যমে।

অনেকেরই হয়তো সারাদিনের ক্লান্তি, অবসন্নতা কেটে যায় প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে।

আবার অনেকেই দীর্ঘদিনের কথা জমিয়ে রেখে একদিনে তা শেয়ার করে।

যদি আমাদের ভালোবাসার মানুষ আমাদের অবহেলা করে, ঠিকমতো ম্যাসেজের উত্তর না দেয়, ফোনকল কেটে দেয়, ব্লক করে দেয় বা দেখা হলেও কথা না বলে তাহলে আমাদের দারুন কষ্ট হয়।

বিরহ আমাদের একে অপরের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়।

হয়ে পড়ি, কাছের বন্ধুদের ফোন করে নিজেদের কষ্ট গুলো শেয়ার করি,

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা নিজেদের জীবনের যত ঘটনা অপরকে জানাবো, কখনো না কখনো তারা আমাদের এই দুর্বলতা গুলোর সুযোগ নিয়ে আমাদেরকে আঘাত করবে।

আমাদের নিজেদেরকেই নিজেদের মনকে সামলাতে হবে।

আশ্বাস দিতে হবে, সব ঠিক হয়ে যাবে।

নিজেদের বোঝাতে হবে এই জীবন নদীর মতো। কখনো, কারোর জন্য জীবন নদী থেমে থাকতে পারে না। আমাকে একাকেই চলতে হবে। 

৪) একে অপরের ওপর বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করতে হবে

এই জাতীয় ঘটনা ঘটলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো একটি ছোটো ঘটনা বা ভুল ঘটেছে যা নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসের সৃষ্টি করছে, হয়তো দেখা যাবে আমাদের উল্টোদিকের মানুষটা আমাদের আঘাত দিয়ে নিজেও কষ্ট পেয়েছে, তাহলে এই কষ্ট ক্ষণস্থায়ী হবে।

এই আঘাত ভালোবাসার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে।

তবে কখনোই নিজেদের মধ্যে কোনো অবিশ্বাস রাখা চলবে না। অনেকক্ষেত্রে যে আঘাত দেয় উপশম সেই করে।  

৫) বিশ্বস্ত বন্ধুদের কাছে নিজের দুঃখ শেয়ার করতে পারা যেতে পারে

দুঃখের কথা ভাগ করে নিলে দুঃখ কমে না তবে তার প্রভাব অনেকটা কমে।

তাই দুঃখের কথা, সেই সব লোকেদের কাছেই বলা উচিত যারা  দুঃখ বা কষ্ট নিয়ে হাসি-মজা-ঠাট্টা করবে না।

তারা দুঃখের দিনে আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে, সাহস যোগাবে, মনোবল বৃদ্ধি করবে।

একটি প্রবাদ আছে, “দুঃখের দিনেই প্রকৃত বন্ধু চেনা যায়”।

তাই নিজেদের কষ্ট নিজেদের খুব বিশ্বস্ত কারোর সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে।

হয়তো দেখা যাবে সেই বন্ধুটি আজীবনের সব দুঃখ কষ্ট সমান ভাগে ভাগ করে নিতে পারে অথবা তার মধ্যস্থতাতেই ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটা আবার জোড়া লেগে গেল।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম, “ভালোবাসার মানুষ কি কি কারণে কষ্ট দিয়ে থাকে” এবং “ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিলে কি করা উচিত“.

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে অবশই শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।



আমার নাম মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ । আমি এই ওয়েবসাইট এর প্রতিষ্ঠাতা। পেশায় আমি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং ব্লগিং আমার প্যাশন। আমি এই সাইট এ ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইংরেজি নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করি এং আর্ন মানি অনলাইন বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট করে থাকি। এই সাইট এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাতে কোয়ালিটি কনটেন্ট প্রকাশ করা যা সাইট এর ভিসিটার দের কাজে লাগে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.