কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ || Canada work Permit Visa 2023 | জুয়েল আহমদ | Muhammed Juwel Ahmed




আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ । কেমন আছেন প্রিয় ভিজিটর আশা করি ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । আজকে আপনাদের সাথে কথা বলবো কিভাবে Canada Work Permit ভিসা পাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্যগুলো : 
🎗️ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা :- 

প্রথমে চলুন জেনে নেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হলে কোন দুটি ডকুমেন্টস আমাদের লাগবে।।
প্রথমে যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে একটি কানাডিয়ান স্টাইল কাভার লেটার। আর দ্বিতীয় যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে একটি সিভি। সেটিও হতে হবে কানাডিয়ান স্টাইল।।

তাহলে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট বা জব ভিসা করার জন্য আপনাকে দুটি ডকুমেন্টস লাগবে। ডকুমেন্টস দুটি হল:

1. কভার লেটার
2. সিভি

দায়সারা ভাবে একটি সিভি বা কাভার লেটার তৈরি করলে হবে না। এই সিভি বা কাভার লেটার তথ্য সমৃদ্ধ হতে হবে এবং দেখতে আকর্ষণীয় হতে হবে। আবার আপনাকে ফলো করতে হবে কানাডিয়ান স্টাইল।।

🎗️ কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং :- 

১. পাসপোর্ট ✅

প্রথমে যে ডুকুমেন্টস টা লাগবে সেটা হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট। মনে রাখবেন আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস। ছয় মাসে বলতে বুঝাচ্ছি মিনিমাম মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস আর যদি ম্যাক্সিমাম থাকে তাহলে সবচেয়ে ভালো।

২. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ✅

কানাডায় জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য দ্বিতীয়ত যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা। আর এই ছবি গুলো প্রিন্ট করে নিবেন ম্যাট পেপারে।

৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা বা, Educational Certificate ✅

তৃতীয় যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে Educational Certificate বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে একমাত্র ক্যানাডিয়ান D ক্যাটাগরির ভিসা ছাড়া সব প্রোগ্রাম এর শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। তাই যারা বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেন আমারতো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই আমি কি কানাডা'র জন্য আবেদন করতে পারবো কিনা।

তাদের উত্তরে বলব শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া আপনি শুধুমাত্র ক্যানাডার D categor ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে। 

তারা সাধারণত বলে থাকেন কানাডা D ক্যাটাগরি ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে না। কিন্তু তারা এর সাথে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে সেটি হচ্ছে আপনাকে ইংরেজি বুঝতে হবে ইংরেজিতে বলতে পারতে হবে। এখন আপনি চিন্তা করে দেখুন যে ইংরেজি বলতে পারে ইংরেজি বুঝতে পারে সে কি কখনো অশিক্ষিত হতে পারে?

এসব বিষয়ে না জেনে আপনারা আবেদন করে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।প্রথমে দেখুন আপনার সত্যিকার অর্থেই ক্যানাডার বিভিন্ন প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা আছে কিনা।

৪. অভিজ্ঞতার সনদপত্র ✅

চতুর্থ যেই ডকুমেন্ট লাগবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য সেটি হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতার সনদপত্র। আপনি অনলাইনে আবেদন করে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন সেই ওয়ার্ক পারমিটের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা আপনার আছে কিনা সেটা আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে।

মনে রাখবেন কানাডা জব ভিসার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সনদপত্র না লাগলেও আপনাকে অবশ্যই এক বছরের অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। তাই আমি আপনাদেরকে বলবো যে অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই। যাদের কাজের অভিজ্ঞতা আছে তারা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অনেক এগিয়ে থাকবেন।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আমার পাশের বাড়ির অমুক কত বছর কানাডা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গিয়েছে তার তো কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা!

এক্ষেত্রে বলব সে অবশ্যই কোন না কোনভাবে এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছি সেটা হয়তো আপনি জানেন না।

৫. ফিনান্সিয়াল রিসোর্স বা ব্যাংক ব্যালান্স ✅ 

ফিনান্সিয়াল বা আপনার ব্যাংক ব্যালান্স দেখানোর জন্য আপনাকে একটা ব্যাংক স্টেটমেন্ট করতে হবে। কানাডায় আপনি আপনার ফ্যামিলি নিয়ে যাবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। কোনো কারণে যদি আপনি কোন ডিফিকাল্টি পরিস্থিতি পড়েন তাহলে আপনি যেন ক্যানাডায় আপনার পরিবারের ভরণপোষণ দিতে পারেন সেই কারণে আপনাকে একটি ফান্ড দেখাতে হবে।

আপনার ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে যাতে কানাডায় আপনি আপনার ফ্যামিলি নিয়ে খুব স্মুথলি ওখানে লাইফ লিড করতে পারেন।

যদি আপনার ব্যাংক ব্যালান্স দেখানোর বা পর্যাপ্ত অর্থের সমস্যা থাকে তার জন্য একটি মাত্র বিকল্প প্রোগ্রাম এই মুহূর্তে আছে। সেটি হচ্ছে এসআইএনপি প্রোগ্রাম 21A2 । এখানে কোন ফান্ড দেখাতে হয় না। এখনে ব্যাংক ব্যালান্স দেখাতে হয় না।

যদি তাদের ব্যাংক ব্যালেন্সের সমস্যা আছে যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই তারা আগে থেকেই চোখ কান খোলা রেখে ওই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করবেন যেই প্রোগ্রামে কোন ফান্ড করতে হয় না।

৬. স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্র ✅

ষষ্ঠ নাম্বার যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্র। কানাডার নির্ধারিত হেলথ চেকআপ সেন্টারে আপনাকে হেলথ চেকআপ করতে হবে এখানে তারা দেখবে আপনি কাজের জন্য ফিট কিনা। আপনার কোন বড় রকমের রোগ আছে কিনা যেগুলো কাজের ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে। হেপাটাইটিস বা অন্য কোন ছোঁয়াচে রোগের আক্রান্ত কিনা।

কেউ যদি মনে করেন যে আমার এসব রোগ আছে বাট আমি টাকা পয়সা দিয়ে একটা হেল্থ সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে ক্যানাডা চলে যাব, তাহলে সেটি সম্পূর্ণ রূপে একটি ভুল ধারণা। 

৭.ভিসা পে রশিদ ✅

সপ্তম যে ডকুমেন্ট লাগবে সেটি হচ্ছে আপনি যে ভিসা ফি জমা দিয়েছেন সেই ভিসা ফি জমা দেওয়ার রশিদ। প্রমাণ ছাড়া কোন কথা নেই! সো আপনাকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ সাথেই রাখতে হবে।

৮.পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ✅

কানাডা জব ভিসা পাওয়ার জন্য অষ্টম যে বিষয়টি লাগবে সেটি হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি আপনার নিজ দেশে গুরুতর কোন অভিযোগে অভিযুক্ত নয়। আপনি যে ক্রাইম এর সাথে জড়িত নয় এর সব প্রমাণ স্বরূপ অবশ্যই আপনাকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কোথা থেকে নিব? আপনার থানা বা পুলিশ স্টেশনে আবেদন করে আপনাকে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।

অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেওয়া যায় নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে। যদি আপনি অনলাইনে পারদর্শী হন তাহলে আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় যেতে হবে না আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

একটি ভিসা বের করতে ৮-১০ মাস সময় লেগে যায়। তাই যারা আবেদন করবেন। ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে। এক সময় সফলতা আসবে।।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.