Linux কি এবং এর ইতিহাস – (What is Linux in Bangla) Muhammed Juwel Ahmed |
এখন হয়তো আপনিও ভাবছেন যে, “Linux কি” (What is Linux) এবং কেন লিনাক্স ব্যবহার করা হয় ?
তবে চিন্তা করবেননা, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের লিনাক্স (Linux) এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দিবো।
আসলে, লিনাক্স হলো একটি অনেক জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম (operating system) যেটাকে, “gadgets”, “smartphones”, “cars”, “supercomputers” এবং প্রচুর “home appliances” গুলোতে ব্যবহার করা হয়।
তাই, এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম প্রায় প্রত্যেক জায়গায় রয়েছে বললে আমি ভুল হবোনা।
আর, আমাদের মধ্যে প্রায় প্রচুর লোকেরা প্রত্যেক দিন এই Linux OS এর ব্যবহার করে থাকি যদিও এর বিষয়ে আমরা বুঝতে পারিনা।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম (Linux OS) আমাদের সাথে প্রায় ৩০ বছর থেকেও অধিক সময় থেকেই আছে।
লিনাক্স এর ইতিহাস দেখতে গেলে, ৯০ এর দশকে (90s) লিনাক্স আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম চলে আসে।
আর প্রায় তখন থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন electronic device এবং computer device গুলোতে লিনাক্স এর ব্যবহার হয়েই চলেছে।
তাহলে চলুন, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কি বিষয়টা বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Linux কি ? What is Linux in Bangla
যেকোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইস শুরু হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সব থেকে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে একটি অপারেটিং সিস্টেম (OS).
Operating system আসলে একটি system software যার কাজ হলো আপনার কম্পিউটার এর hardware এবং software components গুলোকে পরিচালনা (manage) করা।
কম্পিউটার এর মেমোরির মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম লোড হওয়ার পর, কম্পিউটারে উপলব্ধ থাকা তথ্য (information) এবং ডাটা (data) গুলোর ভিত্তি করে নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
আর, যেভাবে Windows এবং Mac অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, ঠিক সেভাবেই Linux একটি অপারেটিং সিস্টেম যেটাকে Linux kernel এর ওপরে based করে তৈরি করা হয়েছে।
Linux একটি open source software আর তাই এটা সম্পূর্ণ ফ্ৰী operating system যেটাকে জেকেও ব্যবহার করতে পারবেন।
যেকোনো user ফ্রীতে ইন্টারনেট থেকে নিয়ে Linux coding modify করে সেটাকে ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তৈরি করতে পারে।
Unix operating system এর একটি অনেক বিখ্যাত ভার্সন হলো “Linux“.
Linux Os open source হওয়ার কারণে প্রচুর developers রা একে নিজের প্রয়োজন হিসেবে customize করে নিতে পারেন।
এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম মূলত বিকশিত করা হয়েছিল personal computer গুলোর জন্য।
তবে, পরের সময়ে বিভিন্ন অন্যান্য platforms গুলো যেমন, smartphone, smart TV, gaming console ইত্যাদি গুলোতেও এই অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার করা শুরু হলো।
Linux OS অনেক বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয় supercomputer গুলোর ক্ষেত্রে।
দেখা গেছে যে এই Linux OS বিশ্বের top 500 সুপার কম্পিউটার গুলোর মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
এমনিতে সাধারণ personal computer গুলোতেও এই Linux OS ব্যবহার করা হয় যদিও Windows বা অন্যান্য OS এর তুলনায় প্রচুর কম পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
Linux এর মালিক কে ?
যিহেতু Linux একটি open source license এর সাথে উপলব্ধ রয়েছে তাই এটাকে জেকেও সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে, Linux নামের trademark অবশই এর সৃষ্টিকর্তা Linus Torvalds এর কাছেই থাকছে যিনি একজন software engineer ছিলেন।
এমনিতে, Linux OS এর source code এর copyright একাধিক লেখক দের কাছেই রয়েছে।
আর তাই, সম্মিলিতভাবে Linux কে GPLv2 license এর অন্তর্গত রাখা হয়েছে।
লিনাক্স এর ইতিহাস – History of Linux
১৯৯১ সালে Linus Torvalds দ্বারা Linux তৈরি করা হয়েছিল। তিনি একজন Finnish-American software engineer.
কেবল 21 বছর বয়েসে যখন তিনি কেবল একজন ছাত্র ছিলেন তখনি Linux এর Master’s thesis লিখেছিলেন।
তখন থেকে এখন পর্যন্ত Linux Kernel নরন্তরে বিকশিত হতেই থাকে।
১৯৯১ সালে computer science নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকা কালীন তিনি একটি project এর ওপরে কাজ করতে শুরু করলেন যেটা পরে গিয়ে Linux kernel হয়ে দাঁড়ালো।
সর্বপ্রথমে এর নাম রাখা হয় “Freax” তবে পরে গিয়ে এর নাম “Linux” হিসেবে রাখা হয়েছে।
Windows এবং Linux এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
- Linux হলো একটি open source operating system যেটাকে জেকেও ফ্রীতে ব্যবহার ও মোডিফাই করতে পারে। তবে, Windows কিন্তু open source operating system না তাই এটার license কিনে ব্যবহার করতে হয়।
- Windows এর মধ্যে অনেক আলাদা আলাদা ড্রাইভ (C, D, E, F) থাকে যেগুলোতে প্রচুর ফোল্ডার রাখার সুবিধা পাওয়া যায়। তবে, লিনাক্স এর মধ্যে কোনো ড্রাইভ সরাসরি দেখানো হয়না।
- Windows এর মধ্যে Guest, Standard, Administrator এই ধরণের ৩ টি user account থাকে। কিন্তু, লিনাক্স এর ক্ষেত্রে regular, root এবং service account থাকে।
- Command / coding এর প্রয়োজন এর ফলে একজন সাধারণ ব্যক্তির জন্য লিনাক্স ব্যবহার করাটা অনেক সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু, উইন্ডোজ এর ক্ষেত্রে কোনো command বা coding এর ব্যবহার করতে হয়না।
- Windows operating system কেবল single user এর জন্য থাকে, তবে Linux OS multi-user সাপোর্ট করে থাকে।
- Linux এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় monolithic kernel, কিন্তু Windows এর ক্ষেত্রে micro kernel ব্যবহার হয়ে থাকে।
- Windows এর তুলনায় Linux OS অনেক সুরক্ষিত (secure) কারণ এখানে virus আক্রমণ এর সুযোগ অনেক কম।
- Personal computer গুলোতে Windows OS অধিক বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এর আধুনিক features এবং সরলতার জন্য। তবে, developers, coders, supercomputers, programmers, defense এবং government organization গুলোর দ্বারা Linux ব্যবহার করা হয়।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য – (Features of Linux OS)
- Portable – Portability মানে হলো এই সফটওয়্যার প্রত্যেক রকমের hardware এর মধ্যে সমান ভাবেই কাজ করতে পারবে। Linux kernel এবং application programs গুলো প্রায় প্রত্যেক hardware platforms গুলো support করে।
- Open Source – Linux source code freely available রয়েছে এবং এটা একটি community based development project. Multiple teams গুলো সহযোগিতা (collaboration) করে কাজ করে থাকে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে।
- Multi-User – Linux একটি multiuser system যার মানে হলো, বিভিন্ন system resources যেমন memory/ ram/ application programs গুলোকে multiple users দ্বারা একসাথে এক্সেস করা যেতে পারে।
- Multiprogramming – Linux হলো একটি multiprogramming system যেখানে multiple applications গুলো একসাথেই run হতে পারে।
- Hierarchical File System – Linux একটি standard file structure প্রদান করে থাকে যেখানে system files / user files গুলোকে সহজেই সাজানো (arranged) হয়।
- Shell – Linux এর মধ্যে একটি বিশেষ interpreter program রয়েছে যার মাধ্যমে operating system এর commands গুলোকে execute করা যেতে পারে। এটার ব্যবহার বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপ গুলো করা সম্ভব। যেমন, application programs গুলোকে call করার জন্য ইত্যাদি।
- Security – Linux তার user দের অনেক ভালো রকমের security features প্রদান করে থাকে। যেমন, কিছু নির্দিষ্ট ফাইল এর মধ্যে password protection/ controlled access এবং encryption of data প্রদান করা।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর বিশেষত্ব
- Hardware layer − এই hardware এর মধ্যে peripheral devices (RAM/ HDD/ CPU ইত্যাদি) গুলো রয়েছে।
- Kernel − ইটা OS এর একটি মূল উপাদান (core component) যেটা hardware এর সাথে directly interact করে থাকে। এছাড়া, upper layer components গুলোকে low level services প্রদান করে থাকে।
- Shell − Shell সহজে user থেকে commands নিয়ে বা গ্রহণ করে kernel’s functions গুলোকে এক্সেকিউট (executes) করে।
- Utilities − এটা হলো এমন একটি Utility programs যেটা ইউসার কে একটি operating systems এর বেশিরভাগ functionalities গুলো প্রদান করে থাকে।
Linux distribution মানে কি ?
Linux distribution গুলো হলো open source Linux operating system এর একটি version যেখানে অন্যান্য প্রচুর components গুলোকে যোগ করা হয়। যেমন, installation programs, management tools এবং কিছু software ইত্যাদি।
কিছু জনপ্রিয় ও বিখ্যাত লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন গুলো হলো –
- MX Linux
- Manjaro
- Linux Mint
- Ubuntu
- Debian
- Fedora
- Elementary OS
এগুলোর বাইরেও আরো অন্যান্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন গুলো অবশই রয়েছে।
আজকে আমরা কি শিখলাম,
তাহলে বন্ধুরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের বললাম যে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কি (What is Linux Operating System). আশা করছি Linux কি এবং লিনাক্স নিয়ে সম্পূর্ণ বিষয় গুলো আপনারা বুঝতেই পেরেছেন।
লিনাক্স হলো একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যেটাকে আপনিও চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন।
Linux distributions গুলোকে ডাউনলোড করার জন্য আপনারা এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে – https://www.linux.org/pages/download/
User রা তাদের চাহিদা হিসেবে আলাদা আলাদা লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন গুলো ডাউনলোড করে থাকেন।
আপনি যদি একটি ভালো লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম নিজের কম্পিউটারের জন্য ডাউনলোড করতে চাইছেন তাহলে “Ubuntu” ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করছি, about Linux OS in Bangla নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে।
আর্টিকেল ভালো লাগলে অবশই শেয়ার করতে ভুলবেননা।
কোন মন্তব্য নেই