পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় – (সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ) Muhammed Juwel Ahmed |


পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় ? কি কি দেখবেন ? বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক কাজকর্মের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমত অবস্থায় স্টেবল ইন্টারনেট কানেকশন থাকার পাশাপাশি একটি অ্যাক্টিভ ল্যাপটপ থাকা আবশ্যক।

স্মার্টফোন বা কম্পিউটার নয় কারণ, ল্যাপটপ অধিক পোর্টেবল হওয়ার সাথে সাইজেরও বড়।

ফলে রিমোর্ট মোডে যেকোনো স্থান থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে অধিক সুবিধা প্রদান করে।

এছাড়া কিছু কোম্পানি আছে যারা তথাকথিত ‘ওয়ার্ক আওয়ার’ -এর পরও কর্মচারীদের বিভিন্ন রকমের টাস্ক পারফর্ম করার আবেদন করে থাকে, যা ল্যাপটপ ভিন্ন সম্ভব হয়না।

কিন্তু এক্ষেত্রে সকলের কাছেই একটি ল্যাপটপ বিদ্যমান আছে এই আশা করা যায় না।

কেননা একটি ভালো মানের ল্যাপটপের দামই শুরু হয় প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা থেকে।

ফলে অনেকেই একসাথে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা খরচ করতে রাজি হন না বা তাদের কাছে এতটা বাজেট থাকে না।

আপনার পরিস্থিতিও যদি অনুরূপ হয়, তবে আমরা আপনাকে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড অথবা ‘রিফারবিশড’ (সংস্কারকৃত) ল্যাপটপ কেনার পরামর্শ দেব।

এগুলি দামেও কম এবং দৈনন্দিক হালকা কাজ করার জন্য আদর্শ বিকল্প।

বিশেষত হালফিলে কম্পোনেন্টের অভাব ও চিপসেটের ঘাটতির কারণে যেভাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে, তাতে হালকা কাজকর্ম করার জন্য হাজারো টাকা ব্যয় করে ল্যাপটপ কেনার কোনো মানেই হয় না।

কিন্তু একটি ব্যবহৃত বা সংস্কারকৃত ল্যাপটপ কেনার আগে, সেটিতে আপনার চাহিদা অনুরূপ ফিচার আছে কিনা বা বিক্রেতা আপনাকে ভালো ডিভাইস দিচ্ছে কিনা তা বুঝতে হবে আপনাকে।

যদি এই বিষয় সম্পর্কে আপনার বিশদ জ্ঞান না থেকে থাকে তবে আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে পুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে কী কী করণীয় তা জেনে নিন।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কি ?

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়
How to buy a second hand laptop in Bengali ?

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কী কী করণীয় ? এই বিষয়ে আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই জেনেনিতে চাইছেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে তেমন বিশেষ কিছুই করতে হয়না।

হ্যা, অবশই আপনাকে হাতে কিছু সময় কিছু খুঁটি নাটি বিষয় গুলো যাচাই করে দেখতে হবে।

পুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে কোন বিষয় গুলো দেখতে হবে ? নিচে একে একে বলে দেওয়া হয়েছে।

একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে নিচে বলা এই বিষয়গুলি অবশ্যই বিবেচনা করুন :

১. সর্বদা অনলাইন রিভিউ দেখে নিন – (Always Check Online Reviews)

যেকোনো ধরনের গ্যাজেট বা জিনিসপত্র কেনাকাটা করার আগে অনলাইনে (ফেসবুক, ব্লগ, কাস্টমার ফোরাম, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদিতে) কাস্টমার রিভিউ অবশ্যই চেক করুন।

কারণ এই পন্থা অবলম্বনে আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন ব্যবহারকারীরা আপনার পছন্দের ল্যাপটপটির সম্পর্কে কীরূপ ফিডব্যাক প্রদান করেছে।

এছাড়াও একটি প্রোডাক্টের যাবতীয় প্লাস পয়েন্ট এবং কমতিগুলির সম্পর্কে অবহিত হওয়ার এটি সর্বোত্তম উপায়, যা দেখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে নির্বাচিত মডেলটি আপনার চাহিদা পূরণে সমর্থ কিনা।

তদ্ব্যতীত, আপনি যেই ল্যাপটপটি কিনবেন ভাবছেন সেটির সম্পর্কে যদি একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে থাকে, তবে কেনার আগে একবার ভেবে দেখুন।

তবে যদি দেখেন গ্রাহক এমন একটি অসুবিধা কথা হাইলাইট করছেন যা কয়েকটি সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করার মাধ্যমে সহজে সমাধান করা যেতে পারে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই।

২. ট্রানজ্যাকশন প্রুফ দেওয়ার দাবি করুন – (Ask for a Transaction Proof)

বিক্রেতার যেই ল্যাপটপটি বিক্রি করছে সেটি ‘জেনুইন’ বা আসল কিনা তা যাচাই না করে ভুলেও কিনবেন না।

এই পরিস্থিতিতে, আপনি বিক্রেতার কাছে একটি অনলাইনে ট্রানজ্যাকেশনের প্রুফ বা রশিদ প্রমাণস্বরূপ চাইতে পারেন।

যদি বিক্রেতা এই দুটি বিকল্প দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ল্যাপটপের প্রকৃত মালিকের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে বা তার কোনো লিখিত স্টেটমেন্ট আছে কিনা সেলিং বিষয়ে তা দেখাতে বলুন।

বিক্রেতা যদি এই কাজটিও না করতে চায় তবে, প্রোডাক্টের রিটেল বক্সে প্রদত্ত সিরিয়াল নম্বরের সাথে ল্যাপটপের সিরিয়াল নম্বরটি মিলিয়ে দেখতে পারেন। এই পদক্ষেপগুলি নিতে বলা হচ্ছে কারণ, বিভিন্ন দোকানে অনেক সময়ে চোরাই জিনিসপত্রও বিক্রি করা হয়।

৩. কোনও গভীর স্ক্র্যাচ আছে কিনা নিশ্চিত করুন

একটি ব্যবহৃত বা সংস্কারকৃত ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে, সবথেকে আগে দেখে নিন সেটির বডিতে কোনও গভীর স্ক্র্যাচ বা ডেন্ট আছে কিনা।

তবে যেহেতু ল্যাপটপটি কিছু সময় পর্যন্ত অন্যের মালিকাধীন ছিল, সেহেতু হালকা কয়েকটি স্ক্র্যাচ থাকা খুবই স্বাভাবিক।

আর খুব বেশি স্ক্র্যাচ থাকলেও যদি আপনার আপত্তি না থাকে, তবে আপনি এই বিষয়টিকে অজুহাত বানিয়ে দর কষাকষি করে আরো সস্তায় কিনতে পারেন এই জাতীয় ল্যাপটপ।

তবে হ্যাঁ, যদি দেখেন ল্যাপটপের বাহ্যিক বডিতে থাকা স্ক্র্যাচ এবং ডেন্টগুলি বেশ গভীর এবং তীক্ষ্ণ হয় তবে বুঝতে হবে ল্যাপটপটি হয়তো কিছু অভ্যন্তরীণ ক্ষতি বা ইন্টারনাল ড্যামেজ হয়েছে।

তাই কেনার আগে পুনরায় চিন্তা করুন।

আর আপনি যদি অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে একটি রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা করেন, তবে – Amazon, Snapdeal, বা eBay এর মত সার্টিফাইড সাইট থেকেই কিনুন।

৪. ডেড পিক্সেল আছে কিনা দেখতে ডিসপ্লে চেক করুন

স্ক্রিন হল ল্যাপটপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তাই স্পষ্টতই আপনি ল্যাপটপটি বাড়ি নিয়ে আসার পর যদি দেখেন ডিসপ্লের কয়েকটি অংশ সঠিকভাবে কাজ করছে না, তবে নিজের সিদ্ধান্তে নিজেকেই পচতাতে হবে।

কেননা টাইট বাজেটের দরুন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার পর তার ডিসপ্লে খারাপ বেরোনোর মতো হতাশাজনক বিষয় সত্যিই আর কিছু হতে পারে না।

তাই ডিসপ্লে টেস্টিংয়ের জন্য আপনাকে, কয়েক মিনিটের জন্য ল্যাপটপটি চালু রাখতে হবে এবং তারপর ডিসপ্লেটিকে মনোযোগ দিয়ে দেখুন।

ডেড পিক্সেল থাকলে তা বেশ স্পষ্টভাবে নজরে পড়বে।

ল্যাপটপে কোনো প্রকারের ছোট-বড় স্পট উপস্থিত থাকলে ভাববেন তা ডেড পিক্সেল।

অথবা দ্বিতীয় উপায় হল, আপনি “ডেড পিক্সেল চেক” লিখে গুগল সার্চ করুন এবং সার্চ রেসাল্টে যেই সফ্টওয়্যারটি আসবে সেটির মাধ্যমে ল্যাপটপে ডেড পিক্সেল আছে কিনা পরীক্ষা করুন। এটি হল সর্বোত্তম উপায়।

আজকাল বিনামূল্যে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন এবং অনলাইন সলিউশনগুলির সাহায্যে খুব সহজে এই সকল কাজ করা যায়৷

৫. সিপিইউ, জিপিইউ, র‌্যাম ও ডিস্ক পারফরম্যান্স টেস্ট করুন

সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার আগে, ল্যাপটপের কনফিগারেশন অবশই দেখে নিবেন।

আজকাল ল্যাপটপের মধ্যে প্রায় সকলেই মাল্টিটাস্কিং করা পছন্দ করে।

তাই একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার সময়ও আপনি হয়তো তাতে বিবিধ ধরণের মাল্টিটাস্কিং করার আশা রাখবেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল, আপনার দ্বারা নির্বাচিত পুরাতন ল্যাপটপটি কি এই সকল ‘প্রেসার’ নিতে সক্ষম ?

কেননা ল্যাপটপ যত পুরোনো হয়, তার পারফরম্যান্সও প্রভাবিত হতে থাকে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড পোর্টেবল কম্পিউটার ধীর হতে শুরু করেছে, তবে একদম আতঙ্কিত হবেন না!

হয়তো অতিরিক্ত প্রোগ্রাম সুইচ করার দরুন এমনটা হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে আপনাকে খারাপ ডিভাইস দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু যদি দেখেন আপনার ল্যাপটপ খুবই স্লো হয়ে গেছে বা ক্ষনে ক্ষনে ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে, তবে কয়েকটি বিষয় চেক করে নিন।

ল্যাপটপের সিস্টেম ধীর হয়ে যায় দুটি প্রধান কারণে – র‌্যাম মেমরির ক্যাপাসিটি এবং ডিস্ক ক্যাশে/ডিস্ক স্টোরেজ স্পেস।

তাই একটি ব্যবহৃত বা সংস্কার করা কম্পিউটার কেনার আগে কয়েকটি বেসিক মাল্টিটাস্কিং করে পরীক্ষা করে নিন।

পারফরম্যান্স সন্তোষজনক কিনা তা পরীক্ষা করতে, প্রথমে প্রায় দশ মিনিটের জন্য ল্যাপটপটি ব্যবহার করুন।

একাধিক ব্রাউজার উইন্ডো এবং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন খোলার চেষ্টা করুন।

এরপর, মাল্টিটাস্ক করার চেষ্টা করুন এবং অ্যাপগুলির মধ্যে টগল করুন।

যদি ল্যাপটপটি বুট হতে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় নেয়,

তবে বুঝবেন হয়তো কোনও হার্ড ড্রাইভ সমস্যা রয়েছে যা সিস্টেম স্লো করার নেপথ্যে আছে।

আসলে সময়ের সাথে সাথে হার্ড ড্রাইভ ধীর হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

তবে এই ধরনের সমস্যার একটি সমাধানও আছে।

একটি ‘সলিড স্টেট ড্রাইভ’ বা SSD কেনার মাধ্যমে আপনি যেকোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের পারফরম্যান্স স্পিড বাড়াতে পারবেন।

যদিও এটা একটু ব্যয়বহুল পদ্ধতি। আর যদি বিক্রেতা দাবি করেন যে ল্যাপটপে SSD ডিস্ক ইনস্টল করা আছে,

তাহলে আপনি একটি বিনামূল্যের থার্ড পার্টি সফ্টওয়্যার ইনস্টল করে এবং একটি ডায়াগনস্টিক পরিচালনার মাধ্যমে SSD -এর প্রকৃত অবস্থা ও কর্মক্ষমতার স্থিতি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

৬. ক্যামেরা এবং অডিও কোয়ালিটি চেক করুন

আপনি যদি অফলাইনে একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড বা একটি সংস্কারকৃত ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে প্রথমেই কয়েকটি ‘ফাস্ট টেস্টিং’ পরিচালনা করুন। যেমন – ল্যাপটপের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনের মান ভালো আছে কিনা।

কারণ আপনি যদি অফিস মিটিং করার জন্য অথবা মিউজিক এডিটিং ইত্যাদির মতো কাজ করার জন্য একটি ল্যাপটপ কিনে চান,

তবে ডিভাইসে উন্নত গুণমান যুক্ত ক্যামেরা এবং অডিও ফ্রন্ট থাকা জরুরি।

তাই কয়েকটি ছবি তোলা বা একটি টেস্টিং ভিডিও কল করে বিল্ট-ইন ক্যামেরার কোয়ালিটি চেক করুন।

আবার অডিওর মান যথেষ্ট পরিষ্কার কিনে যাচাই করতে ল্যাপটপে একটি গান বা ভিডিও চালান।

৭. কী-বোর্ড চেক করুন

বেশিরভাগ সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের কী-বোর্ডেই সমস্যা থেকে থাকে।

অতএব, ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই কি-বোর্ড পরীক্ষা করে দেখুন।

এমনটা করার জন্য আপনি ল্যাপটপে ইনস্টল থাকা নোটপ্যাড বা মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের মতো ইন-বিল্ড একটি অ্যাপ খুলে কীবোর্ডের প্রতিটি কী কয়েকবার প্রেস করে কীবোর্ড পুরোপুরি সচল আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

যদি কোনো কী প্রেস করার সময় দেখেন সেটি শক্ত বোধ হচ্ছে বা প্রথম দু-তিন বার কাজ করার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,

তবে এটি সম্ভবত কীবোর্ডের কিছু অংশে ধুলো জমার জন্য এমনটা হচ্ছে যা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হবে।

তবুও এইসকল বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেবেন না। কেননা ল্যাপটপের কী-বোর্ড চেঞ্জ করা ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়, বিশেষত যখন আপনার বাজেট টাইট।

৮. সমস্ত উপলব্ধ পোর্ট টেস্ট করুন

ব্যবহৃত বা রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনার সময় সর্বদা পোর্টগুলি চেক করুন।

কেননা একটি পুরানো ল্যাপটপ কেনার পর আপনি নিশ্চই চাইবেন না যে সেটির চার্জিং বা ইউএসবি (USB) পোর্ট অকেজো থাকুক।

এছাড়াও ৩.৫মিমি জ্যাক চেক করুন, যাতে আপনি আপনার হেডফোন প্লাগ করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও – HDMI, SD কার্ড স্লট সহ অন্যান্য যাবতীয় উপলব্ধ পোর্টগুলি পরীক্ষা করে নিন।

একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপে কিরূপ স্পেসিফিকেশন থাকা আবশ্যক ?

২০২২ সালে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ইলেক্ট্রনিক্স বাজারে প্রচুর শক্তিশালী ল্যাপটপ বিদ্যমান পেয়ে যাবেন যেগুলিতে বেসিক কনফিগারেশন ছাড়াও একাধিক প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার এবং অ্যাডভান্স ফিচার রয়েছে।

কিন্তু আপনি যে একটি ব্যবহৃত বা রিফারবিশড ল্যাপটপ কিনতে যাবেন, সেগুলিতে বর্তমানের আপ-টু-ডেট স্পেসিফিকেশন নাও পেতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং এবং তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্সের চাহিদা থাকে,

তবে ন্যূনতম যেসকল ফিচার থাকা আবশ্যক সেগুলি আপনার দ্বারা নির্বাচিত ডিভাইসে আছে কিনা তা দেখে নিতে ভুলবেন না।

এরূপ কয়েকটি জরুরি স্পেসিফিকেশন যা ল্যাপটপে না থাকলেই নয় তার তালিকা নিচে দেওয়া হল –

  • ৮ জিবি বা তার অধিক র‌্যাম থাকা আবশ্যক,
  • ৩তম প্রজন্মের AMD Ryzen প্রসেসর বা কমপক্ষে ৮তম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসর সমন্বিত আছে কিনা,
  • ডিসপ্লের সর্বনিম্ন রেজোলিউশন ১৯২০×১০৮০ পিক্সেল হওয়া উচিত,
  • পারফরম্যান্সের জন্য দরকার SSD স্টোরেজের উপস্থিতি।

একটি ব্যবহৃত বা রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনা উচিত কী ?

একটি ব্যবহৃত পোর্টেবল কম্পিউটার কিনলে আপনাকে কয়েক হাজার টাকা সাশ্রয় হতে পারে।

একই সাথে, কার্বন ফুটপ্রিন্ট বা ই-বর্জ্যের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা সেকেন্ড হ্যান্ড বা সংস্কারকৃত ডিভাইস কেনার ঝুঁকি নিতে ভয় পান।

এইসকল ব্যক্তিদের বলে রাখি, ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে কোনো ব্যয় নেই, যদি আপনি সঠিক ডিভাইস চয়ন করার পদ্ধতি জেনে থাকেন।

কেননা বর্তমান সময়ে যারা সেকেন্ড-হ্যান্ড মার্কেট কীভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেন না বা একটি ‘ইউজড’ ল্যাপটপের কোন কোন বিশেষত্ব দেখে তবেই কিনতে হয় এই বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না, তাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা প্রবল।

কিন্তু আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে কী কী চেক করে নিতে হবে

তাই উপরি উল্লেখিত টিপস মাথায় রেখে সস্তায় কিনে নিন আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি!

আশা করছি, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় গুলো আপনারা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। 

আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.