অপারেটিং সিস্টেম (operating system) কি ? Muhammed Juwel Ahmed |




আপনারা কি জানেন “অপারেটিং সিস্টেম কি” বা “অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে” ? যদি আপনি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাহলে আশা করি operating system শব্দটি অবশই শুনেছেন।  (What Is Operating System In Bangla).

About Operating system in Bangla.

প্রত্যেক electronic device যেমন, computer, laptop বা smartphone কাজ করার জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম (OS) এর প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ electronic device বা computer system টির, বিভিন্ন software program এবং hardware পরিচালনা করার জন্য একটি OS (Operating System) এর উপস্থিতির প্রয়োজন।

আপনি যদি নিজের ঘরে বা অফিসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তাহলে “Microsoft Windows” শব্দটি অবশই শুনেছেন।


আসলে, Microsoft Windows হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যে সম্পূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমটিকে ইউসার (user) এর নির্দেশাবলীর (instructions) হিসেবে পরিচালনা করে।

মানে, আমাদের দ্বারা দেয়া প্রত্যেকটি নির্দেশ কম্পিউটার বা ডিভাইসটিকে বুঝিয়ে দেয়।

যেভাবে, মানুষের মধ্যে একটি মন (mind) হয়েছে, যেটা মানুষকে সব রকমের কাম কাজ করার ক্ষেত্রে পরিচালনা (operate) করে, ঠিক সেভাবেই একটি অপারেটিং সিস্টেমকে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন (smartphone) এর মন বলে বুঝে নিতে পারেন।

Smartphone এর ক্ষেত্রে, কখনো android lollipop, android kitkat আবার কখনো android Oreo. এগুলি সব একি অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণ (version).

কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আবার অনেক ধরণের আলাদা আলাদা OS বা operating system রয়েছে।


যেমন, Windows 10, Windows 7, Windows 8.1, Mac OS, Linux, Ubuntu.

এই সব ধরণের OS গুলি দেখতে এবং ব্যবহার করতে যদিও সম্পূর্ণ আলাদা, তবে এদের প্রত্যেকের একটাই কাজ।

আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলটি পরিচালনা করা।

সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং চাহিদার হিসেবে এই OS গুলি জেকেও ব্যবহার করতে পারবেন।

তাহলে চলুন, নিচে আমরা ভালো করে জেনেনেই “অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে ?” (What Is Operating System In Bangla) “অপারেটিং সিস্টেমের কিছু উদাহরণ” এবং এর কাজ এবং প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে।

অপারেটিং সিস্টেম (operating system) কি ?

অপারেটিং সিস্টেমকে “System software” বলেও বলা যেতে পারে।

এবং সাধারণ ভাবে ছোট নাম (short name) হিসেবে “OS” বলা হয়।

Operating system হলো একটি মুখ্য system software, যেটা ডিভাইসের ইউসার (user) এবং computer hardware ও software programs গুলির মাঝের (middle) ইন্টারফেস (interface) হিসেবে কাজ করে।

আসলে, ইউসারের (user) নির্দেশ হিসেবে, কম্পিউটারের প্রত্যেকটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা হার্ডওয়্যার পরিচালনা (manage) করাটাই হলো এর কাজ।

আপনার কম্পিউটারে করা বিভিন্ন ক্রিয়া (work) যেমন, অন্যান্য সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন চালানো, storage media access করা, গেম খেলা, গান শোনা, মিডিয়া প্লেয়ার চালানো এবং অন্যান্য সব ধরণের কাজ করার জন্য এই operating system দায়ী।


এই OS (operating system) আপনার নির্দেশ অনুযায়ি সম্পূর্ণ কম্পিউটার পরিচালনা করে।

তাই, একটি OS ছাড়া computer, laptop বা smartphone চালানো সম্ভন না।

অন্য ভাবে বললে, অপারেটিং সিস্টেমের অনুপস্থিতিতে, আপনার ডিভাইসকে নির্দেশ দেয়ার জন্য কোনো ধরণের user interface থাকবেনা।

যখন কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতেই পারবেননা, তথন যেকোনো software program বা hardware পরিচালনা করার প্রশ্নই থাকছেনা।

ফলে, আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী হয়ে দাঁড়াবে।

মানে, কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতেই পারবেননা।

তাহলে, বুঝলেন তো “অপারেটিং সিস্টেম কি” ?

OS একটি এমন সফটওয়্যার, যেটার সাহায্যে আমরা একটি কম্পিউটারকে নিজের হিসেবে চালাতে পারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

তাইতো, যখন আপনি একটি নতুন কম্পিউটার কিনেন তখন, সবচে আগেই “Windows OS” সেখানে ইনস্টল করান।

কেননা OS ছাড়া আপনি কম্পিউটার চালু এবং ব্যবহার কোনো ভাবেই করতে পারবেননা।

কেবল Windows বলে কথা নয়, যেকোনো কম্পিউটার ডিভাইস চালানো, ব্যবহার, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন রকমের আলাদা আলাদা OS রয়েছে।

আশা করি, অপারেটিং সিস্টেম মানে কি, এই বিষয় নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকছেনা।

কিছু সেরা অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ 

আমি আগেই বলেছি, চাহিদা, সুবিধা, system compatibility এবং আরো অন্যান্য কারণের ওপরে নির্ভর করে, আমরা আমাদের কম্পিউটারে মা মোবাইলে বিভিন্ন রকমের OS বা operating system ইনস্টল করতে পারি।

আমি নিচে কিছু অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ দিয়ে দিচ্ছি, যেগুলি অনেক বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

  1. Microsoft Windows : এই OS অনেক জনপ্রিয় এবং প্রায় ৭০% থেকেও বেশ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা Microsoft Windows এর কোনোনা কোনো একটি OS Version ব্যবহার করছেন।
  2. Google Android OS : আপনার কাছে যদি একটি android smartphone রয়েছে, তাহলে আপনিও এই android OS নিজের মোবাইলে ব্যবহার করছেন। এই android OS স্মার্টফোনের OS হিসেবে অনেক জনপ্রিয় এবং সবচে বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
  3. Apple IOS : Apple iOS (iPhone OS) হলো একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেটা apple inc. দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই OS কেবল apple iPhone মোবাইল গুলিতে ব্যবহার করা হয়।
  4. Apple macOS : Apple Mac কম্পিউটার ও ল্যাপটপ গুলিতে এই OS ব্যবহার করা হয়। Microsoft Windows এর পর এটা দ্বিতীয় বহুত বেশি পরিমানে ব্যবহার হওয়া desktop OS.
  5. Linux operating system : Windows, Mac OS এবং iOS এর মতোই “Linux” একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেটা আপনি আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপে, মোবাইল বা ট্যাবলেটে ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া, Linux OS হলো একটি open source operating system, যেটা জেকেও ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, ওপরে আমি আপনাদের সবথেকে বেশি জনপ্রিয়, প্রচলিত এবং সব থেকে বেশি ব্যবহার হওয়া অপারেটিং সিস্টেম (OS) গুলির নাম বললাম।

অপারেটিং সিস্টেমের কাজ কি ?

একটি computer বা laptop স্টার্ট করার সাথে সাথে, অপারেটিং সিস্টেমের কাজ আরম্ভ হয়ে যায়।

কম্পিউটার চালানোর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার (software) বা application ব্যবহার হওয়া শুরু হয়ে যায় বা আমরা নিজের থেকে কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করি।

এখন,  কম্পিউটারে ব্যবহার হওয়া প্রত্যেকটি সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশনের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার (hardware) অবশই ব্যবহার করতে হয়।

কেননা হার্ডওয়ারের ব্যবহার ছাড়া আমরা কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় “output” পাবোনা।

“অপারেটিং সিস্টেম” হলো এই সেই অংশ বা মাধ্যম যেটার জন্য একটি এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার, নিজেদের মধ্যে পরস্পরে সংযোগ হয়ে ক্রিয়া এবং কার্যকলাপ করতে পারে।

আমরা সবাই জানি, একটি সফটওয়্যার চলার জন্য হার্ডওয়ারের প্রয়োজন এবং যেকোনো হার্ডওয়্যার কাজ করার জন্য জরুরি সফটওয়্যার থাকতে হয়।

এবং, অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন এক সিস্টেম সফটওয়্যার, যার কাজ হলো, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ারের মধ্যে সংযোগ (connection) সৃষ্টি করা।

Application/software >> operating system >> hardware (CPU, I/O devices & RAM)

একটি ছোট উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিচ্ছি :

আপনি যখন আপনার computer বা laptop এ কাজ করছেন, তখন নিঃসন্দেহে, সেই ডিভাইস এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ব্যবহার করছেন।

কিন্তু, আপনি আপনার ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার গুলি সরাসরি ভাবে ব্যবহার (access) করছেন কি ?

মানে ধরুন,

যদি আপনি কম্পিউটারকে একটি গান চালানোর নির্দেশ দিলেন, তখন সেই গানটি আপনার কম্পিউটারে থাকা audio device বা sound box (Hardware / Output device) এ বেজে উঠবে।

বা, পেনড্রাইভ (pen drive) থেকে কিছু গ্রহণ করার জন্য, সেই পেনড্রাইভে প্রবেশ (access) করতে হবে।

এখানেই বুঝতে হবে যে, আপনি কি সরাসরি ভাবে এই “sound box” বা “pen-drive” ব্যবহার করছেন ?

কখনোই না।

আপনার কম্পিউটার, একটি system software ব্যবহার করে যাকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, এবং সেই OS, ডিভাইসের user (আপনার) এর নির্দেশ অনুযায় সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ারের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে কার্য বা ক্রিয়া সম্পন্ন করে।

আপনি, কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই গান চালানোর জন্য একটি মিডিয়া প্লেয়ার (application software) ওপেন করতে পারবেন।

এবং সেই অপারেটিং সিস্টেম, আপনার নির্দেশ অনুযায় গান চালানোর জন্য sound box (hardware) এবং সেই media player application এর মধ্যে সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি করে গানটি চালিয়ে কার্য সম্পন্ন করলো।

মনে রাখবেন, কম্পিউটার বা যেকোনো electronic device এর হার্ডওয়্যার গুলি কাজ করার জন্য নির্দেশের (instructions) প্রয়োজন।

এবং একটি operating system এর মাধ্যমে আমরা অনেক সহজে কম্পিউটার ডিভাইস (device) নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আর তার সাথে সাথে হার্ডওয়্যার গুলিকে কাজ করানোর জন্য নির্দেশ দিতে পারি।

Some basic work of operating system 

অপারেটিং সিস্টেমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো –

  • Memory Management
  • Processor Management
  • Device Management
  • File Management
  • Security
  • System Performance Monitoring
  • Error Monitoring
  • Creating user interface.
  • Creating Connection Between Software and Hardware

তাহলে, এগুলি হলো একটি অপারেটিং সিস্টেমের কাজ।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ (Types of Operating System)

দিনে দিনে প্রযুক্তি (technology) আরো অধিক উন্নত হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক আধুনিক রকমের অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন এসে পড়েছে।

এই ক্ষেত্রে, ক্ষমতা, ডিভাইস এর প্রকার, উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজন হিসেবে অনেক ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়ন (development) হয়ে চলেছে।

এবং, তার সাথে সাথে বিভিন্ন প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম, আজ আমাদের কাছে রয়েছে।

চলুন, কিছু অপারেটিং সিস্টেমের প্রকার এর ব্যাপারে নিচে জেনেই।

১. Simple batch system :

পুরোনো দিনের সমস্যার সমাধান করার জন্য এই ধরণের simple batch operating system ব্যবহার করা হতো।

এইটা এমন এক ধরণের system যেটা ব্যবহার করে একজন computer user কখনো কম্পিউটারের সাথে সরাসরি (direct) interact করতে পারতেননা।

সাধারণ ইনপুট ডিভাইস (input device) হিসেবে “card readers” এবং “Tape drivers” ব্যবহার করা হতো।

২. Multi programming Batch Systems :

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম এ, memory থেকে যেকোনো একটি কাজ (job) নিয়ে তারপর সেটা এক্সিকিউট (execute) করা হয়।

এই ধরণের multi programming batch system গুলিতে CPU কখনোই কোনো কাজ ছাড়া থাকেনা।

CPU সব সময় কিছু না কিছু process করতেই থাকে।

৩. Network operating system :

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম কেবল সেই কম্পিউটার গুলিতে ব্যবহার করা হয়, যেগুলি একটি network এর সাথে সংযুক্ত (connected) থাকে।

NOS আসলে এমন এক ধরণের সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে multi-computers গুলিকে একসাথে communicate করানো এবং file sharing করানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের কিছু উদাহরণ হলো –

Microsoft windows server 2003, Microsoft windows server 2008, Unix, Linux এবং আরো রয়েছে।

৪. Multiprocessor Systems :

এই ধরণের operating system গুলিতে, দুটো বা তার থেকে বেশি CPU (central processing unit) ব্যবহার করা হয় একটি একক (single) computer system এ।

তাছাড়া, multiprocessor সিস্টেমে অনেক গুলি প্রসেসর কেবল একটি common physical memory ব্যবহার করে।

এখানে computing এর ক্ষমতা এবং speed অনেক উন্নত মানের এবং দ্রুত।

৫. Distributed Operating System :

এই ধরণের operating system বিশেষ ভাবে communication এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

Distributed operating system দুই ধরণের হতে পারে।

  • Client server system
  • Peer to Peer systems

৬. Real Time Operating System

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম সব থেকে উন্নত (advanced).

Real time OS, যেকোনো কঠিন operations গুলিকে অধিক সময় নিয়ে সম্পন্ন করে।

এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম দুই ধরণের –

  • Hard real time operating system
  • Soft real time OS

৭. Client operating system 

এই ধরণের client operating system গুলির অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয় “computer desktops” এবং “portable device” গুলিতে।

যেমন, smartphone এবং ছোট computer device গুলিতে এই ধরণের OS ব্যবহার করা হয়।

এই OS আসলে কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান (components) গুলিকে পরিচালনা করে।

বিভিন্ন আলাদা আলাদা computer device গুলির একটি নির্দিষ্ট operating system থাকে।

Client operating system গুলি অনেক কম খরচে, multitasking এর শক্তি প্রদান করে।

মানে, একসাথে এক থেকে অধিক কাজ করা সম্ভব।

Client operating system এর কিছু উদাহরণ হলো –

  • Microsoft Windows
  • Android
  • Mac OS
  • Linux

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ্ করে এই OS গুলিকে তৈরি (design) করা হয়েছে।

বর্তমানে, Microsoft windows কে client OS হিসেবে, সব থেকে বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তাহলে বন্ধুরা, ওপরে আমি আপনাদের কিছু অপারেটিং সিস্টেমের প্রকার এর ব্যাপারে বললাম।

 

আমাদের শেষ কথা,

আজকে আমরা শিখলাম, একটি অপারেটিং সিস্টেম কি (What Is Operating System In Bangla), এর প্রকারভেদ, operating system এর কাজ এবং প্রকারের বিষয়ে।

আপনাদের মনে এই বিষয় নিয়ে যদি অন্য কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানিয়ে দিবে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.