কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ এর বিস্তারিত পরিচয় | Muhammed Juwel Ahmed |
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার বা গণকযন্ত্র ছাড়া আজকের দুনিয়া কল্পনাই করা যায় না।
মানুষ ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে এই কম্পিউটার যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে রয়েছে।
আজকে আমাদের আধুনিক যুগের কম্পিউটারের এই আধুনিক চেহারা পেতে পেরিয়ে আসতে হয়েছে বেশ কয়েক দশক।
বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার হিসেবে চার্লস ব্যাবেজ ১৮২২ সালে আবিষ্কার করেছিলেন প্রথম মেকানিক্যাল কম্পিউটার, যা হল বর্তমান প্রজন্মের সমস্ত গণকযন্ত্রের পিতামহ।
শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে এই কম্পিউটার যন্ত্রের নানা উন্নতিসাধন করা হলেও, এই যন্ত্রগুলোর নির্দিষ্ট কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে।
এখানে কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কয়টি নিয়ে আলোচনা করা হল। সেগুলো হল-
আধুনিক কম্পিউটারের সেরা ১০টি বৈশিষ্ট্য:
সবচেয়ে প্রথমে আমরা আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট গুলোর বিষয়ে এক এক করে জেনে নিতে চলেছি।
১. তথ্যের নির্ভুলতা:
মূলত, এই যন্ত্র আবিষ্কার করার উদ্দেশ্যই ছিল নির্ভুল গণনা ও তার সঠিক ফল প্রকাশ।
আমরা সকলেই জানি, যে কম্পিউটার ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট এই পদ্ধতিতে কাজ করে।
অর্থাৎ, আমরা গণকযন্ত্রকে কোনো তথ্য পাঠাই এবং সেই তথ্য এই যন্ত্রটি অসংখ্য সূক্ষ বৈদ্যুতিক বর্তনীর সাহায্যে গণনা করে সঠিক ফলাফল দিয়ে থাকে।
তাই, মানুষের করা গণনার থেকে যন্ত্র-নির্ভর গণনা অনেকটাই নির্ভুল ও যুক্তিসঙ্গত।
তবে, মানুষ যদি ভুল তথ্য প্রদান করে, তবে কম্পিউটার সেখানে ভুল তথ্যই সরবরাহ করবে, এবং তখন তাকে আমরা গার্বেজ ইনপুট ও গার্বেজ আউটপুট বলে থাকি।
২. উচ্চ গতিসম্পন্নতা:
গণকযন্ত্র নির্ভুলভাবে গণনার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে ফল ঘোষণা করতেও সক্ষম।
যেহেতু, এই যন্ত্র বৈদ্যুতিক সংকেতের সাহায্যে কাজ করে, তাই এই যন্ত্র মাইক্রো, মিলি, ন্যানো ও পিকো সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল বের করে দিতে পারে।
একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষেরও বেশি গাণিতিক প্রব্লেমের সমাধান করতে পারে।
৩. ত্রুটি সনাক্তকরণ ও সংশোধন:
মানুষের ভুল নির্ধারণ ও পরবর্তীতে সংশোধন করার ক্ষমতা এই যন্ত্রের তুলনায় অনেকটাই কম।
এই যন্ত্রগুলো এমনভাবেই প্রোগ্রাম করা হয়, যা অতি দ্রুত ভুল সনাক্ত করতে ও সংশোধন করতে সক্ষম।
৪. মেমরি:
কম্পিউটারের মেমোরি বা স্টোরেজ স্পেস অনেকটাই বেশি থেকে থাকে।
যার ফলে, অসংখ্য কিংবা কোটি কোটি তথ্য কম্পিউটারের মধ্যে জমা রাখা সম্ভব।
মানুষের থেকে ইনপুট পাওয়া মাত্রই এই যন্ত্র চট করে ও নির্ভুলভাবে সেইসব তথ্য দেখতে বা ব্যবহার করতে পারে।
একটি কম্পিউটার বছরের পর বছর কোটি কোটি তথ্য কোনোরকম অসঙ্গতি ছাড়াই সেভ বা জমা রাখতে পারে।
৫. বিশাল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা:
এই যন্ত্র মানুষের দেওয়া তথ্য ইনপুট আকারে গ্রহণ করে, সেই তথ্যকে বিশ্লেষণ করে আউটপুটের আকারে তা প্রদর্শন করে।
তাই, জটিল গাণিতিক হিসাব থেকে শুরু করে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সবকিছুর সঠিক প্রক্রিয়াকরণের জন্যেই মানুষ এই যন্ত্রেই উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
৬. লজিকাল ডিসিশন মেকিং:
কম্পিউটারের সমস্ত প্রক্রিয়াই নির্ভর করে যুক্তির উপর।
যেহেতু, এই যন্ত্রের নিজস্ব বুদ্ধি বা বিচার করার ক্ষমতা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়নি।
এই কারণেই, গণকযন্ত্র গুলো প্রোগ্রামে দেওয়া যুক্তির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে।
৭. অক্লান্ত কর্মক্ষমতা:
মানুষের দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা মতো বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন থাকে।
কিন্তু, কম্পিউটারের মতো যন্ত্র নিরলসভাবে একটানা কাজ করে যেতে সক্ষম।
৮. সূক্ষ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা:
মানুষ যতই জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হোক না কেন, সূক্ষ গাণিতিক বিশ্লেষণে কম্পিউটারের মতো পাকা হিসেবি ও সঠিক উত্তর প্রদান মানুষের পক্ষে সবসময় দেওয়া অসম্ভব।
তাই, কম্পিউটার যেকোনো গাণিতিক সমস্যার ফল যদি দশমিকের ঘর অতিক্রম করে, তবে সেই উত্তরও সে নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে পারে।
৯. বহুমুখতা:
একটি গণকযন্ত্র মাল্টিটাস্কিং বা একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে সক্ষম।
গাণিতিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এই যন্ত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, এন্টারটেইনমেন্ট, শিক্ষা ও টেলিকমুনিকেশন, ও আরও নানানধরণের কাজ করতে পারে।
১০. স্বয়ংক্রিয়তা:
কম্পিউটারকে তথ্য প্রদান বা ইনপুট দিলে বাকি সমস্ত কাজটা সে একাই করতে পারে।
এই প্রসেসিং করার জন্য একটি গণকযন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করতে পারে।
কম্পিউটারের আলাদা আলাদা প্রকার গুলো
ব্যবহার, আকার এবং গঠনগত দিক থেকে এই কম্পিউটার নানা ধরণের হয়ে থাকে।
ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটারকে মার্কেটে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রথমে আমরা জেনে নিই, গঠনগত দিক থেকে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ গুলো কি কি ?
১. অ্যানালগ কম্পিউটার:
একটি অ্যানালগ কম্পিউটার হল এমন এক ধরনের গণকযন্ত্র, যা সমস্যার সমাধান করার জন্য বৈদ্যুতিক, যান্ত্রিক বা জলবাহী তরঙ্গকে বা বৈদ্যুতিক সংকেতকে ইনপুট তথ্য হিসেবে ব্যবহার করে সেই তথ্য প্রসেস করে ও আউটপুট দেয়।
অ্যানালগ কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য:
ক. অ্যানালগ যন্ত্রগুলো ইলেকট্রিক ভোল্টেজ, চাপ, বৈদ্যুতিক প্রবাহ, তাপমাত্রা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
খ. এই ধরণের যন্ত্রের আউটপুট গুলো ওসিলোস্কোপের পর্দায় বা কাগজে আঁকা গ্রাফের আকারে প্রকাশিত হয়।
২. ডিজিটাল কম্পিউটার:
এই ধরণের কম্পিউটার গুলো অনেক বা বর্ণ সংকেতকে ইনপুট তথ্য হিসেবে ব্যবহার করে আউটপুট রেজাল্ট দিয়ে থাকে।
লজিকাল আর এরিথমেটিক্যাল একক ব্যবহার করে এই কম্পিউটার গুলো তথ্য বিশ্লেষণ করে।
এই ডিজিটাল কম্পিউটারের সব থেকে পরিচিত ভাষা হল বাইনারি বা ০,১ সংখ্যা।
ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
ক. মূলত এই যন্ত্রে অনেক মেমোরি বা স্পেস থাকে।
খ. বাইনারি ফর্মে এই কম্পিউটার কাজ করে।
গ. এই কম্পিউটারের প্রদত্ত তথ্য অনেকটাই নির্ভুল।
ঘ. এই কম্পিউটার গুলো সাংঘাতিক ফাস্ট (fast) এবং শক্তিশালী।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার:
একটি হাইব্রিড কম্পিউটার হল ডিজিটাল ও এনালগ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি গণকযন্ত্র।
হাইব্রিড কম্পিউটার গুলোর মূল বৈশিষ্ট্য:
ক. এই যন্ত্রে একটি কার্যকরী অ্যানালগ ইউনিট থাকে যা গণনার জন্য শক্তিশালী, আবার এই সব যন্ত্রে একটা করে সহজলভ্য ডিজিটাল মেমরি থাকে অপরিসীম স্টোরেজের জন্যে।
আধুনিক কম্পিউটার এর প্রকারভেদ
আকৃতিগত দিক থেকে আধুনিক কম্পিউটার গুলো মূলত ৪ ধরণের হয়ে থাকে, এগুলো হল –
১. মিনি কম্পিউটার:
মিনি কম্পিউটারকে মিড-রেঞ্জ কম্পিউটারও বলে।
এই কম্পিউটার গুলো মূলত মাল্টি-ইউসার সিস্টেম ব্যবহার করে, যেখানে একাধিক ব্যবহারকারীরা একই সাথে কাজ করতে সক্ষম।
মিনি কম্পিউটার গুলো এক সময়ে বহু-ব্যবহারকারীকে কাজ করতে দেয়।
কিংবা, বলা যেতে পারে যে মিনিকম্পিউটার হল আসলে একটি মাল্টিপ্রসেসিং সিস্টেম।
এই যন্ত্রগুলো বৈজ্ঞানিক এবং প্রকৌশল গণনা, ব্যবসায়িক লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ, ফাইল হ্যান্ডলিং এবং ডাটাবেস পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
মিনি কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য:
ক. একসাথে অনেকজন ব্যবহারকারী একই সময়ে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
খ. এই ধরণের কম্পিউটার গুলোর আকার অনেকটাই ছোট থাকে।
গ. মূলত, অফিসের কাজ, খেলাধুলা ও বিনোদনের কাজে এই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
২. মাইক্রো কম্পিউটার:
মাইক্রো কম্পিউটার হল একটি ছোট-আকারের সম্পূর্ণ কম্পিউটার, যা এক সময়ে শুধুমাত্র একজন সাধারণ ব্যক্তির ব্যবহারের জন্যই বানানো হয়েছে।
এই কম্পিউটার গুলোকেই আমরা প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার (PC) বলে থাকি।
সাধারণত, এই যন্ত্র গুলোতে সিঙ্গেল বা একক-চিপ মাইক্রো প্রসেসর থাকে।
মাইক্রো কম্পিউটারের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ হল ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ।
মাইক্রো কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য:
ক. এই কম্পিউটারে রিড অনলি মেমরি ও রান্ডম এক্সেস মেমোরি থাকে।
খ. মাইক্রো কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ইনপুট ও আউটপুট এর জন্যে বিভিন্ন আলাদা আলাদা পোর্টের ব্যবস্থা থাকে।
গ. বাস বা অন্য কেবল সিস্টেম থাকে, যা বিভিন্ন ওয়্যার বা তার গুলোকে সংযুক্ত করে।
ঘ. এই সমস্ত তার, ইনপুট ও আউটপুট পোর্ট গুলো একটিমাত্র মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
৩. সুপার কম্পিউটার:
এই বিশাল আকারের কম্পিউটার গুলো সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় উচ্চ স্তরের কর্মক্ষমতার অধিকারী হয়।
একটি সুপার কম্পিউটার এর কর্মক্ষমতা সাধারণত প্রতি সেকেন্ডে মিলিয়ন নির্দেশের (MIPS) পরিবর্তে ফ্লোটিং-পয়েন্ট অপারেশন পার সেকেন্ডে (FLOPS) পরিমাপ করা হয়।
যা অত্যন্ত দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধানত, এই যন্ত্রগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যাতে করে অত্যন্ত উচ্চ-গতির গণনা খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা যায়।
সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
ক. এই যন্ত্রে প্রচুর সংখ্যক প্রসেসিং ইউনিট থাকে।
খ. রান্ডম এক্সেস মেমোরির বিশাল সংগ্রহ থাকে।
গ. নোড গুলোর মধ্যে উচ্চগতির আন্তসংযোগ ঘটানো হয়, দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করার জন্যে।
ঘ. এই ধরণের কম্পিউটার গুলো প্রদত্ত তথ্যকে দ্রুত পড়তে বা লিখতে পারে।
ঙ. বিশেষভাবে তৈরী সফটওয়্যার থাকে এই যন্ত্র গুলোতে।
চ. এই ধরণের কম্পিউটার গুলোতে থাকে কার্যকরী তাপের ব্যবস্থাপনা, যাতে যন্ত্রগুলো মসৃণভাবে চলতে পারে।
৪. মেইনফ্রেম কম্পিউটার:
এই ধরণের কম্পিউটার গুলো সুপার কম্পিউটারের থেকে আকারে ছোট হয়।
বিভিন্ন বড় সংস্থা গুলি এই মেইনফ্রেম বা বিগ আয়রন কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করে থাকে।
এই মেইনফ্রেম কম্পিউটার গুলো মূলত, বাল্ক ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশেষ করে লার্জ স্কেল সংগঠন (organization) গুলোর দ্বারা এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য:
ক. সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় এই যন্ত্র গুলোতে প্রচুর স্টোরেজ মেমোরি থাকে।
খ. মেইনফ্রেম গণকযন্ত্রে নানা ধরণের অপারেটিং সিস্টেম থাকলেও, এখানে সেন্ট্রালাইজড সার্ভার থাকে।
এই সার্ভার থেকে বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা একই সময় এই সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে।
গ. এই কম্পিউটারের এপ্লিকেশন গুলো রিলাইবিলিটি, এভেইল্যাবিলিটি ও সার্ভিসবিলিটি-এর উপর নির্ভর করে তৈরী।
যাতে করে ডাটা প্রসেসিং অনেক দ্রুত ও সুবিধাজনক হয়ে যায়।
ঘ. নানা ধরণের ব্যবহারকারী ও অপারেটিং সিস্টেম থেকে এই কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা যায় বলে, কেবল সিস্টেম দ্বারা পরিচিত ব্যবহারকারীরাই এই কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করতে সক্ষম ও তাতে ডেটার নিরাপত্তা অনেকটাই মজবুত হয়।
ব্যবহার এর দিক থেকে কিছু অন্যান্য কম্পিউটারের প্রকার
১. সার্ভার:
এই সার্ভার গুলো আসলে হল ডেডিকেটেড কম্পিউটার।
যেগুলো তৈরী করা হয় ক্লায়েন্টদের কিছু পরিষেবা প্রদান করার জন্য।
সার্ভার গুলোর নাম তাদের পরিষেবার ধরণের উপর নির্ভর করে, যথা- নিরাপত্তা সার্ভার ও ডাটাবেস সার্ভার।
২. ওয়ার্কস্টেশন:
এই কম্পিউটার গুলো প্রাথমিকভাবে সিঙ্গেল ইউসার দের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই ধরণের কম্পিউটার গুলোই আমরা আমাদের দৈনন্দিন ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যবহার করি।
৩. ইনফরমেশন এপ্লিকেশন:
এই কম্পিউটার গুলো মূলত পরিবহনযোগ্য বা পোর্টেবল।
এই এপ্লিকেশন গুলো মৌলিক গণনা, মাল্টিমিডিয়া চালানো, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদির মতো সীমিত কাজ সম্পাদন করার জন্য তৈরী করা হয়েছে।
আমরা এইগুলোকে মোবাইল ডিভাইসও বলে থাকি।
এই যন্ত্রের মেমরি সীমিত তবে এক্সটার্নাল মেমরি কার্ড ব্যবহার করে মেমোরি বা স্টোরেজ বাড়ানো সম্ভব।
৪. এমবেডেড কম্পিউটার:
এই ধরণের কম্পিউটিং ডিভাইস গুলো তৈরী করা হয় কিছু বিশেষ কাজ করার জন্যে।
অনুদ্বায়ী বা নন-ভোলাটাইল মেমরি থেকে এই যন্ত্রগুলো নির্দেশ বা তথ্য গ্রহণ করে এবং এদের রিবুট বা রিসেট করার প্রয়োজন পড়ে না।
এই যন্ত্রের প্রসেসিং ইউনিট গুলো শুধুমাত্র ধরা-বাঁধা কয়েকটা কাজ করার জন্যে ব্যবহৃত হয়।
যেমন – ডিজিটাল ঘড়ি, স্মার্ট ওয়াচ, রোবটিক ভ্যাকিয়ুম ক্লিনার এই ধরণের কম্পিউটিং ডিভাইসের উদাহরণ।
আমাদের শেষ কথা,,
আমাদের আজকের কম্পিউটারের মূল বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ নিয়ে আর্টকেলটি এখানেই শেষ হল।
কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কয়টি, এই নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা অন্যান্য পরামর্শ থাকলে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানাতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই