এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি ? (What is application software in Bengali) Muhammed Juwel Ahmed
এখনের আধুনিক সময়ে আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের computer, laptop বা smartphone ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরণের application গুলোকে ব্যবহার করে থাকি।
তবে আপনারা কি জানেন আসলে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি গুলো কোনগুলো এবং এই ধরণের সফটওয়্যার গুলোর কাজ কি ?
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার নিয়ে আপনার মনের মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা অবশই পাবেন। কেননা, আমরা এখানে application software এর প্রত্যেকটি basic points গুলো আজকে তুলে ধরতে চলেছি।
এছাড়া, এই আর্টিকেলের মাধ্যমেই আমরা application software এবং system software এর মধ্যে থাকা পার্থক্য গুলো জেনেনিব।
এমনিতে যদি সাধারণ এবং সোজা ভাবে বলা হয় তাহলে, এগুলো এরকম কিছু সফটওয়্যার যেগুলোকে কিছু বিশেষ এবং নির্দিষ্ট কাজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়ে থাকে।
এই ধরণের সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে একজন কম্পিউটার ইউসার (computer user) কিছু নির্দিষ্ট কাজ গুলোকে অনেক সহজেই সম্পন্ন করতে পারেন।
তবে, এই এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর বিষয়ে আরো ভালো করে অধিকটা জানার জন্যে আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালো করে পড়ার পর এই বিষয়ে আপনারা সম্পূর্ণ স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন এবং আপনার মনে আর কোনো ধরণের প্রশ্ন থাকবেনা।
তাহলে চলুন, আর সময় নষ্ট না করে নিচে আমরা সরাসরি জেনেনেই আসলে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলতে কি বুঝায়।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি ? (Application software meaning in Bengali)
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার হলো একটি নাম যেটাকে কেবল সেই সফটওয়্যার গুলোকে দেওয়া হয়েছে যেগুলো কেবল কিছু নির্দিষ্ট কাজ গুলো করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এই ধরণের সফটওয়্যার গুলো end user দ্বারা ব্যবহার করা হয় যেগুলো হলো মূলত কিছু programs বা collection of program.
সফটওয়্যার গুলোকে কিছু হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ (high level language) যেমন, C, Java, VB. Net ইত্যাদির সাহায্যে লিখা হয়।
এগুলো হলো সরাসরি user-specific software যেগুলোকে তৈরি করা হয় ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা এবং চাহিদার ওপরে নজর দিয়ে।
এছাড়া, আপনি একটি system software এর মধ্যে একাধিক Application Software গুলিকে install করতে পারবেন।
Application software গুলোকে আমরা CDs, DVDs, flash derive, keychain storage devices ইত্যাদিতে store করে রাখতে পারি।
এমনিতে এই সফটওয়্যার গুলোকে আপনারা সরাসরি application বা apps বলেও বলতে পারবেন।
দেখতে গেলে, সেই প্রত্যেক সফটওয়্যার গুলো যেগুলো একটি system software বা programming software না সেগুলোকেই বলা হয় application software.
উদাহরণ স্বরূপে, Microsoft Word এবং Microsoft Excel হলো একটি একটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার, বা কিছু সাধারণ ওয়েব ব্রাউজার গুলো হলো Firefox এবংGoogle Chrome যেগুলোকেও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হবে।
কেননা, এই ধরণের সফটওয়্যার গুলোকে কিছু বিশেষ ধরণের এবং নির্দিষ্ট কাজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাকে বলে ? (Application software definition in Bangla)
দেখুন, এমন যেগুলো সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোর সাথে একজন ইউসার সরাসরি ইন্টারঅ্যাক্ট হয়ে সেগুলোকে ব্যবহার করে থাকেন সেগুলোকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়।
বা, কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি যেই সফটওয়্যার গুলোকে আপনি ওয়ান টু ওয়ান কম্পিউটারে ইনস্টল করেই সেগুললোর মাধ্যমে কিছু নির্দিশট কাজ করে থাকেন সেই সফটওয়্যার গুলোকে application software বলতে পারেন।
এই ধরণের সফটওয়্যার গুলো system software থেকে অনেকটা আলাদা হয়ে থাকে।
একটি সিস্টেম সফটওয়্যার background এ চলতে এবং কাজ করতে থাকে, মানে আপনি কম্পিউটারে অন্যান্য কাজ করতে থাকা অবস্থায় system software কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকবে।
তবে, application software কাজ করে থাকে front end এর মধ্যে।
মানে, user সেই software টিতে কাজ করে থাকেন এবং কাজ করার সময় সফটওয়্যার টির user interface এর ব্যবহার করে থাকেন। মানে, কাজ করার জন্য সেই নির্দিশট এপ্লিকেশন সফটওয়্যার টিকে ওপেন করে তারপর সেখানে কাজ করতে হবে।
চলুন এখন এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর উদাহরণ কিছু জেনেনেই :
- Database programs (MySQL, Microsoft SQL Server, Microsoft Access DBMS, Oracle)
- Word processing software (WordPad, Microsoft Word, Notepad etc.)
- Entertainment software (Video player, games etc.)
- Business software (Billing software, accounting software, asset management software etc.)
- Educational software (Educational games, graphics design apps, video editors etc.)
- Spreadsheet software
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি ?
এমনিতে দেখতে গেলে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর প্রকার অনেক রয়েছে, তবে নিচে আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকার গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি।
চলুন, প্রত্যেকটি প্রকারভেদ এর বিষয়ে নিচে একে একে জেনেনেই।
Application suite
এখানে একাধিক আলাদা আলাদা পরস্পর সম্পর্কিত software programs গুলোকে একসাথে গ্রুপ হিসেবে রাখা হয়
প্রত্যেকটি সফটওয়্যার গুলোকে একসাথে সংযুক্ত করে একটি প্যাকেজ (package) হিসেবে রাখা হয়।
Application suite হলো আলাদা আলাদা computer programs গুলোর একটি collection যেখানে সম্পর্কিত functions, features এবং user interface পরস্পরে ইন্টারেক্ট (interact) করে থাকে।
এমন এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর উদাহরণ হতে পারে, Microsoft Office (Word, Excel and PowerPoint).
Enterprise software
Enterprise software গুলোকে আবার enterprise application software (EAS) বলেও বলা হয়।
এগুলো হলো এমন সফটওয়্যার যেগুলো মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের (organization) চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। একজন individual user এর ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয়না।
Enterprise software গুলো বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন businesses, schools, interest-based user groups, clubs, charities এবং governments ইত্যাদি।
Enterprise Infrastructure Software
Enterprise infrastructure software হলো মূলত কিছু প্রোগ্রামের শ্রেণীবিভাগ যেগুলো ব্যবসা (businesses) গুলোকে সাহায্য করে থাকে মৌলিক কাজ (basic task) গুলো সম্পাদন করার ক্ষেত্রে।
Information Worker Software
এই ধরণের সফটওয়্যার গুলো তথ্য তৈরি করা এবং ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। মূলত individual projects এর প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয়।
Time management, resource management, analytical, collaborative and documentation tools ইত্যাদি এই সফটওয়্যার মধ্যে ধরা হয়ে থাকে।
Content Access Software
এই ধরণের সফটওয়্যার গুলোকে কোনো editing ছাড়া কেবল content access করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের Published digital content এবং digital entertainment এর চাহিদা উপভোগ করার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুলো কাজ করে থাকে।
উদাহরণ স্বরূপে, Media Players, Web Browsers, Help browsers এবং Games ইত্যাদি।
Educational Software
পড়াশোনা বা শিক্ষার (education) উদ্দেশ্যে তৈরি করা বা হওয়া যেকোনো সফটওয়্যার গুলোকেই educational software বলা যেতে পারে।
এছাড়া এভাবেও বলা যেতে পারে যে, শেখার ক্ষমতা বাড়ায় এমন প্রত্যেক সফটওয়্যার গুলোকেই এডুকেশনাল সফটওয়্যার বলা হয়।
Classroom management software, student information systems, language software, reference software ইত্যাদি এই ধরণের software গুলোকে এর ভেতরে ধরা যেতে পারে।
Media Development Software
Media development software হলো মূলত একটি প্রোগ্রাম (program) যেটার মূল কাজ হলো কম্পিউটারকে বলা যে কিভাবে media data গুলোর media editing, formatting এবং manipulating এর জন্য কিভাবে প্রস্থান করতে হবে।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট
চলুন, এবার আমরা নিচে সরাসরি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর বিশিষ্ট গুলো জেনেনেই।
- Word processing, spreadsheets, email, photo editing ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট (specific) কাজ গুলোকে করে থাকে।
- এই ধরণের সফটওয়্যার গুলোর সাইজ তুলনামূলক ভাবে অধিক বেশি থাকে। তাই, সফটওয়্যার গুলোকে ইনস্টল করার ক্ষেত্রে অধিক জায়গার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- সফটওয়্যার গুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের সাহায্যে লিখা ও তৈরি করা হয়।
- অনেক user-friendly interface থাকার কারণে সহজে এবং সুবিধাজনক ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
System software এবং application software এর মধ্যে পার্থক্য
চলুন, এবার আমরা সরাসরি জেনেনেই যে সিস্টেম সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর পার্থক্য কি কি।
- System এর বিভিন্ন সম্পদ (resources) গুলো যেমন memory এবং process management, security ইত্যাদি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে system software গুলোকে ডিজাইন করা হয়েছে। কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে ডিজাইন করা হয়েছে user এর চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা গুলোকে পূরণ করার উদ্দেশ্যে।
- System software হলো সাধারন ক্ষেত্রে (general purpose) ব্যবহার হওয়া সফটওয়্যার, কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার হলো কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা কাজে ব্যবহার হওয়ার সফটওয়্যার।
- সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোকে low level language এর সাথে লিখা হয়। যেমন, machine বা assembly language. কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে high level languages এর সাথে লিখা হয়।
- সিস্টেম সফটওয়্যার অবশই স্বাধীনভাবে চলতে ও কাজ করতে পারে। কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলো স্বাধীনভাবে (independently) কাজ করতে পারেনা।
- সিস্টেম (system) এর power on করার করার সাথে সাথে system software গুলো চলতে শুরু করে দেয় এবং ততক্ষন চলতে থাকে যতক্ষণ সিস্টেম এর power off না করা হয়ে থাকে। কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে ইউসার (user) তার প্রয়োজন এবং ইচ্ছা হিসাবে শুরু ও বন্ধ করে থাকেন।
- সিস্টেম সফটওয়্যার এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর তুলনায় স্বাধীন ভাবে কাজ করে থাকে। কিন্তু, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাজ করার ক্ষেত্রে সিস্টেম সফটওয়্যার এর প্রয়োজন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, Application software কি ? এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কত প্রকার, উদাহরণ এবং এর বৈশিষ্ট গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।
আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই কাজে আসবে।
এছাড়া, আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের সত্যি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
শেষে, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই