Cryptocurrency কি ? (what is cryptocurrency in Bengali)


আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency) কি, (About cryptocurrency in Bengali) এই বিষয়ে কথা বলবো।

তাছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সি র প্রকার, লাভ, সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিয়েও আমরা কথা বলবো।

দেখুন বন্ধুরা, বর্তমানে ইন্টারনেটের এই আধুনিক এবং ডিজিটাল সময়ে চলে আসা প্রত্যকটি প্রযুক্তির লাভ অবশই রয়েছে।

তবে, যেই জিনিস গুলোর লাভ রয়েছে সেগুলোর কিছু হলেও লোকসান অবশই থাকবে।

সেভাবেই, cryptocurrency ও এমন এক আধুনিক সুবিধা, যার লাভ আছে যদিও লোকসান নেই বলে বলা যাবেনা।

যেকোনো দেশ বিদেশে কেনা-কাটা, লেন-দেন বা নিজের সুবিধের ও প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো পাওয়ার জন্য সেগুলোকে কিনে নিতে হয়।

এবং, এই কেনা-কাটা বা লেন-দেন এর প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে আমাদের প্রয়োজন হয় মুদ্রার (currency).


মুদ্রার মাধ্যমে যেকোনো জিনিস কিনে নিয়ে আমরা সেই জিনিসটি নিজের করে নিতে পারি।

আর এক্ষেত্রে, প্রত্যেক আলাদা আলাদা দেশের নিজের নিজের মুদ্রা (currency) অবশই রয়েছে।

যেভাবে, ভারতে রয়েছে “Indian Rupee”, আমেরিকাতে রয়েছে “United States Dollar” ইত্যাদি।

আর এই ধরণের মুদ্রা গুলোকে আমরা চোখে দেখতে পারি, স্পর্শ করতে পারি এবং নিয়ম অনুযায়ি এই বাজার হাটে ব্যবহার করে থাকি।

তবে, ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এমন এক ধরণের মুদ্রা যেটা সাধারণ মুদ্রার সম্পূর্ণ বিপরীত।

কারণ, এটা হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা (digital currency) যেটা আপনি স্পর্শ করতে পারবেননা এবং চোখেও দেখতে পারবেননা।

কেননা, cryptocurrency গুলোর কোনো ভৌতিক আকার বা গঠন নেই।

প্রায় কিছু বছর আগের থেকেই এই ধরণের cryptocurrency বা digital currency গুলোর চাহিদা ও প্রচলন প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখন হয়তো আপনারা “cryptocurrency কি” বিষয়টা কিছু হলেও বুঝতে পেরেছেন।

চলুন, ক্রিপ্টোকারেন্সি কাকে বলে বিষয়টা আরো একটু স্পষ্ট করে জেনেনি।

Cryptocurrency কি ? (Cryptocurrency in Bengali)

Cryptocurrency কি
Cryptocurrency বলতে কি বুঝায় ?

আসলে, Cryptocurrency হলো এমন এক ধরণের মুদ্রা যেগুলোকে কেবল online internet এর মাধ্যমে ব্যবহার ও লেন-দেন করা সম্ভব।

আর তাই, এই ধরণের ক্রিপ্টো মুদ্রা গুলোকে “digital money” হিসেবেও ধরা হয়।

আর যা আমি আগেই বললাম, এই ধরণের ডিজিটাল মুদ্রা গুলোকে আমরা phisically দেখতে, ধরতে বা লেন-দেন করতে পারিনা।

মনে রাখবেন, cryptocurrency গুলোর ওপরে government এর কোনো ধরণের ভূমিকা থাকছেনা।

কারণ, এই ধরণের currency গুলো Decentralized currency বলা হয় যেগুলোর ওপরে কোনো agency বা government এর board এর অধিকার থাকেনা।

Cryptocurrency গুলোকে আপনি আপনার digital asset হিসেবেও ধরতে পারবেন যেগুলোর ব্যবহার করে অনলাইন কেনা-কাটা / শপিং ইত্যাদি করা সম্ভব।

Shopping করা ছাড়াও আপনারা এই cryptocurrency গুলোকে বিভিন্ন services জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, এই ধরণের currency গুলোতে cryptography প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে।

এটা মূলত একটি peer to peer network system, যেটার ব্যবহার আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাধারণ মুদ্রার বিপরীতে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি।


এই ধরণের currency গুলোর ব্যবহার government বা bank কে না জানিয়েও করা যেতে পারে।

তাই, অনেকেই বলে থাকেন যে cryptocurrency গুলোর ব্যবহার অবৈধ ভাবেও করা সম্ভব।

বর্তমানে অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর থেকে জেকেও cryptocurrency গুলো কেনা-বেচা করে থাকেন।

প্রত্যেক ধরণের  cryptocurrency গুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত currency ছিল “Bitcoin“.

সব থেকে আগে এটাকেই তৈরি করা হয়েছিল এবং সব থেকে অধিক ব্যবহার হয় এই Bitcoin এর।

Bitcoin cryptocurrency নিয়ে এমনিতে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক হয়েই এসেছে।

তবে, বর্তমানে cryptocurrency গুলোর মধ্যে bitcoin এর ব্যবহার অনেক প্রসিদ্ধ এবং সব থেকে অধিক ব্যবহার হয়ে থাকে।

এমনিতে, বিটকয়েন ছাড়াও অনেক অন্যান্য cryptocurrency গুলো রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে হয়তো আপনি জানেন বা জানেননা।

তাহলে criptocurrency মানে কি বিষয়টা বুঝলেন তো। 

Cryptocurrency র বিভিন্ন প্রকার গুলো কি কি ?

এখন নিচে আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রকারগুলোর বিষয়ে নিচে জেনেনিব।

এমনিতে cryptocurrency গুলোর প্রকার অনেক হতে পারে।

আমি নিচে কেবল সেই প্রকার গুলোর বিষয়ে বলবো, যেগুলো ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং যেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে।

  1. Bitcoin (BTC)
  2. Ethereum (ETH) 
  3. Litecoin (LTC)
  4. Dogecoin (Doge)
  5. Faircoin (FAIR)
  6. Dash 
  7. Peercoin (PPC)
  8. Ripple (XRP)
  9. Monero (XMR)

চলুন cryptocurrencies এর প্রকার গুলোকে নিচে অধিক ভালো করে জেনেনি। 

Bitcoin (BTC) 

যখন আমরা cryptocurrencies নিয়ে কথা বলছি তখন bitcoin এর নাম এর প্রকার গুলোর মধ্যে সবচে প্রথমেই আসবে। 

কারণ, bitcoin কে দুনিয়ার সব থেকে প্রথম cryptocurrency হিসেবে বলা হয়। 




বলা হয় যে, ২০০৮ সালে একজন অজানা ব্যক্তি বা দলের দ্বারা “Satoshi Nakamoto” নাম দিয়ে bitcoin কে ইভেন্ট (invent) করা হয়েছিল। 

এটা একটা digital currency যেটাকে online কেনা-কাটা (shopping) করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। 

যা আমি আগেই বলেছি, bitcoin হলো একটি Decentralized currency যেটার ওপরে সরকার বা অন্যান্য ইনস্টিটিউট এর হাত নেই। 

Share market এর মতোই bitcoin এর মান (value) কমতে ও বাড়তে থাকে। 

তবে, বর্তমান সময়ে একটি বিটকয়েন এর মূল্য প্রায়২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ভেতরে। 

Ethereum (ETH) 

Bitcoin এর পর দ্বিতীয় সব থেকে বড় এবং প্রচলিত cryptocurrency হলো “Ethereum“.

এটাও bitcoin এর মতোই একটি open-source, decentralized blockchain-based computer program.  

বর্তমানে অনেক বেশি পরিমানে ব্যবহার করা এই cryptocurrency এর প্রতিষ্ঠাতা (founder) হলো “Vitalik buterin“. 

বিটকয়েন এর পর এটা অনেক প্রসিদ্ধ একটি cryptocurrency.

1 Ether” এর মূল্য বর্তমানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। 

তবে, কিছুন আগেই ২০২০ এর শুরুতে 1 Ether” এর মূল্য প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিল। 

Litecoin (LTC) 

Litecoin ও অবশই একটি decentralized peer-to-peer cryptocurrency এবং একটি open source software project যেটাকে MIT/X11 license এর অন্তর্গত release করা হয়েছে। 

October 2011 সালে “Charles lee” দ্বারা release করা হয়েছিল “Litecoin”. 

তাছাড়া Charles lee আগে ছিলেন একজন Google employee.

এই নতুন cryptocurrency র features গুলো প্রায় bitcoin এর মতোই বলা যেতে পারে। 

বর্তমানে 1 Litecoin এর মান (value) প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার ভেতরে। 

Bitcoin এবং Litecoin এর মধ্যে ভালো একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে যেতে হলো block time এর। 

Litecoin Network এর মধ্যে টার্গেট করা হয় 2.5 minutes এর block time.

কিন্তু, Bitcoin network এর মধ্যে টার্গেট করা হয় 10 minutes এর block time.

তাই, bitcoin এর তুলনায় litecoin এর মধ্যে transactions গুলো অধিক তাড়াতাড়ি confirm হয়ে থাকে।

Dogecoin (Doge) 

Dogcoin হলো একটি cryptocurrency যেটাকে ইনভেন্ট করা হয়েছিল Billy Markus এবং Jackson Palmer নামের software engineer দ্বারা।

এরা একটি দ্রুত, মজার এবং ফ্রি পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই December 6, 2013 সালে Dogecoin রিলিজ করেছিলেন। 


Dogecoin এর লোগোতে জনপ্রিয় Shiba Inu dog এর চেহারা (face) দেখানো হয়েছে। 

বর্তমানে dogecoin এর ভ্যালু (value) অনেক কমে রয়েছে। 

ভারতে বর্তমানে, 1 DOGE = 0.62 টাকা এবং 3 DOGE = 1.85 টাকা। 

এখানেও mining অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। 

Litecoin এর মতোই এখানেও Scrypt Algorithm এর ব্যবহার হয়ে থাকে। 

Faircoin (FAIR) 

Faircoin ও bitcoin এর মতোই blockchain technology ব্যবহার করে থাকে। 

তবে বলা হয় এটা bitcoin থেকেও ভালো করে perform করে থাকে। 

অনেক কম energy ব্যবহার করেই এখানে fast এবং secure transactions করা হয়। 

Faircoin এর মধ্যে coin গুলোকে verify করার জন্যে “proof-of-stake” বা “proof-of-work” এর জায়গায় “proof-of-cooperation” এর ব্যবহার করা হয়।  

Dash 

Dash হলো একটি open source cryptocurrency.

এর আগের নাম গুলো ছিল Xcoin এবং Darkcoin. 

“Dash” নামের অর্থ হলো “digital” এবং “cash” যেটাকে মিলিয়ে বলা হয়েছে Dash.

এটাও bitcoin এর মতোই peer-to-peer cryptocurrency যেটা ওপেন সোর্স।

তবে, bitcoin এর তুলনায় এখানে কিছু উন্নত এবং আধুনিক features অবশই রয়েছে।

যেমন, “InstantSend” এবং “PrivateSend” ইত্যাদি। 

InstantSend এর ক্ষেত্রে একজন ইউসার তার transaction টিকে অনেক সহজেই সম্পূর্ণ করে নিতে পারে। 

তবে, PrivateSend এর ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি transaction সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ (safe) থাকে যেখানে user এর privacy নিয়ে বিশেষ ধ্যান দেওয়া হয়। 

“X11”, নামের একটি আলাদা রকমের algorithm ব্যবহার করা হয় Dash এর মধ্যে।

এই ক্ষেত্রে, অনেক কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেও লোকেরা নিজেই নিজের currency গুলোকে mine করিয়ে নিতে পারবেন।  

Peercoin (PPC) 

Peercoin কে PPCoin বা PPC বলেও বলা হয়। 

এটাও bitcoin এর মতোই একটি peer-to-peer cryptocurrency,

যেখানে, proof-of-stake এবং proof-of-work দুটোই systems ব্যবহার করা হয় transactions গুলোকে verify করার ক্ষেত্রে। 

Peercoin এর মধ্যেও bitcoin এর মতো SHA-256 ALGORITHM এর ব্যবহার হয়। 

এখানে যেকোনো transaction বা mining করার ক্ষেত্রে অনেক কম power এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

Ripple (XRP) 

এই cryptocurrency রিলিজ হয়েছিল ২০১২ সালে যেটা distributed open source protocol এর ওপরে based করা। 

Ripple হলো একটি real-time gross settlement system যেটা নিজের cryptocurrency চালায় যাকে Ripples (XRP) বলা হয়। 

জনসাধারণের মধ্যে অনেক প্রসিদ্ধ cryptocurrency হলো এটা। 

Monero (XMR) 

২০১৪ সালে রিলিজ হওয়া এই cryptocurrency মূলত privacy নিয়ে focus করে থাকে। 

এই cryptocurrency প্রত্যেকটি system যেমন, Windows, Mac, Linux, Android এবং FreeBSD তে কাজ করে। 

Bitcoin এর ক্ষেত্রে high-end CPU এবং hardware ব্যবহার করতে হয়,

তবে, Monero এর ক্ষেত্রে consumer-level CPU এবং hardware এর ব্যবহার করা যাবে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সির লাভ এবং সুবিধা (advantages)

  • সত্যি বললে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে fraud হওয়ার সুযোগ প্রায় অনেক কম থাকে। 
  • সাধারণ digital payment এর তুলনায় অধিক secure বলা যেতে পারে। 
  • নিজের মোবাইলের মাধ্যমে international transactions করা সম্ভব। 
  • অন্যান্য payment options এর তুলনায় এখানে transaction fees অনেক কম। 
  • Cryptography algorithm এর ব্যবহারের ফলে account গুলো অনেক secure থাকে। 
  • Peer-to-peer payment system এর ফলে কোনো external source বা authority র approval ছাড়াই, network এর ভেতরে বিশ্বের যেকোনো জায়গার থেকে যেকোনো জায়গায় payments send এবং recieve করা সম্ভব। 

ক্রিপ্টোকারেন্সির অসুবিধা (disadvantages)

  • Cryptocurrency র মাধ্যমে একবার transaction করে নেওয়ার পর সেটাকে reverse করা সম্ভব না। 
  • যদি আপনার currency wallet ID হারিয়ে যায়, তাহলে সেটাকে ঘুরিয়ে পাওয়াটা অসম্ভব। আপনার wallet এর মধ্যে থাকা currency গুলো এভাবেই হারিয়ে থাকবে। 
  • এটাও একটি digital technology আর তাই cybersecurity breaches এর ফলে hacking এর সম্ভাবনা কিছু হলেও এখানে থাকছে। 
  • যেহেতু cryptocurrency এর ওপরে government authorities এর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, তাই এই digital technology গুলোতে invest করাটা অবশই একটি risky বেপার। 

আজকে আমরা কি শিখলাম,

বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখলাম ক্রিপ্টোকারেন্সি কাকে বলে (about criptocurrency in Bangla) এবং এর বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে। 

এমনিতে, যদি আপনাদের আমাদের আজকের আর্টিকেল ভালো লেগেছে,

তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার (share) করবেন। 

তাছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে এই আর্টিকেলটি আমি ইন্টারনেট থাকা বিভিন্ন অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলোর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখেছি। 

তাই, সমস্যা থাকলে অবশই জানিয়ে দিবেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.