আই.ই.এল.টি.এস শুন্য থেকে শুরু কিভাবে শুরু করবেন IELTS এর কোটিনাটি বিষয় তুলে ধরলাম ।
সাতার শিখতে হলে পানিতে নামতে হয়। আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে হবে। কোচিং সেন্টারে ঘোরাঘুরি না করে নিজে নিজেই দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
দৈনিক অন্তত দুই ঘন্টা ইংরেজি কাগজ, ম্যাগাজিন ও বই মনোযোগ সহকারে পড়ুন, বিবিসি, সিএনএনের প্রোগ্রাম দেখুন। অন্তত এক বছর পর আইএলটিএস সম্পর্কে বই পত্র ও প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করুন।
আই ই এল টি এস এর জন্য উচ্চারণ ফলো করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করে প্র্যাকটিস করতে থাকেন। এতে একদিকে যেমন ভোকাবুলারি বাড়বে, লিসেনিং পাওয়ারও বৃদ্ধি পাবে। IELTS লিখে গুগল সার্চ দিলে প্রচুর তথ্য পাওয়া যাবে। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ডাউনলোড করে প্রস্তুতির জন্য সাহায্য পেতে পারেন।
** স্কোর ঃ- এক থেকে নয় এর স্কেলে IELTS এর দেওয়া হয়।চারটি অংশে আলাদাভাবে প্রাপ্ত স্কোর যোগ করে গড় হিসেব করে চূড়ান্ত স্কোর দেওয়া হয়।ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত সাড়ে ছয় থেকে সাত পেতে হয়।তবে সাড়ে ছয় এর কম খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়।
*** প্রস্তুতি ঃ- শুরুতেই লক্ষ্য ঠিক করে নিন।এজন্য প্রথমেই কয়েকটা মক টেস্ট দিয়ে নিতে পারেন।এর স্কোর দেখে বুঝতে পারবেন আপনি কাঙ্খিত স্কোর থেকে কতটা দূরে অবস্থান করছেন।**এর পর শুরু করে দিন প্রস্তুতি পর্ব্।**প্রতিদিন নিয়ম করে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।একেক জনের একেক রকম সময় লাগে।তবে মাস তিনেক হাতে রাখা ভালো।প্রস্তুতির ক্ষেত্রে স্পিকিং অংশে ভালো স্কোর পেতে বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস চালু করা বেশ কাজ দেয়।
ক্যামব্রিজ থেকে প্রকাশিত IELTS পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।IELTS পরীক্ষায় ভালো স্কোর পেতে এগুলো সমাধান করা খুব জরুরী।মক টেস্ট প্রস্তুতির জন্য সময় ঘড়ি দেখে বা স্টপ ওয়াচ ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান অনেক কাজ দেবে।IELTS সর্ম্পকে যেকোন তথ্য পেতে সবচেয়ে র্নিভরযোগ্য মাধ্যম হলো ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি বাংলাদেশ।ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিতে প্রস্তুতির জন্য অনেক ভালো বই ও ব্যবহারিক উপকরণ পাওয়া যায়।লাইব্রেরির সদস্য হলেই এগুলো ব্যবহার করা যাবে।যেকোন জায়গা থেকে যেনতেন বই কিনে অর্থের অপচয় না করাই ভালো।ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়,আইডিপি অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটিশ সরাসরি তত্ত্বাবধানে IELTS হয়।এসব স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হলে বিকল্প বা ছোট প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করার কোন দেরকার নেই।
*** কোথায়, কিভাবে পরীক্ষা?
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপির আয়োজনে IELTS পরীক্ষা দেওয়া যায়।প্রকি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেয়া হয়।ওয়েবসাইট বা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন।দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।পরীক্ষার ফি এখন টাকায় নেয়া হয়। পরীক্ষার দেওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সময়ের পাসর্পোট ও দুই কপি পাসর্পোট আকারের রঙ্গিন ছবি লাগবে।“IELTS স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর”।
বাড়িতে বসেই অনলাইনে ফরম পূরন করে টাকা জমা দেওয়া যাবে।ঢাকা,চট্টগ্রাম ও সিলেট স্ট্যার্ন্ডাড চার্টাড ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারবেন কোন কোন শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে।এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার পরীক্ষার সময়,স্থান,নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি তথ্য।অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট কপি ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ সংগ্রহে রাখুন। এগুলো পরে কাজে লাগতে পারে।ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ঢাকা,চট্টগাম ও সিলেটে পরীক্ষা দেওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই