HSC পরিক্ষা নিয়ে আমার কিছু কথা | লেখক জুয়েল আহমেদ ।

HSC পরিক্ষা নিয়ে আমার কিছু কথা  | লেখক জুয়েল আহমেদ  । 


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জুয়েল আহমেদ 
_____________________________________________
তারিখঃ ০২  ডিসেম্বর  ২০২১ ইংরেজি,১৮ অগ্রাহায়ন ১৪২৮ বাংলা,২৬ রবিঃ সানিঃ১৪৪৩ হিজরী, রোজ বৃহস্পতিবার,সময় রাত ১২ঃ৩০ মিনিট । 
_____________________________________________

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । 
আসসালামু আলাইকুম, আমি মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ , সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন ?  আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহ তালা'র অশেষ মেহেরবানিতে অনেক ভালো আছি, ইদানীং আমি বেশ ব্যাস্ততা মধ্যে সময় কাটিয়েছি , এইজন্য কিছুদিন যাবত আমি কিছু লিখার সময় পাচ্ছিনা,আজ একটু সময় পেয়ে আপনাদের সামনে লিখতে হাজির হলাম আজকে আমার  HSC পরিক্ষার অবিজ্ঞতা নিয়ে লিখবো । তাই আর বক বক না করে লিখছি শুরু করলাম। 

      ছবি সংগৃহীত: গুগল মামার কাছ থেকে নেওয়া 

অবশেষে শুরু হচ্ছে HSC পরীক্ষা! 
২০২১ এর সকল HSC পরীক্ষার্থীদের জন্যে অনেক দোয়া আর শুভকামনা। ❤ 

পরীক্ষার প্রস্তুতি মানে কিন্তু কেবল সিলেবাস শেষ করে বারকয়েক রিভিশন দিয়ে হলে গিয়ে পরীক্ষায় খাতায় প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেয়া নয়। পরীক্ষার সময় লেখাপড়ার প্রস্তুতিটুকু নেওয়া যতখানি জরুরি ঠিক তেমনি পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াটাও ঠিক ততটাই জরুরি। 

তাই আজ শেয়ার করছি আমি নিজে পরীক্ষার জন্যে যে ৭টি উপায়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতাম! 

১। পরীক্ষার পর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর মেলাবে না: 

আমরা অনেকেই পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ছোটখাটো আলোচনা শুরু করে দিই। ক্ষেত্রবিশেষে যেটা পরবর্তী পরীক্ষার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যে পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গিয়েছে সেটার ভুল খুঁজে পেলেই বা আর কতটুকু লাভ হবে বরং এতে করে পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার মানসিকতাটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা নিশ্চয়ই কারও কাম্য নয়! তাই, এই অভ্যাসটা থেকে বেড়িয়ে আসাটাই শ্রেয়! 

২। বৃত্ত ভরাট নিয়ে ভয় পাবে না: 

এখনকার পরীক্ষাপদ্ধতির অনেকই OMR নির্ভর। পদে পদে বৃত্ত ভরাট করতে হয় বলে ভুল হওয়ার শঙ্কাটাও রয়েই যায়। তাই এই বৃত্ত ভরাট করার সময় আমাদের একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্তত ২-৩ বার পুরো ব্যাপারটা চেক করা উচিত যাতে করে কোথাও কোনো কিছু অসতর্কতাবশত মিস হয়ে গেলেও সেটা চোখে পড়ে। আর ও এম আর শিটে যদি বৃত্ত ভরাটের সময় কোনো ভুল হয়েও যায় তাহলেও ভয় পাবার কোনো প্রয়োজন নেই। পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত পর্যবেক্ষককে বিষয়টা দ্রুত জানালে তিনিই পুরো ব্যাপারটার দেখভাল করবেন। প্রয়োজনসাপেক্ষে সেই উত্তরপত্র মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি চেক করার ব্যবস্থাও হতে পারে। তাই বৃত্ত ভরাটে ভুলবশত ভুল করে ফেললে আতঙ্কিত হওয়া নিষ্প্রয়োজন।  

৩। শুরুটা যেন সুন্দর হয়: 

ক্রিকেট খেলায় যেমন প্রতি ইনিংসের প্রথম অর্থাৎ ওপেনিং জুটিটা কিন্তু প্রতিপক্ষকে চাপে রাখবার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঠিক তেমনি ফুটবলের ক্ষেত্রেও প্রথমার্ধে যদি গোল হয়ে যায় তাহলেও প্রতিপক্ষ বেশ চাপে পড়ে যায়। আর যে দল প্রথমে গোল করে সে দল ম্যাচ চলাকালীন পুরো সময়টায় ফুরফুরে মেজাজে থাকে। পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এই কৌশলটা কাজে লাগানো যেতে পারে। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিকে উত্তর করো সেসব প্রশ্নের যেগুলো তুমি সবথেকে ভালো জানো। এতে করে তোমার পরীক্ষাটাও বেশ ভালো হবে। 

৪। ‘ভয়’ পাওয়া যাবে না: 

“বনের বাঘে খায় না; মনের বাঘে খায়!” - এটি বেশ প্রাচীন একটি উপকথা। প্রাচীন হলেও কথাটার গুরুত্ব বেশ গভীর। আমাদের মনের মধ্যে জন্মানো ভয়, দুশ্চিন্তা, সন্দেহগুলো আমাদের ইতিবাচকতা, উদ্যম নষ্ট করে দেবার জন্যে যথেষ্ট। পরীক্ষা নিয়ে ভয়, দুশ্চিন্তা আমাদের সবারই কম বেশী হয়। তাই পরীক্ষার আগে কেবল তুমি একাই দুশ্চিন্তা আর অস্বস্তিতে ভুগছো এমন ভাবাটা অবান্তর। 

৫। সময়টাকে ভাগ করে নিও: 

পরীক্ষার সময় হোক সেটা পরীক্ষার পূর্বে কিংবা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করাটা বেশ গুরত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে হাতঘড়ি একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। আর, পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্ন তো জানাই থাকে তাই পরীক্ষা চলাকালীন সময়টাকে হলে ঢোকার আগেই প্রশ্নের সংখ্যার অনুপাতে ভাগ করে নাও। আর নজর রেখো প্রতিটা প্রশ্নের জন্যে বরাদ্দকৃত সময়ের মধ্যেই তুমি সে প্রশ্নের উত্তরটা পুরোপুরি শেষ করতে পারছো কি না। 

৬। পূর্ব পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিও: 

কথায় বলে যুদ্ধ শুরুর আগেই নাকি যুদ্ধের ফলাফল অর্থাৎ যুদ্ধে কারা জয়ী হবে সেটা নির্ধারণ করে ফেলা সম্ভব। যুদ্ধজয়ের মূল রহস্য নিহিত থাকে পরিকল্পনায়। ঠিক তেমনি পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রেও এই পূর্ব পরিকল্পনার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হবে যে কোন কোন টপিকের ওপর জোর দেবে। পরীক্ষার হলে গদ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে নাকি পদ্য সেটা যেন আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখো কোন প্রশ্নের পেছনে কতটুকু সময় দেবে। সব ধরণের পরিস্থিতির জন্যে আলাদা করে পরিকল্পনা করে নিজেকে প্রস্তুত রাখো যাতে করে যে কোনো পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে পারো।

৭।নিজে কী ভাবছো সেটাও অনেক জরুরি: 

আমাদের চিন্তা-ভাবনা ও ধারণার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা যদি ভাবি যে আমাদের দ্বারা সফলতা অর্জন সম্ভব তাহলে সেটা প্রকৃত অর্থেই সম্ভব। একইভাবে আমরা যদি ভেবে বসি যে, “আমাদের দ্বারা কভু কিছু সম্ভব নয়।” তাহলে সেটাও কিন্তু ভুল নয়! তাই মন থেকে নেতিবাচকতাকে ঝেড়ে ফেলে দাও। মন থেকে বিশ্বাস করতে শেখো যে তুমি পারবে। সফলতা আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র! 

আশা করি সবার পরীক্ষা খুব ভালো হবে। শুধু দুশ্চিন্তা না করে মাথাটা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিও। শুভকামনা আরও একবার৷ 😀


                মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ 
__________________________________________________________________________________________
মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ,  আমি একজন ক্ষুদ্র ব্লগার। লিখতে খুব ভালােবাসি, তাই লিখালিখি করি ।অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগে আমি  ২০১৬ সালের থেকেই  লিখালিখি করছি । আমি বিয়ানিবাজার সরকারি কলেজে লেখা পড়া করতেছি । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন , যাতে আমি বড় হয়ে একজন আদর্শ বান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে পারি ।

ভালো থাকুন । আজ এই পর্যন্ত ।




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.