আত্মবিশ্বাসী হওয়ার উপায় । আত্মবিশ্বাস অর্জনের উপায় – (সেরা ১২টি)

রাখতে হবে। প্রশ্ন জিগেশ করা, নোট তৈরি করা এবং নতুন নতুন তথ্য গ্রহণ করার মতো কাজ গুলো করার অভ্যেস আপনার রাখতে হবে।

৩. দীর্ঘদিন পড়াশোনা মনে রাখার জন্যে নিয়মিত এবং সময়ে সময়ে পুনর্বিবেচনা (revision) করাটা জরুরি।

৪. পড়াশোনা ও তথ্য গুলোকে নিজের ভাষায় নিজেকে বুঝাতে চেষ্টা করুন। এতে, বিষয় গুলোকে অনেক তাড়াতাড়ি নিজের হিসেবে বুঝতে পারবেন ও সেটা দীর্ঘদিন মনে থাকবে।

৫. যেকোনো নতুন তথ্য গুলোকে আগের থেকে জানা পুরোনো তথ্য গুলোর সাথে সংযুক্ত করে বুঝার চেষ্টা করুন। এতে, বিষয় গুলো অনেক তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন এবং দীর্ঘদিন মনে থাকবে।

৬. পড়ার সময় নিজের মনের মধ্যে তথ্য গুলোর মানসিক চিত্র (mental images) তৈরি করে পড়ার চেষ্টা করুন। এতে, তথ্য গুলো বুঝতে এবং মনে রাখতে সুবিধা হবে। 

৭. নিজের পড়াশোনা করার সময় আপনি যেই তথ্য গুলো শিখেছেন সেগুলো অন্যদের পোড়ানোর বা বুঝানোর চেষ্টা করুন। এতে তথ্য গুলো আপনি ভালো করে বুঝার সাথে সাথে দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারবেন। 

৮. নিজের সমবয়সীদের দল এর সাথে একসাথে গ্রুপ স্টাডি করাটাও কিন্তু আপনার জন্যে লাভজনক। এতে আপনি অনুপ্রাণিত (motivated) থাকার সাথে সাথে অন্যদের থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

৯. একনাগাড়ে পড়াশোনা করার চেয়ে আপনি নিয়মিত বিরতি নিয়ে পড়াশোনা করুন। এতে পড়ার সময় আপনার ফোকাস বজায় থাকবে।

১০. পর্যাপ্ত পরিমানের ঘুম স্মৃতি এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই, প্রত্যেক রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমোনোর চেষ্টা রাখতে হবে।

এইটা অবশই মনে রাখতে হবে যে বিভিন্ন ছাত্রদের পড়াশোনা করার বিভিন্ন নিয়ম বা শৈলী থাকতে পারে। আর একজন ছাত্রের জন্যে যেই নিয়মটি কাজ করছে হতে পারে সেটা অন্য আরেকজনের জন্যে কাজ নাও করতে পারে।

তাই, নিয়মিত নতুন নতুন কৌশল গুলো অনুসরণ করে দেখুন এবং কোনটি আপনার জন্যে ভালো কাজ করছে সেটা খুঁজে বের করে সেই হিসেবেই পড়াশোনা করুন।

ছাত্র হিসেবে সফল হওয়ার কৌশল এবং উপায়

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি একজন ছাত্র হিসেবে আপনারা কিভাবে সফল হতে পারবেন, কি কি ধাপ ও কৌশল গুলো অনুসরণ করে একজন সফল ছাত্র হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারবেন, সবটাই আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

ছাত্রজীবনে সফলতা পেতে হলে আপনারা নিজের পড়াশোনার সাথে অন্যান্য বিষয় গুলোতেও সমান ভাবে নজর দিতেই হবে।

তাহলে, যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এছাড়া, আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার অনুরোধ অবশই থাকছে।

তাই যাদের  মধ্যে আত্মবিশ্বাস নেই তাঁরা জীবনে কিছুই করে উঠতে পারেনা। 

কিভাবে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায় । আত্মবিশ্বাস অর্জনের উপায়

আপনার মধ্যেও যদি আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে থাকে তাহলে হতাশ হওয়ার কোনো দরকার নেই,

কারণ আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের কিছু উপায় বলতে চলেছি যেগুলো মূলত একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনিও জীবনে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবেন। 

তাহলে চলুন বন্ধুরা আত্মবিশ্বাসী হওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। 

১. নিজের দক্ষতা (skill) বৃদ্ধি করুন

যদি আত্মবিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য গুলোর বিষয়ে কথা বলা হয়, তাহলে তাদের একটি মূল বৈশিষ্ট হলো “নিয়মিত নতুন নতুন বিষয়ে জানার চেষ্টা করা ও নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা”.

নিয়মিত কিছু না কিছু নতুন শেখার মাধ্যমে নিজের skills বাড়ানোর ওপরে নজর দিন।

বর্তমান সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করে রাখুন, বর্তমানের খবর এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞান রাখুন।

এতে, যখনি আপনি কোথাও যাবেন বা বসবেন তখন কথা বলার জন্যে আপনার কাছে প্রচুর বিষয় থেকে যাবে।

আর যিহেতু, আপনি বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে আপডেট রেখেছেন, তাই আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলতে পারবেন।


২. লোকেদের সাথে নিজের থেকে কথা বলুন

আমাদের self confidence একেবারে কোমে আসার মূল কারণ হলো, এখনের সময়ে নিজের থেকে আমরা কেও কথা বলতে চাইনা।

আর এভাবেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে আমরা অধিক একা হয়ে পড়ছি এবং ধীরে ধীরে আমাদের আত্মবিশ্বাস অবশই কমে আসছে।

তাই, আজ থেকে একটি নতুন অভ্যেস নিজের মধ্যে নিয়ে আসুন।

রাস্তায় বা ঘরের বাইরে বা পরিবারের সদস্যদের সাথে নিজের থেকে কথা বলার অভ্যেস আপনাকে করতে হবে।

আপনি যদি একনিতে কম কথা বলেন, তাহলে শুরুতে নিজের থেকে কথা বলতে আপনার অল্প সংকোজ ও সমস্যা অনুভব হতেই পারে।

তবে, নিয়মিত চেষ্টা করতে করতে আপনি এই কাজে একেবারে এক্সপার্ট হয়ে দাঁড়াবেন।

মনে রাখবেন, self confidence বাড়ানোর ক্ষেত্রে talk therapy কিন্তু অনেক কাজে আসে।

তাই, যখন আপনি নিয়মিত চেনা অচেনা লোকেদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শিখে যাবেন, দেখবেন আপনার মন ভালো লাগবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

৩. ধীরে কথা বলার অভ্যাস পাল্টান

যাদের মধ্যে self confidence একেবারেই কম থাকে, তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো যে এই ধরণের ব্যক্তিরা সব সময় অনেক ভয়ে ভয়ে বা কম আওয়াজে বা ধীরে কথা বলেন।

এই ধরণের ব্যক্তিরা ধীরে এইজন্যেই কথা বলে যাতে অন্যের ধ্যান বা নজর তাদের ওপর না পরে।

এছাড়া, যেকোনো কথা বলতেই তারা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সেই কথা গুলো বলেননা, তাই তারা কথা গুলো অনেক ধীরে বলে থাকেন।

আর এই কারণে, আপাকে ধীরে কথা বলার অভ্যেস ছাড়তে হবে।

আপনাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস এবং ভয় না পেয়ে সঠিক আওয়াজের সাথে কথা বলতে হবে।

তাই, আপনি যদি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইছেন, তাহলে জোরে এবং সাহসের সাথে কথা বলতে ভুলবেন না।

৪. যে কাজে ভয় করেন সেটি বার বার করুন

আমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলতাকে আমাদের শক্তি বানানো উচিত। 

যে কারণে আমাদের মনে হয় আমরা দুর্বল হয়ে পড়ছি সেই কাজগুলোই আমাদের বার বার করা উচিত।

অর্থাৎ এমন কাজ যেগুলো থেকে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দূরে থাকি বা আতঙ্কিত থাকি সেগুলো করা শুরু করুন।

যেদিন আমাদের এই দুর্বলতাই আমাদের শক্তি হয়ে উঠবে সেদিন আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব আর থাকবেনা।  

আর তাই আপনার যদি কোনো কিছুতে দূর্বলতা থাকে তাহলে সেটি দূর করার সবথেকে ভালো উপায় হলো আপনি সেই কাজটি বার বার করুন। 

অনেকের অনেক কিছুতে ভয় থাকে, কিন্তু সেই ভয়কে যদি আপনি একবার  জয় করে নিতে পারেন তাহলে আপনার মধ্যে এক নতুন আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে এবং আপনি নিজের দুর্বলতাকে শক্তি বানিয়ে আগে বাড়ার প্রেরণা পাবেন। 

৫. লক্ষ্যকে ছোটো ছোটো উদ্দেশ্যে ভাগ করা

সবের প্রথমে আমরা জেনে নেই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য কি ?

যদি আপনার, পরীক্ষায় টপ করা লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে তাঁর জন্য সব থেকে প্রথম কাজ হলো প্রতিটি বিষয়ের পেপার ক্লিয়ার করতে হবে। 

এই একটি লক্ষ্যকে পাওয়ার জন্য ভালো করে পরিশ্রম করা এবং পুরো বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয়। 

সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা, নিয়মিত সঠিক সময়ে পড়াশোনা করা, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি।

এগুলো হলো পরীক্ষায় সফল হওয়ার লক্ষ্যকে পাওয়ার জন্য ছোটো ছোটো উদ্দেশ্য। 

এই ছোটো ছোটো উদ্দেশ্য গুলোর থেকেই আপনি বড় লক্ষ্য পাওয়ার প্রেরণা পাবেন, উৎসাহ পাবেন,

এবং এরফলে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে যা আপনার লক্ষ্যকে পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। 

তাই, জীবনের বড় বড় লক্ষ্য গুলোকে পাওয়ার জন্যে ছোট ছোট উদ্দেশ্য তৈরি করুন এবং সেগুলোকে নিয়মিত সম্পূর্ণ করতে থাকুন।

তাই এর জন্য একটি সরল উপায় হলো আপনি নিজের প্রিয়জনদের, যেমন আপনরা ঘরের সদস্যদের সাথে বা আপনার বন্ধুদের সাথে অধিক সময় কাটান এবং চেষ্টা করবেন তাঁদের সামনে মন খুলে কথা বলতে। 

এভাবে যদি আপনি শুরুটা ঘর থেকে করেন, তাহলে আপনার মনের জোর ধীরে ধীরে বারতে শুরু হবে। 

ঘরের ছোটো ছোটো অনুষ্ঠানে যোগ দিন এবং সকলের সামনে নিজেকে ব্যক্ত করুন।

এর ফলে আপনার মনে সাহস আসবে এবং এই সাহস আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলতে সাহায্য করবে। 

১০. নিজের সফলতা মনে রাখুন

বেশিরভাগ মানুষই নিজের সফলতা এবং উপলব্ধি গুলো ভুলে যায় বা মনে কম রাখেন।

সবসময় নিজের অতিতের সফলতা গুলো মনে রাখার চেষ্টা করবেন, লাগে সেটা ছোটই হোক না কেন। 

কারণ সেটাই আপনাকে ভবিষ্যতের বড় বড় সফলতা গুলো পেতে প্রেরণা দিবে।

এবং আপনার জীবনকে সকরাত্মক চিন্তাধারার সাথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে সেই আগের উপলব্ধি গুলো। 

তাই জীবনের নকরাত্মক দিকগুলোতে ধ্যান না দিয়ে নিজের অতিতের সফলতার উপর ধ্যান কেন্দ্রিত করার চেষ্টা করবেন। 

১১. প্রতিদিন ধ্যান করুন

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সব থেকে ভালো উপায় হলো ধ্যান করার অভ্যাস করা।

তাই আপনিও যদি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আজ থেকেই ধ্যান করার অভ্যাস শুরু করে দিন।

কারণ, আত্মবিশ্বাসী হতে গেলে সবথেকে প্রথম আমাদের মানসিক ভাবে সুস্থ হওয়া দরকার।

এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সব চিন্তা ভাবনা ভুলে গিয়ে মস্তিস্ককে কিছু সময়ের জন্য রিলাক্স রেখে ধ্যান করা উচিত।

প্রতিদিন সকালে উঠে বা বিকালে কিছু সময়ের জন্য কোনো শান্ত জায়গায় বসে ধ্যান করুন।

প্রতিদিনের এই অভ্যাস আপনাকে অল্প অল্প করে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, তবে তা আপনি নিজেও অনুভব করতে পারবেন।

১২. অধিক থেকে অধিক অভ্যাস করুন

আপনি যদি কোনো নতুন স্কিল (skill) শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে তার জন্য অধিক থেকে অধিক অভ্যাস করতে হবে।

মনে রাখবেন, আপনি যতো বেশি অভ্যাস করবেন সেই স্কিলে ততোই বেশি এক্সপার্ট হতে শুরু করবেন, এবং আপনার মধ্যে নতুন করে অধিক আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। 

কারণ অভ্যাস ছাড়া আপনি নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেননা।

প্রতিটি সফল ব্যক্তি একদিনের অভ্যাসে সফলতা পায়না, তার জন্য অনেক দিনের অভ্যাস এবং কঠোর পরিশ্রম তাঁদের সফলতা পেতে সাহায্য করে থাকে ।

তাই নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন গুলো করতেই হবে। 

এবং, এমন কার্যকলাপ গুলো করার নিয়মিত অভ্যেস করতে হবে যেগুলো সত্যি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সক্ষম।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.