স্মার্ট হওয়ার ৫টি সহজ উপায় | জুয়েল আহমদ | 5 Easy Ways to Become Smarter | Juwel Ahmed |
স্মার্ট হওয়ার উপায় জানতে চায় অনেকে। smart হওয়ার উপায় আসলেই অনেক সহজ। আজকের এই লেখায় স্মার্ট ব্যক্তিদের জীবনী ও লেখা থেকে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে।
স্মার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে খুব দামি দামি পোশাক পড়তে হবে এমন নয়। কিছু কৌশল আর অভ্যাস আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে। স্মার্ট মানুষের চাহিদা সকল ক্ষেত্রের প্রথমে। মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সব কিছুই তারা অর্জন করে নিতে পারে।
স্মার্ট ব্যক্তিরা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিয়ে, তার সমাধান করতে পারে। যাই হোক ভূমিকা বড় না করে, স্মার্ট হওয়ার উপায় জানা যাক।
স্মার্ট হওয়ার উপায়
স্মার্ট কাকে বলে?
স্মার্টের সংজ্ঞা জানার আগে আভিধানিক অর্থ জানা যাক। ইংরেজি smart অর্থ:
- বুদ্ধিমান ,
- রসবোধ-পূর্ণ,
- উজ্জ্বল,
- পরিচ্ছন্ন ও সু-বেশধারী,
- চটপটে,
- দ্রুত যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সঠিক চিন্তা করতে সক্ষম।
- প্রথম পরিচয়ে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে, আগে নিজের সম্পর্কে বলুন তারপর জিজ্ঞাসা করুন।
- সততা এবং ওয়াদা রক্ষা করুন।
২. ইতিবাচক অভ্যাস করুন
ভাল অভ্যাসই পারে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে তৈরি করতে। কিছু কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার মাঝে নিয়ে আসতে পারলে। খুব সহজেই স্মার্ট হতে পারবেন। যেমন:
প্রশ্ন করুন: সবসময় প্রশ্ন করুন। তবে, এই প্রশ্নগুলো গুগল কিংবা যেসব মাধ্যমে প্রশ্ন করা যায় সেসব মাধ্যমে করুন যেমন: কোয়ারা, বিস্ময় ইত্যাদি। এর ফলে আপনার মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি হবে। আর উত্তর জানার মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে।
প্রতি সপ্তাহের রুটিন করুন: আপনি ১ সপ্তাহে কি কি কাজ করবেন, তার একটা রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এর ফলে, আপনার কাজের প্রোডাক্টিটিভিটি বাড়বে। সেই সাথে কোন কাজ বাদ যাবে না।
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন: প্রতিদিন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। আর পূর্বে শেখা বিষয়গুলো রিভিশন দিন।
৩. মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন
আপনি কতটা স্মার্ট সেটা আপনার মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে। কেননা পূর্বে উল্লেখ করেছি বুদ্ধিমত্তা আর বিচক্ষণতা হল স্মার্ট হওয়ার উপায়। আর এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রয়োজন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি। মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব কাজ করতে পারেন। যেমন:
- পাজল বা রুবিক’স কিউব গেম খেলতে পারেন। এটা আপনার ব্রেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, সুডুকো খেলতে পারেন। যা অনলাইন কিংবা পত্রিকা, ম্যাগাজিনে পাওয়া যায়।
- সৃজনশীল কাজ কর্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। সেটা হতে পারে ছবি আঁকা।
- গণিত সমাধান করুন। এছাড়া, মানসিক দক্ষতা তথা IQ সমাধান করুন। এসব, অনুশীলন আপনার মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. শিক্ষাতে মন দিন
বলা হয় শেখার কোন শেষ নেই, তেমনি শেখার কোন বয়স নেই। হতে পারে আপনার অ্যাকাডেমি পড়াশোনা শেষ। কিন্তু, শিক্ষার কিন্তু শেষ হয়নি। নিয়মিত শেখার মধ্যে থাকুন। যেমন:
বিভিন্ন ধরণের বই পড়া: সেটা হতে পারে, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, আত্মজীবনী কিংবা ভ্রমণ। এই ধরণের বই পড়ার দ্বারা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি, দক্ষতা এবং ভাষা-গত ভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে।
শব্দার্থ শিখুন: শব্দার্থ সেবা আপনার মাতৃভাষা হতে পারে কিংবা ২য় কোন ভাষা হতে পারে। শব্দ ভাণ্ডার আপনার যত সমৃদ্ধ হবে আপনার শব্দ চয়ন ততটা মনোমুগ্ধকর হবে।
অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন: জীবনের প্রতিটি সময় একটি অভিজ্ঞতা। তাই, ভুল করুন কিংবা ঠিক করুন প্রতিটি কাজ থেকে শিক্ষা নিন।
৫. আপনার জীবনকে প্রসারিত করুন
নতুন ভাষা শিখুন: নতুন ভাষা শিখুন। সেই ভাষায় বই পড়ুন। সেই ভাষার মানুষের জীবন যাত্রা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন।
পরিবারকে সময় দিন: আপনার পরিবার আপনার জীবনের প্রধান অংশ। সুতরাং, আপনি যদি খুব ব্যস্ত থাকেন। তবে, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় শুধু পরিবারের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
বন্ধুদের সাথে সময় দিন: বন্ধুদের সাথে সময় দিন। তাদের, সাথে আনন্দ কিংবা হ্যাং হাউট করুন।
পরিশেষে
স্মার্ট হওয়ার উপায় আসলে অনেক। এই সংক্ষিপ্ত লেখায় আমি শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
কোন মন্তব্য নেই