তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়: কিভাবে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায় ?

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়: কিভাবে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায় ?

আপনি জানেন তো যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে কম করে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয় ?

আপনার কি প্রতিদিন এই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয় ? 

উত্তর, যদি না হয়, তাহলে জেনে রাখা ভালো যে, ঘুম ঠিকমতো না হলে, আপনার শরীর ও মন এমনকি মগজও ঠিকভাবে কাজ করতে অপারোগ হয়। 

আর, অনিদ্রাতে প্রতিনিয়ত ভোগার কারণে আপনার মধ্যে দেখা দিতে পারে ঘুম কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ব্যাধি; যথা- উদ্বেগ, হতাশা, ক্লান্তিভাব, খিটখিটে মেজাজ ও আরও অনেক কিছু। 

হয়তো, আপনি একজন মর্নিং-পার্সন নন, কিংবা কাজ বা পারিবারিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে- যা আপনাকে অনেক রাত অবধি জেগে থাকতে বাধ্য করে। 

কিন্তু, সারাদিন খাটাখাটনির পর, হয়তো রাতের সময়টুকুই আপনার রিলাক্সেশনের সময় হিসেবে বেঁচে থাকে।

আবার, অন্যদিকে রাতই হল আমাদের ঘুমের একমাত্র সময়। 

তবে যাইহোক, কোনো না কোনোভাবেই রিলাক্সেশনের চক্করে আপনার ঘুমের বারোটা ঠিক বেজেই যায়। 

আর, দেরি করে জেগে থাকার কারণে, তা আপনার পরের দিনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে থাকে।

করতে পারে।

৭. রাতের দিকে ক্যাফেইন বা নিকোটিন এড়িয়ে চলুন:

সিগারেট বা চা-কফির নেশা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। 

কিন্তু, রাতের দিকে এই ধরণের নেশার আপনার ঘুমের সর্বনাশ করে দিতে পারে। 

ঘুমাতে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে, নিকোটিন বা ক্যাফেইন জাতীয় স্টিমুল্যান্ট আপনার স্নায়ুকে বেশি মাত্রায় উত্তেজিত করে দিতে পারে। 

সুতরাং, ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা আগে চা, কফি, সিগারেট বা চকলেট না খাওয়ারই চেষ্টা করুন।   

৮. সময়ের আগে বিছানায় যান ও সময়ের আগে ঘুম থেকে উঠুন:

ধরুন, আপনি বর্তমানে রাত ১২টাতে শুতে যান। 

তাহলে, আজ থেকে সেই শোওয়ার সময় ১১:৪৫ মিনিটে করুন, তারও পরের দিন ১১:৩০ করুন এবং তারও পরের দিন সেটা ১১:১৫-তে করুন। 

এইভাবে, আপনার স্লিপিং টাইমকে প্রতিদিন একটু-একটু করে আপনার পছন্দের সময়ে নিয়ে আসুন।  

যদি, ঘুমানোর সময় এগিয়ে না আনতে পারেন, তাহলে সময়ের আগে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। 

এর পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল আপনার শরীরকে ক্লান্তবোধ করানো, যাতে আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। 

পরিশেষে:

একবার আপনি আপনার ঘুমানোর সময় ঠিক করে নিতে পারলে, এই নির্দিষ্ট রুটিনটিকে ধরে রাখুন। 

প্রকৃতপক্ষে, গবেষণা দেখা যায় যে, নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। 

দিনের শেষে একটা শান্তির ও গভীর ঘুম, ভালো কার্যক্ষমতা, চাঙ্গা মেজাজ, এবং ফুরফুরে মন ও শরীরের থেকে ভালো আর কি হতে পারে!

আমাদের আজকের ‘কিভাবে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায়?’- নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। 

আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্যে কোন পন্থা অবলম্বন করেন, তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.