ইমপ্রুভমেন্ট কি? ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষার নিয়ম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়?


ইমপ্রুভমেন্ট কি? ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষার নিয়ম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের জন্য ‪‎প্রমোশনের এ টু জেট নিয়মাবলী নিম্নে দেওয়া হল । 

ইমপ্রুভমেন্ট কি?



কোন এক বা একাধিক সাবজেক্ট এ তুলনামূলকরেজাল্ট না আসলে ওই বিষয় গুলো আবার পুনরায় নতুন করে পরীক্ষা দেওয়াকেই ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা বা এক্সাম বলে।

ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হওয়া বা ফেইল হলে করনীয় কি?
কোন পরীক্ষার্থী যদি ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা দেয়ে- পরিক্ষায় আগের নাম্বার এর চেয়ে কম নাম্বার পায় বা পরীক্ষায় ওই বিষয়ে ফেইল আসে তাহলে তার আগের ফলাফল-ই বহাল থাকবে। এবং আগের রেজাল্ট আর বর্তমান ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার রেজাল্ট এর মধ্যে যে রেজাল্ট ভালো হবে সে রেজাল্ট-ই কাউন্ট করা হবে ।

 ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষার সিলেবাস?
ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষার সিলেবাস নিয়ে অনেক পরীক্ষাথী দুরচিন্তায় পরে থাকেন, পরিক্ষা কি আবার নতুন সিলেবাস এর নিয়মে হবে, নাকি পুরাতন সিলেবাস এর নিয়ম অনুযায়ী হবে? প্রথমে আপনি যে পরিক্ষার সিলেবাসে আগে যে পরিক্ষা দিয়েছে অথাৎ ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা পুরাতন সিলেবাস অনুযায়ী হবে।

ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষায় সার্টিফিকেটের পার্থক্য কি?
ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষায় কোন পরীক্ষার্থী যদি পরিক্ষা দেয় তবে তাকে এগুলার শিক্ষাথী হিসেবে ধরা হবে। তার সার্টিফিকেটে দিয়ে জব/চাকরির এর জন্য কোন প্রভাব পরবে না।

 ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা দিতে করন্নীয় কি কি? 
রেগুলার পরিক্ষাথী হলে যে কলেজে পড়াশোনা করেন সে কলেজে রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করতে হবে, এবং এইচএসসি বা ডিগ্রি/অনার্স এর রেজিস্ট্রেশন জন্য ফি প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু আইন কানুন জেনে নেই। ১৯৯২-এর ৪৬ নং ধারা মোতাবেক প্রণীত ব্যাচেলর (অনার্স ) ডিগ্রি র সংশোধিত রেগুলেশন ২০০৯-২০১০ অনুসারে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরিক্ষাথীদের জন্য ‪‎প্রমোশনের নিয়মকানুন নিম্নে দেওয়া হলোঃ

৮০ মার্কস এর ভিতর পরীক্ষায় পাশ মার্কস ৩২ নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে শিক্ষাথীকে। ইনকোর্সের মার্কস যোগ হবে পরিক্ষায় পাস করার পর। ইনকোর্স পরিক্ষায় পাশ করতে হবে ৮ নম্বর পেয়ে ।

আরো জানুন
(১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এর নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বর্ষ থেকে দিত্বীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে হলে কমপক্ষে ৩টা বিষয়ে পাশ করতে হবে এবং ‪‎শিক্ষাথীকে জিপিএ = ১.৭৫ পেয়ে পাস করতে হবে।

(২) দ্বিতীয়বর্ষ থেকে তৃতীয়বর্ষে প্রমোশনের জন্য শিক্ষাথীকে কমপক্ষে ৩টা সাবজেক্টে পাশ করতে হবে সাথে জিপিএ= ২.০০ পেয়ে পাস করতে হবে।

(৩) তৃতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য শিক্ষাথীকে কমপক্ষে ৪টা সাবজেক্টে পাশ করতে হবে এবং জিপিএ = ২.২৫ পেয়ে পাস করতে হবে।

★★★ ডিগ্রি/অনার্স ১৩-১৪ হতে পরবর্তী যেকোন বর্ষের ক্ষেত্রে সব সাবজেক্টের জন্য পাশ মার্কস ৪০।

★★★ সি, ডি গ্রেড এ, যেকোন বর্ষের ক্ষেত্রে ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা ১বার দেয়া যাবে। তবে যতবার ফেইল আসবে রেজাল্ট ততবারই ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা দিতে পারবে,কিন্তু রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদের মধ্যে পরিক্ষা দিতে হবে। তবে

৬ বছর রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকবে।

আরে জানুন:-
১) একের বেশি সাবজেক্ট এ অনুপস্থিত হলে রেজাল্ট নট-প্রোমেন্ট আসবে।

২) নট- প্রোমেন্ট হলে শিক্ষাথী পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে প্রমোশন পাবেন না ।

৩) নট- প্রোমেন্ট রেজাল্ট আসলে শিক্ষাথীর এক বছর ইয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।

৪) একই শিক্ষাবর্ষে দুই বার নট-প্রোমেন্ট রেজাল্ট আসলে শিক্ষাথীর অনার্স কোর্সে ডোপ-আউট হিসেবে গন্য হবেন ।

৫) দুই বার যদি নট-প্রোমেন্ট আসে তাহলে শিক্ষাথীর অনার্স কোর্সটি বাতিল বলে গন্য হবে। আপনি আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্স করতে পারবেন না ।

৬) এফ- প্রাপ্ত সাবজেক্ট এ অবশ্যই কমপক্ষে ডি- গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। তানাহলে আপনি অনার্স ডিগ্রী প্রাপ্ত হবে না।

৭) ১,২ বা ৩ সাবজেক্টে ফেল করে ও যারা পাস করেছে তারা পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে উঠতে পারবে তবে তাদেরকে ফেল করা বিষয়ে আবার ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে।

৮) নট-প্রোমেন্ট শিক্ষাথীরা সি এবং ডি প্রাপ্ত সাবজেক্টে পরিক্ষা দেয়া বাধ্যতামূলক নয় | নট-প্রোমেন্ট শিক্ষাথীরা মান উন্নয়নের জন্য পরিক্ষা দিতে পারবে।

৯) সি, ডি এর ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষার ফল সর্বোচ্ছ “বি প্লাস” গ্রেডে দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.