মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩

ভালো করে স্পোকেন ইংলিশ শেখার জন্য কী করতে হবে? Muhammed Juwel Ahmed |

 আপনি নিজে নিজে ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে পারবেন এবং অনর্গল কথা বলতে পারবেন।মানুষ জন্মগতভাবেই সবকিছু শিখে আসে না, প্রয়োজন এবং পরিস্থিতি অনেক কিছু শিখতে বাধ্য করে।ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন একজন অল্পশিক্ষিত এমনকি একজন প্রায় অশিক্ষিত লোকও কয়েক বছর বিদেশে অবস্থান করে সে দেশের ভাষা রপ্ত করে ফেলেন।সেটি করতে পারার মূল কারণ হলো প্রয়োজনের তাগিদে তিনি সেটি রপ্ত করতে বাধ্য হন। আর সেজন্য তাকে হতে হয় দৃঢ় প্রত্যয়ী। এছাড়া আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে,আমাদের মধ্যে অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোক রয়েছেন যাদের অনেকেই কোনো মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিতে পারেন না। আবার একজন অল্প শিক্ষিত লোকও যেকোনো পরিবেশে অনর্গল কথা বলতে পারেন। তাহলে প্রশ্ন হলো একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিটি কেন বক্তব্য দিতে পারেন না? এই প্রশ্নের উত্তর হলো চর্চার অভাব। তিনিও যদি কিছুদিন নিয়মিত বক্তব্য দেওয়ার চর্চা করেন ,একসময় দেখা যাবে তিনিও একজন ফ্লুয়েন্ট স্পীকার হয়ে যাবেন। সব শেষে আপনার জন্য পরামর্শ হলো আপনিও নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন দেখবেন আপনার পক্ষেই অনর্গল ইংরেজি বলা সম্ভব। আর এ জন্য আপনাকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য এমনকি নিজে নিজেও ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। আপনি চাইলে অপনার স্পীকিং পাওয়ার বাড়ানোর জন্য আমাদের চ্যানেলটি ভিজিট করে আসতে পারেন।আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনি বেশ উপকৃত হবেন।


ভালো করে কোনো কিছুর শেখার আসলে শেষ নেই। ভালোর কোনো সীমাবদ্ধতাও নেই। আমার কাছে যা ভালো, আপনার কাছে তা হয়তো বেসিক। তবে আমরা যেটা পারি, নিয়মিত চর্চা করা। অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে।

আত্মবিশ্বাস

আমরা অনেকেই ভাবি “ইস! আমি যদি ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারতাম!” বেশিরভাগ মানুষ চিন্তা-ভাবনাতেই আটকে থাকে। কিন্তু সামনে এগুতে চায়না অথবা পারেনা। না পারার পিছনে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাই যদি আপনি একজন ভালো স্পিকার হতে চান, নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন। নিজেকে নিজেই বলুন, “যেভাবেই হোক আমি করবো, আমি পারবো এবং অবশ্যই আমাকে পারতে হবে।”

প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা

প্রতিদিন যেভাবেই হোক ২/৩ ঘন্টা সময় বের করুন এবং পড়াশুনা করুন। নিজের সাথে নিজে কথা বলুন। আশেপাশে যদি কাউকে না পান, তবে নিজেই নিজের মতো করে প্র‍্যাকটিস করুন। জাস্ট এটা মাথায় রাখুন, যাই করি আর যাই হোক, আমি নিয়মিত ১ ঘন্টা প্র‍্যাকটিস করবো। খেলা দেখুন আর নিজের মতো করে ইংরেজিতে কমেন্ট্রি করুন, রাস্তায় হাটুন, চারপাশ দেখুন এবংং ইংরেজিতে চিন্তা করুন, টিভি দেখুন আর নিজের মতো ইংরেজিতে সামারি করুন। আশা করি আপনার কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।

ভোকাবুলারি

ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে ভোকাবুলারির কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন ৫ টি নতুন শব্দ শিখুন এবং চর্চা করুন। শব্দ শুধু মুখস্থ করলেই হবে না, সেই শব্দ দিয়ে নিজের মতো করে ৫/৭ লাইন ইংরেজিতে লিখুন। যেমন — Tedious মানে ক্লান্তিকর (Last week I have visited Sylhet and stayed there for 4 days. It was an ineffable journey though broken roads made the journey tedious). এই রকম যেকোনো কিছু ৫/৬ লাইন লিখুন, হোক সেটা ভুল। ভুল থেকেই শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি ভুলের ভয়ে নি লিখুন, তাহলে কোনোদিনই আপনি শুদ্ধ লিখতে পারবেন না।

গ্রুপ ডিস্কাশন

যেকোনো ভাষা চর্চায় গ্রুপ ডিস্কাশনের বিকল্প নেই। অন্ত্যন্ত দ্রুত শেখার জন্য ইহা একটি কার্যকরি পদ্ধতি। চেষ্টা করুন নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে একটি গ্রুপ তৈরি করতে এবং নিয়মিত ১০ মিনিট হলেও আলাপ-আলোচনা করতে। অবশ্যই তা যেনো ইংরেজিতে হয়। যদি না পান তাহলে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ পাবেন এবং সেখানে খুজলে কিছু পার্টনারও পেয়ে যাবেন। যেভাবেই হোক চেষ্টা করুন প্র‍্যাকটিস করতে।

ইংরেজি মুভি দেখুন এবং গান শুনুন

শুধু কথা বলার উপর জোড় দিলেই হবে না, তার আগে অওথা শুনতে হবে। জানতে হবে মানুষ কিভাবে ইংরেজিতে কথা বলে। এর জন্য সবচেয়ে ভালো বিনোদনমুলক মাধ্যম হচ্ছে মুভি দেখা এবং গান শুনা। দেখতে পারেন বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্টারি ভিডিও। ভালোমতো শুনুন তারা কিভাবে উচ্চারন করে, কিভাবে কথা বলে। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, বেশিরভাগ ইংরেজি মুভিই আমেরিকা বেইজড, তাই সেখান থেকে আপনি আমেরিকান একসেন্ট শিখতে পারবেন। পাশাপাশি খুজুন এবং চেষ্টা করুন ব্রিটিশ মুভি দেখতে, তাহলে জেনুইন ব্রিটিশ একসেন্টও শিখতে পারবেন। আপনি যতো বেশী শুনবেন, ততো বেশী শিখতে পারবেন।

নো প্রেশার

ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কোনো রকমের প্রেশার নেয়া যাবেনা। মনে রাখবেন, এটা শুধুই একটা ভাষা, শিখতে হবে মজার ছলে। আপনার যেভাবে ভালো লাগে, যেভাবে আরামদায়ক হয়, সেভাবেই প্ল্যান সেট করুন, এগিয়ে যান।

সবশেষে নিজের একটি ছোটো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। একটি প্রেজেক্টে কাজ করার সময় একজন আমেরিকানের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো প্রায় ৯ দিন। তার সাথে কথা বলার সময় আমার একটু ইতস্তত বোধ হচ্ছিলো। সে সেটা বুঝতে পেরে আমাকে জাস্ট একটা কথা বলেছিলো যা আমাকে এখনো সাহস যোগায়। কথাটি ছিলো এমন, “Naser, why you are feeling shy while talking in English? It's your strength that you know English as it's not your motjer tounge. It's my lacking that I don't know Bengali. So, keep going.”

সো, বি কনফিডেন্ট, গো এহেড।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন