কম্পিউটার ভাইরাস কি ? ভাইরাসের লক্ষণ, কারণ, প্রকার এবং ক্ষতি | Muhammed Juwel Ahmed |
হঠাত একদিন, আমাদের কম্পিউটারের কিছু ফাঙ্কশন (function) কাজ না করলে, system error দেখালে, কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে, কম্পিউটার খুলতে সময় নিলে, অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখালে, নিজে নিজে ফাইল ডিলিট হয়ে গেলে বা error message এবং system crash হলে, আমরা চিন্তায় পড়ে যাই।
তখন আমরা অনুভব করি যে, “কম্পিউটারে কোনো ভাইরাস তো নেই” ?
এর পর, ভয়ে ভয়ে আমরা ইন্টারনেট বা গুগলে, “কম্পিউটার ভাইরাস মানে কি“, “ভাইরাস আক্রমণ হওয়ার লক্ষণ কি“, “ভাইরাস দূর করার বা প্রতিরোধ করার উপায় কি” বা এরম অনেক কিছু সার্চ করে তার সমাধান খুঁজতে থাকি।
কিন্তু, আপনি আগের থেকেই যদি কম্পিউটারের ক্ষতিকারক ভাইরাস এর বিষয়ে জেনে রাখেন এবং ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় বা ভাইরাসের থেকে কম্পিউটারকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন, এবেপারে জ্ঞান রাখেন, তাহলে আপনার ভয় পেতে হবেনা বা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেনা।
কেননা, ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় জানা থাকলে আপনি সব সময় সতর্ক থাকবেন। এবং, এতে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভাইরাস কোনোদিনি ঢুকতে বা ছড়াতে পারবেনা।
আর, এইজন্যই আজ এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের “computer virus” এর ব্যাপারে সবটাই ভালো করে বলে দেব। এবং, আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ভাইরাস মুক্ত কিভাবে রাখতে পারবেন, এ ব্যাপারেও আমি বলবো।
আজ আমরা কি কি জানবো ?
- একটি computer virus কি বা কাকে বলে ?
- ভাইরাস মূলত কত প্রকারের এবং কি কি ?
- কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ হওয়ার মূল লক্ষণ কি ?
- ভাইরাস কম্পিউটারে কি কি ক্ষতি করতে পারে ?
- ভাইরাস থেকে কম্পিউটারকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন ?
- আক্রমণ হওয়া কম্পিউটার থেকে ভাইরাস কিভাবে দূর করবেন ?
তাহলে চলুন, আমরা এক এক করে সব প্রশ্নোর উত্তর নিচে জেনেনেই।
কম্পিউটার ভাইরাস কি বা কাকে বলে ?
কম্পিউটার ভাইরাস, এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ফাইল যে ব্যবহারকর্তার অনুমতি বা সচেতনতার ছাড়াই কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে এবং আস্তে আস্তে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে যায়। এর বাইরে, ভাইরাস যেকোনো কম্পিউটারে কখন কিভাবে ঢুকে যেতে পারে, সেটা বুঝে পাওয়া অনেক কঠিন।
ভাইরাস এর মূল কাজ হলো, সে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকে, অন্য প্রোগ্রাম বা ফাইল গুলিকে মোডিফাই করে নিজের কিছু ক্ষতিকারক কোড প্রোগ্রাম গুলিতে লিখে দেয়। এতে, আপনার কম্পিউটারের অন্যান্য প্রোগ্রাম ফাইল গুলি, সেই ক্ষতিকারক ভাইরাসটির মতেই কাজ করা শুরু করে দেয়।
এবং তাই, আপনারা অনেক সময় লক্ষ করেছেন হয়তো, আপনার কম্পিউটারে হটাৎ কোনো ফাঙ্কশন (program) নিজেই শুরু হয়ে গেলো, কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়ে গেলো, সিস্টেম fail বা এমন অনেক সন্দেহজনক প্রসেস যেগুলি নিজেই হচ্ছে এবং আপনি করছেননা।
যদি, এগুলি আপনার কম্পিউটারেও হচ্ছে, তাহলে সম্ভাবনা এটাই যে, “আপনার কম্পিউটারেও virus আছে”.
কম্পিউটারে ভাইরাস কিভাবে ঢুকে ?
আপনার কম্পিউটার বা সিস্টেমে অনেক সহজে কিছু মূল কারণে ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে। সেগুলি হলো –
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে – যদি আপনি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে অনলাইন অনেক সংক্রমিত (infected) ওয়েবসাইটের থেকে আপনার computer এ ভাইরাস ঢুকতে পারে। ৭০% লোকেদের কম্পিউটারে অ্যাডওয়্যার (adware) এবং malware, spyware ভাইরাস ইন্টারনেট থেকেই সিস্টেমে এসেপড়ে।
- (USB) ইউ এস বি ডিভাইস থেকে – আমরা অনেক সময় অনেক রকমের USB device যেমন, pen drive, অন্য mobile থেকে, hard disk থেকে অনেক রকমের ফাইল নিজের কম্পিউটারে কপি করে রাখি। এবং, এই ফাইল গুলি কপি করার সময় আমাদের কম্পিউটারে অন্যদের কম্পিউটার থেকে ভাইরাস অনেক সহজে ঢুকে যায় এবং আমরা বুঝতেও পারিনা।
- Email attachment থেকে – আমাদের মেইল আইডি তে প্রতিদিন অনেক রকমের ইমেইল আসে। এবং, এই আশা ইমেইল গুলিতে ফাইল এটাচমেন্ট (attachment) এর মাধ্যমে ভাইরাস ঢুকতে পারে।
Computer virus মূলত কত প্রকারের এবং কি কি ?
এমনিতে ভাইরাস এর প্রকারভেদ অনেক। কিন্তু, কিছু বিশেষ ধরনেক computer virus রয়েছে যেগুলি ৯০% লোকেদের কম্পিউটারে গিয়ে ক্ষতি সাধন করে। সেগুলি হলো –
১. Worms –
এই ভাইরাস গুলিকে self -replicating বলা হয়। মানে, এগুলি আপনার সিস্টেমে খুঁড়তে থাকে এবং আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পরে। এগুলি নিজেদের কোড এমন ভাবে বদলে নেয় যে, এগুলিকে খুঁজে বের করা অনেক কঠিন।
২. Trojans –
এই ধরণের ভাইরাস বেশিভাগ হ্যাকার (hacker) রা ছড়ায় এবং ব্যবহার করে। এদের দ্বারা, হ্যাকার রা আপনার কপম্পিউটারে ইন্টারনেট, নেটওয়ার্ক আদিৰ দ্বারা প্রবেশ করে তাতে থাকা পার্সোনাল এবং গুপ্ত তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
৩. Browser Hijackers –
এই ধরণের কম্পিউটার ভাইরাস আপনার সিস্টেমে “ডাউনলোড” এর মাধ্যমে ঢুকে যেতে পারে। মানে, যখন আপনি কোনো ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেন, তখন এই ভাইরাস গুলি সেই ফাইলের সাথে “plugin” বা “extension” হিসেবে আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যায়। আর, তারপর সেই virus গুলি আপনার web page বা ইন্টারনেট ব্রাউজারে অনেক রকমের ক্ষতিকারম বিজ্ঞাপন দেখায়, popup বিজ্ঞাপন দেখায়, আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, অন্য ওয়েবসাইট খুলে যায়।
৪. Overwrite Viruses –
এই ভাইরাস গুলি আপনার কম্পিউটারে ঢুকে, সিস্টেম ফাইল বা যেকোনো ফাইল ডিলিট করে দিতে পারে। এবং, ফাইল ডিলিট করে এগুলি নিজের মতো সেই ফাইল গুলি এডিট কোরে আপনার সিস্টেমে ক্ষতি সাধন করে।
৫. Malware –
এই ধরণের সিস্টেম ভাইরাস বানানো হয় আপনার কম্পিউটারকে damaged (ক্ষতিগ্রস্থ) করার জন্য বানানো এবং ছড়ানো হয়। এগুলি বেশিভাগ, অন্য কম্পিউটার থেকে ফাইল কপি করার সময় এবং infected usb device ব্যবহার করার সময় আপনার সিস্টেমে ছড়ায়।
৬. Spyware –
spyware virus গুলির ব্যবহার করে, আপনার কম্পিউটার এবং ব্রাউসার ব্যবহারের ওপরে নজর রাখা হয়। এগুলি বেশিরভাগ ইন্টারনেট থেকে আপনার সিস্টেমে ঢুকতে পারে। তাহলে, ওপরে আমি কিছু সাধারণ এবং সবচেয়ে বেশি ছড়ানো কম্পিউটারের কিছু ভাইরাসের নাম বললাম। এগুলি সবচে বেশি, ইন্টারনেট এবং অন্যদের থেকে ফাইল কপি পেস্ট করার সময় আপনার কম্পিউটারে আসতে পারে।
৭. Adware virus –
এইগুলি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট থেকে কিছু ডাউনলোড করার সময় ঢুকে। এর বাইরেও, কিছু নিরাপত্তাহীন ওয়েবসাইটে গেলে নিজেরথেকেই এমন কিছু ফাইল popup এর মাধম্মে আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যায় যেগুলিতে এই adware ভাইরাস গুলো থাকে। এই ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে ঢুকে নিজে নিজে বিজ্ঞাপনের ওপর বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে যেগুলি আপনি কোনো মতেই বন্ধ করতে পারবেননা।
কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকলে কিভাবে বুঝবেন ? (ভাইরাসের লক্ষণ)
অনেক সময় এরকম হয়, সিস্টেমে ভাইরাস ধুকে থাকে কিন্তু তার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়না। লক্ষণ, আলাদা আলাদা ভাইরাসের আলাদা আলাদা হতে পারে। সেটা নির্ভর করে তার কাজের ওপরে এবং তাকে কিসের জন্য বানানো হয়েছে সেটার ওপরে।
উদাহরণ স্বরূপে,
যদি, আপনার কম্পিউটারে নিজে নিজেই বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে, ব্রাউসারে pop-up পেজ খুলছে, automatically অন্য অন্য ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট খুলে যাচ্ছে, তাহলে সম্ভব এটাই যে আপনার কম্পিউটারে “Adware virus” রয়েছে।
অনেক সময়, আপনার সিস্টেমের ভেতরে ভাইরাস চুপ করে বসে থাকে এবং আস্তে আস্তে সিস্টেম বা প্রোগ্রাম ফাইল গুলি এডিট করে তাতে নিজের কোড বসিয়ে দেয়। যেমন, self -replicating ভাইরাস।
এক্ষেত্রে, আপনি তাদের ধরতে পারবেননা কিন্তু কিছু সাধারণ অসুবিধা যেমন, কম্পিউটার নিজেই রিস্টার্ট হওয়া, অত্যাধিক হ্যাং হওয়া, এরর (error) মেসেজ আশা আদি আপনার সন্দেহের কারণ হতে পারে।
এর বাইরেও,
- ইন্টারনেট স্লো চলা।
- অবাঞ্ছিত পপ-আপ উইন্ডোজ।
- কম্পিউটার অসাধারণ ভাবে কাজ করা।
- প্রোগ্রাম গুলো নিজে নিজে কাজ করছে। ওপেন বা বন্ধ হচ্ছে।
- হটাৎ এক জায়গায় হ্যাং হয়ে যাওয়া। (Sudden freeze and crash).
- সিস্টেম এরর দেখানো।
- হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার (hardware বা software) প্রব্লেম পাওয়া।
এই ধরণের অসুবিধা বা জিনিস আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে পাচ্ছেন, তাহলে এগুলি কম্পিউটারে ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।
আর, এগুলি সত্যি virus এর লক্ষন কি না তা জানার জন্য, আপনি একটি কাজ করতে পারেন।
আপনি, কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করে, স্ক্যান করে দেখতে পারেন। যদি ভাইরাস থাকে তাহলে সে স্ক্যানের মাধ্যমে ধরা পরবে।
কি কি ক্ষতি ভাইরাসের দ্বারা হতে পারে ?
৬০% লোকেদের কম্পিউটারে এই ক্ষতিকারক ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থাকে এবং তারা সেটা বুঝতেই পারেনা। কারণ, অনেক রকমের ভাইরাস আছে যেগুলি আপনার কম্পিউটারে বিশেষ রকমের ক্ষতি করতে পারেনা।
সাধারণ ভাবে, জোরকরে বিজ্ঞাপন দেখানো adware ভাইরাস গুলির কাজ। এই ভাইরাস কম্পিউটারে ইন্টারনেট চালু করলে তার কাজ শুরু করে। তাই, ইন্টারনেট চালু না করলে আপনার এই ভাইরাস থাকার কোনো অনুভব হবেনা।
এর বাইরে, কিছু এমন malware, overwrite, Trojan বা worms ভাইরাস আছে যেগুলি আপনার সিস্টেমে ঢুকে বিভিন্ন program files ড্যামেজ (damage) করতে পারে, কিছু ফাইলস (files) ডিলিট করতে পারে বা নতুন ক্ষতকারক ফাইল বানাতে পারে।
সাধারণে কম্পিউটার স্লো করা, ইন্টারনেটের ব্যবহার না করতে পারা, সিস্টেম হ্যাং করা, system crashing এবং freezing করা, সফটওয়্যার এবং hardware পার্টস খারাপ করা, কম্পিউটার বার বার রিস্টার্ট করা আদি একটি কম্পিউটার ভিরাসের মূল ক্ষতিকারক কাজ।
এর বাইরে, spyware ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে ঢুকে, আপনার পার্সোনাল ফাইল, ডাটা, পাসওয়ার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্টের ডিটেলস এবং মিডিয়া চুরি করেনিতে পারে। Spyware virus সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক, কারণ এরা আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের ওপর পুরো নজর রাখে।
কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন ?
ভিরাসকে কম্পিউটারে ঢুকতে বাধা দেয়ার জন্য আপনার অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। আপনি যদি, ইন্টারনেট ব্যবহার করেননা, তাহলে ভাইরাস ঢুকার তেমন সুযোগ হয়না। কিন্তু, যদি আপনি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার সতর্ক থাকার অনেক প্রয়োজন।
- একটি এন্টিভাইরাস কম্পিউটারে অবশই ব্যবহার করবেন। Avast, Kaspersky আদি আপনি ফ্রীতেই পেয়েযাবেন। এন্টিভাইরাস, আপনার কম্পিউটারে বাইরের থেকে ভাইরাস ঢুকতে দিবেনা।
- অপ্রয়োজনীয় পপ আপ বিজ্ঞাপন গুলোতে কখনো ক্লিক করবেননা।
- যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে internet security antivirus ব্যবহার করবেন।
- নিজের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলি up to date করে রাখবেন।
- যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করবেননা। কেবল বিশ্বাসী এবং ভরসা যোগ্য ওয়েবসাইটে যাবেন বা তাদের থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন।
- ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড করার আগে ভালো করে যাচাই করবেন।
- অন্যদের পেনড্রাইভ (pendrive), hard drive বা যেকোনো USB Device থেকে ফাইল কপি করার আগে যাচাই করেনিবেন। সেখানে ভাইরাস থাকতে পারে।
- আপনার ইমেইলে চলেআসা ফাইল বা এটাচমেন্ট গুলো স্ক্যান না করে খুলবেননা।
এগুলি সাধারণ জিনিসের ধ্যান রাখলে আপনার কম্পিউটারে কোনোদিন ভাইরাস ঢুকতে পারবেনা।
কম্পিউটার থেকে ভাইরাস কিভাবে দূর করবেন ?
যদি আপনার কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ভাইরাস আছে তাহলে সেটা আপনি সাধারণ antivirus software ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে কম্পিউটার থেকে বের করতে পারবেন। কিন্তু, ফ্রি এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনি ভাইরাস ডিলিট বা রিমুভ করতে পারবেননা।
এর জন্য, আপনার একটি প্রিমিয়াম বা পেইড (paid) এন্টিভাইরাস কিনতে হবে। আপনি, amazon বা flipkart এর মতো অনলাইন শপিং সাইট গুলিতে গিয়ে কেবল, Rs.২০০ থেকে Rs.৫০০ মধ্যে ভালো ভালো এন্টিভাইরাস এবং anti malware সফটওয়্যার কিনে নিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, অনেক সময় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটার থেকে অনেক রকমের ভাইরাস বের করতে অসমর্থ হয়। তখন, আপনার কাছে কেবল System restore বা Full system format ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা।
তাহলে, আপনিও যদি কম্পিউটারে ভিরাসের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তাহলে একবার full windows format করিয়েনিন। তারপর, ওপরে আমি বলা মতে কিছু সাধারণ জিনিসের ধ্যান রেখে আবার কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ভাইরাস ঢুকতে বাধা দিয়ে রাখতে পারবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন এক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যেটা যখন কোনো কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে প্রবেশ করে তখন সে অন্যান্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম গুলোকে নিজের হিসেবে মোডিফাই করে এবং নিজের কোড গুলোকে সেই প্রোগ্রাম গুলোতে যুক্ত করে। এতে কম্পিউটারে আগের থেকে থাকা প্রোগ্রাম গুলো সংক্রমিত হয়ে পরে।
এমনিতে, কম্পিউটার ভাইরাস এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে এবং নিয়মিত নতুন নতুন ভাইরাস গুলো তৈরি করে ছড়ানো হয়েই থাকে। তবে, কিছু বিখ্যাত কম্পিউটার ভাইরাস এর প্রকার কিছু হলো – Browser Hijacker, Spyware, Trojans, Overwrite Viruses.
ম্যালওয়্যার হলো এমন এক ধরণের সফটওয়্যার যেটাকে সাইবার অপরাধী দলের দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে কম্পিউটার সিস্টেম থেকে তথ্য চুরি করা এবং কম্পিউটারের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে। কিছু ম্যালওয়্যার ভাইরাস এর উদাহরণ হচ্ছে, worms, Trojan viruses, spyware, adware, and ransomware ইত্যাদি।
এন্টিভাইরাস হলো একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যেটাকে তৈরি করা হয়েছে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে ভাইরাস এবং অন্যান্য ধরণের দূষিত সফ্টওয়্যার গুলোকে খুঁজে বের করতে এবং সেগুলোকে কম্পিউটার থেকে রিমুভ করতে। দূষিত সফটওয়্যার বলতে এখানে বিভিন্ন ম্যালওয়্যার ভাইরাস গুলোর কথা বলা হয়েছে।
আমাদের শেষ কথা,
বন্ধুরা, কম্পিউটার ভাইরাস কি বা কাকে বলে এই বিষয়ে হয়তো আপনারা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। এবং, শেষে আমি আপনাদের এতটুকু বলবো যে, আপনার কম্পিউটারে যদি অনেক পার্সোনাল ডাটা বা ফাইল আছে, তাহলে অবশই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকবেন।
নিজের সিস্টেমে অবশই একটি antivirus software ব্যবহার করবেন। অন্যদের থেকে ফাইল কপি করার আগে দেখেনিবেন সেই ডিভাইসটি সুরক্ষিত কি না। ইন্টারনেটের ব্যবহার যদি করেন তাহলে অবশই মনে রাখবেন, যেকোনো সাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেননা।
কেবল, বিশ্বাসী সাইটে যাবেন এবং তাদের থেকে ডাউনলোড করবেন। ইন্টারনেট, ভাইরাসের মূল জায়গা এবং এইগুলির থেকে বেঁচে থাকা আপনার অনেক প্রয়োজন। সাধারণ জিনিসের ধ্যান রাখুন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, এতে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন এবং আপনার কম্পিউটার ও সুরক্ষিত থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই