মেয়েদের ইমপ্রেস করার উপায় | কিভাবে ইমপ্রেস করতে হয় | Muhammed Juwel Ahmed |

মেয়েদের ইমপ্রেস করার উপায়: প্রবাদ আছে, মেয়েদের মন নাকি স্বয়ং ভগবানও বোঝেন না! কিন্তু বাস্তব বলছে, আপনি যদি একজন নির্ভেজাল ভালোবাসা দিতে পারা সৎ, ভদ্র এবং বিশ্বাসী মানুষ হন তাহলে অনায়াসে একটি মেয়ের মনের নাগাল পেয়ে যাবেন। মেয়েদের মনের কথা বোঝা কোনো রটেক সায়েন্স নয়, শুধু সম্পর্কে একটু প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

মেয়েদের ইমপ্রেস করার সেরা ১২টি উপায় :

মেয়েদের ইমপ্রেস করার উপায়
How to impress a girl ? Tips in Bengali

উল্লেখিত গুণাবলী দেখে যে প্রত্যেকটা মেয়েই ইমপ্রেস হয়ে যায়, এমনটা আমরা হলফ করে বলবো না। কিন্তু এমন কয়েকটি কৌশল আছে, যেগুলি অনুসরণ করে আপনি পছন্দের নারীকে মুগ্ধ করে নিজের প্রেয়সীতে পরিণত করতে সক্ষম হবেন। নিচে বিশদ দেওয়া হল…

১. প্রেম প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ধাপ অনুসরণ করুন –

মেয়েদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা উচিত। যেমন, মেয়েটি কি কি করলে খুশি হয় সেই কাজগুলো করুন।

এমন বিষয় নিয়ে কথা বলুন যেটা সম্পর্কে সেই মেয়েটি আগ্রহী। সবসময়ে শপিং মল বা ক্যাফেতে দেখা করার পরিবর্তে, কোনো মনোরম জায়গায় বা পার্কে মেয়েটির সাথে হাঁটতে যেতে পারেন।

এমনটা করলে আশেপাশের মানুষজন বা ঘটনাবলী সম্পর্কে তার মতামত কিরূপ তা জানতে পারবেন এবং এর ভিত্তিতে মেয়েটির ব্যক্তিত্ব কেমন তারও আন্দাজ পাবেন।

যাইহোক, পরিচিতির প্রথম ধাপে প্রত্যেকটি মেয়ে তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ সচেতন থাকে, তাই সে যাতে নিরাপদ অনুভব করে তার দায়িত্ব আপনার।

এছাড়া মেয়েটি যাতে মনে সংকোচ নিয়ে কথা না বলে সেই দিকটাও আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন নিজেকে অভিব্যক্ত করার।

২. প্রশংসা করুন –

কিভাবে মেয়েদের প্রশংসা করতে হয় এই বিষয়ে আগেই আমি বিস্তারিত ভাবে আপনাদের বলেছি।

মেয়েদের ইমপ্রেস করার অন্যতম হাতিয়ার হল তাদের প্রশংসা করা। তবে হ্যাঁ, প্রত্যেক মেয়েকে এক ধরণের বাক্য বলে কিন্তু প্রভাবিত করা সম্ভব নয়। তাদের ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে প্রশংসা করুন।

আর এমনটা করার জন্য, আপনার পছন্দের নারীকে প্রথমে ভালো করে জানুন, তার ব্যক্তিত্ব কিরূপ বোঝার চেষ্টা করুন এবং তার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করুন।

এরপর কথোপকথন চলাকালীন মাঝে মধ্যে তার প্রশংসা করুন। এছাড়া কোনো অনুষ্ঠান বা বিশেষ উপলক্ষ্যে সে সাজলে তার লুক ও ড্রেসিং সেন্স সম্পর্কে প্রশংসা করুন। এমনটা করলে আপনি তাকে বিশেষ অনুভূত করাতে পারবেন।

তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন, প্রশংসা করুন তবে তা যেন কৃত্রিম না শোনায়। যাইহোক আপনি যদি এই ব্যাপারে অপটু হন, তাহলে নিচে দেওয়া বাক্যগুলির প্রয়োগ করতে পারেন –

• তোমাকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে
• তুমি খুবই স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান
• তুমি সত্যি একজন খুবই ভালো মানুষ
• তুমি অনেক প্রতিভাবান বা রুচিসম্পন্না
• তোমার সেন্স অফ হিউমার অত্যন্ত ভালো, ইত্যাদি।

৩. নিজ ব্যবহার দ্বারা প্রভাবিত করুন –

একজনের ব্যবহারই বলে দেয় সে মানুষ হিসাবে কেমন। তাই একটি মেয়েকে ইমপ্রেস করার জন্য, তার এবং অন্যদের প্রতি আপনার ব্যবহার ভালো হওয়া খুবই আবশ্যক।

বিশেষ করে যদি আপনি সদ্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকেন, তাহলে সৌজন্যতা প্রকাশে কিপ্টেমো করবেন না।

উদাহরণস্বরূপ – রেস্তোরায় গিয়ে তাকে আগে প্রবেশ করতে দিন এবং তার বসার জন্য চেয়ার টানুন, নিজের পার্টনারের ইচ্ছাগুলিকে সম্মান দিন, বয়স্ক ও অন্যান্য মানুষদের সম্মান প্রদর্শন করুন এবং আপনার কোনো কথায় মেয়েটি আঘাত পেলে তাকে নির্দ্বিধায় সরি বলুন।

এইসকল ছোট ছোট আচরণই একটি মেয়ের মনে আপনার জন্য ইতিবাচক জায়গা তৈরী করে দিতে পারে। এছাড়া ভদ্র, মার্জিত আচরণ এবং কথাবার্তার মধ্যে শালীনতা থাকাও দরকার। তবেই একটি মেয়ে আপনার প্রতি মুগ্ধ হবে।

৪. যথাযথ পোশাক পড়ুন –

কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক বা পাড়ায় আড্ডা দিতে যাওয়া হোক, হাতের সামনে যা আছে তাই পরে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ৮০% ছেলেদের মধ্যে থাকে।

আসলে ছেলেরা কোনোকালেই নিজেদের পোশাক-আশাক নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না। তবে মেয়েদের ইমপ্রেস করার জন্য কিন্তু পোশাক একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেমন ধরুন আপনি প্রথমবার একটি মেয়ের সাথে ডেটে বা ঘুরতে গিয়েছেন, তাও একটা সাদামাটা গেঞ্জি ও ট্রাকপ্যান্ট পরে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবহার যতই ভালো হোক না কেন, মেয়েটির মনে দাগ কাটতে পারবে না।

কেননা পোশাকের জন্য আপনার প্রতি তার প্রথম ইম্প্রেশনই নেতিবাচক হবে।

তাই উপলক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে ‘ড্রেস আপ’ করান। তবে পোশাক ছাড়াও আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। একটি মেয়ের সাথে দেখা করার সময় ভালো কোলোন বা পারফিউম অবশ্যই লাগান।

এতে আপনার রুচি প্রকাশিত হবে এবং মেয়েটিও প্রথম দেখাতেই প্রভাবিত হয়ে যেতে পারে।

৫. আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলুন –

এমন অনেকে আছেন যারা নার্ভাস হয়ে মেয়েদের সামনে অবান্তর বা বোকা বোকা কথা বলে বসে। এমনটা ভুলেও করবেন না। কেননা মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তাই নিজের পছন্দের নারীর সাথে দৃঢ কণ্ঠে, চোখে চোখ রেখে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলুন। যদি এমনটা করতে সমস্যা হয়, তবে কোনো কথা বলার আগে মনে মনে ভেবে নিন কোন কথার কি উত্তর দেবেন বা পরবর্তীতে কি বলবেন।

এমনটা করলে আপনি ভুলভাল কিছু বলার থেকে বিরত থাকবেন।

তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, নিজেকে আত্মবিশ্বাসী বা স্মার্ট দেখানো দরকার ঠিকই, কিন্তু তা বলে ওভারস্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না যেন।

তাহলে কিন্তু মেয়েটি ইমপ্রেস হওয়ার পরিবর্তে সম্পর্কে ইতি টেনে দেবে!

৬. লাফটার ট্রিক প্রয়োগ করুন –

রসিক মানুষেরা খুব সহজেই মন জয় করতে পারে। তাই একজন মেয়েকে প্রভাবিত করার এর থেকে ভালো উপায় আর কি বা আছে! আরেকটু খুলে বলি।

সর্বদা গম্ভীর মুখ করে থাকলে মেয়েরা আপনাকে এড়িয়ে চলবে। কিন্তু আপনি যদি নিজের রসিক মেজাজ ও হাস্যরসের এক-আধটা প্রমাণ দিতে পারেন, তবে মেয়েরা ইমপ্রেস হবেই হবে।

কেননা মেয়েরা এমন ছেলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় যারা তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। এছাড়া আপনি যদি স্বভাবতই হাসিখুশি স্বভাবের হয়ে থাকেন, তবে এমনই আপনার পছন্দের রমণীর চোখে পরে যাবেন।

৭. ভালো শ্রোতা হন –

এমন অনেকেই আছেন যারা মনোযোগ সহকারে বিপরীত পক্ষের কথা শোনার ধৈর্য বা আগ্রহ কোনটাই রাখেন না। এই স্বভাব অন্যান্য সম্পর্কে থাকা মানুষগুলি মেনে নিলেও, প্রেমের সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিটি কিন্তু মেনে নেবে না। তাই একটি মেয়েকে প্রভাবিত করতে হলে আগে ভালো শ্রোতা হন।

এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যে, কথপোকথন চলকালীন কেবল নিজের কথাকেই প্রাধান্য দেবেন না, সাথে বিপরীতে থাকা মানুষটিকেও তার কথা খোলাখুলিভাবে বলতে দিন।

কেননা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই শুধুমাত্র আপনারা একে অপরকে আরো ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন। এছাড়া কোনো সমস্যা দেখা দিলে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিন এবং বিপরীত পক্ষ যদি আবেগপ্রবণ হয়ে পরে তবে তাকে সান্তনা দিন।

এমনটা করলে মেয়েটিও অনুভব করবে আপনি তার প্রতি কতটা যত্নশীল।

এক্ষেত্রে বিশেষভাবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, কথা বলার সময়ে ফোনে চ্যাট বা ফেসবুকের নিউজ ফিড স্ক্রোল করবেন না। এমনটা করলে মেয়েটির মনে আপনার জন্য বিরূপ ধারণা তৈরী হতে পারে।

৮. সম্মান প্রদর্শন করুন –

যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি তৈরী হয় শ্রদ্ধা ও সম্মানের উপর। তাই একটি মেয়েকে ইমপ্রেস করার জন্য আগে তাকে সম্মান করুন এবং তার প্রতি সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করুন। তার কোনো আচরণ বা ব্যবহার খারাপ লাগলে, তা নিয়ে ঝগড়া করার পরিবর্তে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

ছোট ছোট জিনিস নিয়ে তাকে ছোট করবেন না। উল্টে তার কোনো গুন বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রশংসা করে তাকে বিশেষ অনুভূত করান। সকলের কাছে মেয়েটির প্রশংসা করাও একপ্রকার তাকে সম্মান দেওয়া।

৯. স্বীকৃতি দিন –

ভালোবাসার সম্পর্কে একটি মেয়েকে শুধু ইমপ্রেস করলেই হয় না, সবার সামনে তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মনোভাবও থাকা দরকার। যেমন ধরুন, রাস্তায় বা কোনো রেস্তোরায় বন্ধু কিংবা পরিবারের কারোর সাথে দেখা হলে নিজের পার্টনারের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিন।

সাথে তাকে পেয়ে আপনি কতটা খুশি এবং আপনাদের সম্পর্ক কতটা গভীর তাও প্রকাশ করুন।

স্বীকৃতি পেয়ে মেয়েটি দেখবেন খুশি হবে এবং আপনার অকপট স্বীকারোক্তিতে প্রভাবিতও হবে।

১০. উপহার দিন –

উপহার দেওয়ার কথা উঠলেই, আমরা আগে মানি ব্যাগ হাতড়াই। কিন্তু উপহার মানেই সেটাকে ব্যয়বহুল হতে হবে এমন কোনো মানে নেই। উপহার এমন হওয়া উচিত যা কিছু অর্থ বহন করে। এক্ষেত্রে আজকাল কাস্টমাইজ গিফট দেওয়ার চলন খুব উঠেছে।

এগুলিকে বিভিন্ন বিক্রেতাদের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা যায়। আবার আপনি চাইলে নিজের হাতেই ক্রাফটিং করতে পারেন। জন্মদিন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে ইত্যাদি উপলক্ষ্যে এরূপ স্ব-নির্মিত ‘বিশেষ’ উপহার সামগ্রী পেয়ে মেয়েরা মুগ্ধ হবেই।

এছাড়া, গয়না, মেকআপ কিট বা ফ্যাশনেবল পোশাকের মতো উপহারও দিতে পারেন। তবে প্রতিটি ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ যেহেতু স্বতন্ত্র, সেহেতু আপনার পার্টনার কিরকম গিফট পেতে পছন্দ করবেন তা আপনাকেই বুঝতে হবে।

এক্ষেত্রে আমরা আরেকটি পরামর্শ দেব।

উপহার দেওয়ার জন্য কোনো উপলক্ষের অপেক্ষা করবেন না। হঠাৎ করে মেয়েটির সাথে দেখা করার প্ল্যান করুন এবং তাকে তার পছন্দের রেস্তোরায় নিয়ে গিয়ে সারপ্রাইজ দিন। বা দেখা করতে গিয়ে চকোলেট বা ফুল দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান।

১১. কথোপকথনের বিশদ মনে রাখুন –

আগেই বলেছিলাম, কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানা সম্ভব। তবে পছন্দের নারীর সম্পর্কে শুধু জানলেই চলবে না, সেই তথ্যগুলিকে মনেও রাখতে হবে।

নতুবা হিতে বিপরীত হতে পারে।

যেমন ধরুন, মেয়েটির জন্মদিন মনে রেখে তাকে ঠিক ১২টা নাগাদ উইশ করা এবং তার পছন্দের কোনো একটা জিনিস তাকে গিফট করার মতো কাজ করে আপনি তাকে স্পেশাল অনুভব করাতে পারেন।

১২. সম্পর্কে তাড়াহুড়ো করবেন না –

ভালোবাসার সম্পর্কে তাড়াহুড়ো ভুলেও করবেন না। আপনি যতটা তাড়াতাড়ি সম্পর্কে এগোচ্ছেন, হতেই পারে যে বিপরীতে থাকা ব্যক্তিটি তুলনায় বেশি সময় নিচ্ছে নিজের অনুভূতি বুঝতে। তাই পার্টনারকে সময় দিন এবং সাবলীলভাবে তার মধ্যে প্রেমানুভুতি জাগতে দিন।

অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করলে মেয়েটি বিভ্রান্ত হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে সরাসরি সম্পর্কে।

এছাড়াও, আদৌ আপনারা দু’জন দু’জনের জন্য আদর্শ কিনা বুঝতেও তো একটা সময় লাগে, সেই সময়টা নিজেদের দিন। আপনি যদি স্বল্প সময়ের মধ্যেই দশ পা এগিয়ে যেতে চান, তবে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী তো হবেই না বরং মেয়েটি আপনাকে ফ্রেন্ড জোন বা ব্রো-জোনড করে দিতে পারে।

যাইহোক, উপরিউল্লেখিত টিপস গুলি মনে রাখলে আপনি নিজেদের প্রেয়সীকে ঠিকই মুগ্ধ করতে সক্ষম হবেন।

উপসংহার

আশা করছি, কিভাবে মেয়েদের ইমপ্রেস করতে হয় বা মেয়েদের ইমপ্রেস করার উপায় বা টিপস গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে ও কাজে অবশই আসবে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন। কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে সেটা নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানাবেন।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.