একাউন্টিং পড়ে কি হওয়া যায় | একাউন্টিং পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার | Muhammed Juwel Ahmed ||

Accounting-একাউন্টিং বিবিএ'র অন্যতম সেরা বিষগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ আছে বলে আমার মনে হয়না। তবে অনেকের দৃষ্টিতে ফিন্যান্স সেরা। হ্যাঁ, সেটাও অস্বীকার করা উপায় নেই। কিন্তু ফিন্যান্স সাবজেক্ট এসেছে বেশিদিন হয়নি। বাংলাদেশের সব কলেজে ফিন্যান্স বিষয় পড়ানোর বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে মাত্র কয়েকবছর আগে।

সেই হিসেবে একাউন্টিং অনেক পুরোনো বিষয় এবং বিবিএ'র সেরা বিষয়।

(০১) প্রথমেই জানুন বিবিএ/ BBA কি?
বিবিএ/ BBA এর পূর্ণরূপ ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (Bachelor of Business Administration)। এটা ব্যাবসায় শিক্ষার ওপর যারা পড়াশোনা করতে চাও তাঁদের জন্য একটা ডিগ্রী। এই ডিগ্রী'র অধীনে চার বছর ব্যবসায়, ব্যবস্থাপনা, বিপনন, ব্যাংকিং এইসব বিষয়ের ওপর পড়ানো হয় এবং সব কোর্সগুলা শেষ করে পরীক্ষায় পাস করতে পারলে এই ডিগ্রী পাওয়া যায়। মোটামুটি এইগুলা হলো সহজ কথাবার্তা। এর চেয়েও বেশি জানতে চাইলে উইকিপিডিয়া অথবা গুগলে একবার ঢু মারতে পার।
ইদানীং অনেকে ভার্সিটি ভর্তির জন্য মানবিকে পড়ে। তাদের মগজধোলাই করার দ্বায়িত্ব নেয় তাদেরই এলাকায় ভার্সিটিতে পড়ুয়া কোন বড়ভাই।  কারন মানবিকে প্রতিযোগী কম। ভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজ।

হ্যাঁ মানলাম,কিন্ত তোমার ক্লাসের সুন্দরী মেয়েদের পেছনে ছেলেদের লাইন বেশি নাকি কালো মেয়েদের পেছনে বেশি???
দামী জিনিসে প্রতিযোগী বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।  আর কমদামী জিনিসে প্রতিযোগী কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কমদামী সাবজেক্ট নিয়ে ভার্সিটিতে পড়ে কি করবে????? যদি চাকরির বাজারে দাম না থাকে। চার বছর পাবলিক ভার্সিটির সিল লগো যুক্ত টি-শার্ট পড়ে ঘুরবে। যখন চাকরি পাবেনা তখন লজ্জায় লোকানোর যায়গা পাবেনা।
ন্যাশনাল ভার্সিটিতে পড়,তবুও ভালো বিষয় নিয়ে পড়ার চেস্টা করো।

হিসাববিজ্ঞান-একাউন্টিং 

মানবিকের ভালো সাবজেক্ট কোনটি??
আইন,ইকোনমিকস, পাবলিক এড,ইংরেজি, বাংলা।
ন্যাশনাল ভার্সিটির শিক্ষার মান এখন অনেক ভালো।শতভাগ সেশনজট মুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেক প্রাইভেট ভার্সিটির তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ'র মান অনেক ভালো।
মানবিকে একমাত্র প্রফেশনাল বিষউ হলো আইন। আইন বিষয় ন্যাশনালে নেই। সুতরাং যদি পাবলিকে চান্স না পাও,তবে লাইফ এখানেই শেষ,তখন বিবিএ সাবজেক্ট নিয়ে পড়া ছাড়া উপায় থাকবেনা।
ইকোনমিক, ইংরেজি, পাবলিক এড,বাংলা পড়ে শিক্ষকতা আর বিসিএস!!!

আর আমরা সবাই চাই,যে বিষয়ে পড়ছি সেই বিষয়ের উপর চাকরি করতে,তাই না??
ইকোনোমিকস,বাংলা, ইংরেজি বিভাগে পড়ে শিক্ষকতা করা আর বিসিএস দেয়া ছাড়া কোন রাস্তা নেই।
কিন্তু তুমি যদি বিবিএতে পড় তবে, একাউন্টিং, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট চারটি বিষয় আছে।  আর জব মার্কেটে এই চারটি বিষয়ের মোটামোটি অনেক ভ্যালু আছে।

পাশাপাশি সিএ ডিগ্রি করতে পারলে তো কোন কথাই নেই। প্রতি মাসে লক্ষ টাকার বেশি বেতনে চাকরি।  আর সিএ সম্পূর্ন শেষ করতে না পারলেও মোটামোটি মানের চাকরি পাওয়া যায়।
যাদের সিএ করার ইচ্ছে আছে, তাদের একাউন্টি নিয়ে পড়াটাই উত্তম।
অন্য বিভাগ থেকে এসেও সিএ করা যায়,তবে তা খুবই কস্টকর!!!!!  বলতে গেলে অসাধ্য।
কয়েক বছর আগের ঘটনা শেয়ার করি। রেজাল্ট হইসে আমার বিবিএ এডমিশন টেস্টের। চান্স পাইসি। বাপ-মা, মামা, কাজিন সবার একটাই ইচ্ছা আমাকে ফিন্যান্সে পড়াবে। আমি একাউন্টিং ভাল পারি। আমি নিব একাউন্টিং। এই নিয়ে কত্ত ঝাক্কি ঝামেলা। সবার একটাই কথা। ফিন্যান্স ইজ দ্যা বেস্ট। সো আমার প্রথম পয়েন্ট দুনিয়াতে বেস্ট সাবজেক্ট বলে কিছু নাই। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে তো নাই'ই। এইখানে একেক সাবজেক্ট একেক প্যাটার্নের। যথারীতি নিজেকে শুনলাম। একাউন্টিং নিলাম। তারপর সবার এক্সপ্রেশন মুটামুটি নির্লিপ্ত। এখনও বাসায় আমাকে বলে তোরে ফিন্যান্সে পড়ানোর ইচ্ছা ছিল.....  হায়রে আফসুস!!!!
পরের কথা। আমার ছোট ভাই সায়েন্স থেকে এসে বিবিএ তে চান্স পাইসে। এইবারেও সবার একই ডায়ালগ। ফিন্যান্স-একাউন্টিং ইজ দ্যা বেস্ট। এইগুলাই পড়া লাগবে। সে তো কোনদিন একাউন্টিং, ফিন্যান্স পড়েনাই। সে চয়েস ফর্মে দিয়া আসছে ১। ফিন্যান্স (সবার ইচ্ছা, ফুলফিল করা লাগে) ২।ব্যাংকিং (তার কোন বড়ভাই নাকি এইটা সাজেস্ট করসে) ৩। মার্কেটিং (আমার সাজেশন)

নিজের ঘরের কথা বললাম এতক্ষণ। চান্স না পাইলে লোকের গালিগালাজ খাইতে খাইতে পোলাপানে সুইসাইড করে।আর পাইলে এর এই সাজেশন, ওর ঐ সাজেশন। কার কথা শুনবে? কিছু ক্রাইটেরিয়া দিয়ে দিচ্ছি। এইগুলা মেজার করে এরপর সিদ্ধান্ত নাও কোন সাবজেক্টে পড়বা। আই হোপ তথাকথিত ‘তোমাকে নিয়ে স্বপ্নদ্রষ্টা’ কিংবা ‘বড় ভাই’দের কথার প্যাঁচে পড়ে জীবনের সেরা সময়টা আক্ষেপ করে কাটাতে হবেনা।
ফিন্যান্স। খুবভাল সাবজেক্ট। যদি শিখে বের হতে পার অনেক লাভ। ম্যাথ পারতে হবে কিন্তু!!!! ম্যাথেকাঁচা হলে ভুলেও ফিন্যান্স নেয়ার চিন্তা করবা না। পড়াশোনা অনেক। সো পড়ার ধৈর্য না থাকলে ফিন্যান্সের ছায়াও মাড়াবে না। খবরদার !

একাউন্টিং। HSCতে যেহেতু করেছ সুতরাং খুব সহজ মনে হতে পারে। আসলেও যারা HSC তে একাউন্টিং ভাল পারত,তারা এইখানে এসেও ভাল করে।
ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টিং দুটোই বস সাবজেক্ট কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে ভাই !আমি ৩.৮৫ নিয়ে শুরু করসিলাম আর আমার বিবিএ শেষ সেমিস্টারের রেজাল্ট ৩.২৫ !!! বুঝ অবস্থা ! দুটোতেই ম্যাথ ভাল পারতে হয়। প্রচুর পড়াশোনা করা লাগে। এইগুলা তথাকথিত ‘ভালছাত্র’দের ডিপার্টমেন্ট। তবে যারা সায়েন্স থেকে এসেছ তারা একাউন্টিং এড়িয়ে যেতে পার। আমার বন্ধুদেরকে দেখেছি রেজাল্টে মার খেতে। প্রাথমিকভাবে অনেক কিছু ধরতে কষ্ট হবে। বেটার হয়, যদি সেইফ সাইডে থাকতে চাও প্লাস ম্যাথ ভাল পারলে ফিন্যান্স নাও। দুটোই থিওরিটিক্যাল বিষয়টা বেশী গুরুত্ব দেয়। ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের সুযোগ অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় কিছুটা কম। অন্তত বিবিএ তে। অনেক প্রফেশনাল কোর্স আছে। পাশ করতে পারলে বস্তায় ভইরা বেতন আনতে হবে বাড়িতে।

প্রফেশনাল কোর্স নিয়ে যেহেতু কথা আসল একটু বলে দেই। এই দুইটা সাবজেক্ট কিন্তু কিছুটা ডাক্তারি ডিগ্রীর মত। যত বেশি ডিগ্রী, তত বেশি দাম। ডাক্তারী পড়াতে যেমন ভাল ডাক্তার হতে ভাল ডিগ্রী লাগে, তেমনি একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্সে যদি প্রফেশনাল ডিগ্রী করতে পার অনেকদুর যাবা। CEO, CFO এইগুলা হওয়া তখন সময়ের ব্যাপার তোমার জন্য যেটা মার্কেটিং বা ম্যানেজমেন্ট থেকে চিন্তা করা কঠিন। এই লাইনে CA, ACCA এবং CFA মুটামুটি গ্লোবালি এক্সেপ্টেড প্রফেশনাল ডিগ্রী। সময় নেয় পাঁচ বছরের আশেপাশে, বাট অনেক বেশি ভ্যালু ক্রিয়েটিং।

এইবার আসি মার্কেটিং এ। তোমার মাথায় কেগো-পেগো টাইপ বুদ্ধি যদি থাকে মার্কেটিং নাও। বেস্ট তোমার জন্য। বিজনেস লাইনে নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জন্য দুনিয়ার সেরা সাবজেক্ট মার্কেটিং ! কি নাই। প্রথাবদ্ধ চিন্তা থেকে নতুন কিছু করার হিউজ সুযোগ আছে মার্কেটিং বিষয়টাতে। মার্কেটিং পার্টের সাথে অনেক কিছু আছে। Research and Development, New Product Designing। পাড়ার মামা চাচারা খালি বিক্রি বাট্টার কথাই চিন্তা করে। কেও আবার বলে 'ডেস্টিনি সাবজেক্ট'। কিন্তু এইটার ফিল্ড বিশাল। তুমি সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং টা শিখে ফেলতে পারলে তো সোনায় সোহাগা। থিওরি আছে। অনেকই আছে। আবার নতুন কিছু করার মজাও আছে।তবে যারা সায়েন্স থেকে আসতেস আর ম্যাথে যদি দখল ভাল না থাকে। তোমার জন্য মার্কেটিং বেস্ট ! 

ম্যানেজমেন্ট। বিবিএর ‘কমা’ সাবজেক্ট। কিন্তু জানেনকি একজন একাউন্টেন্ট, ফিন্যানশিয়াল এনালিস্ট, ব্র্যান্ড ম্যানেজার সবার নিয়োগ দেয় এই ম্যানেজমেন্টের লোকেরাই। আই মিন ভাইভা বোর্ডে একজনকে পাবাই ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনের মানুষ। টিমে কাজ করা ভাল পার। পাড়ার ক্রিকেট টিমকে ভাল লিড দিতে পার। পাড়ার লিডার তুমি। লিডারশীপ গ্রহণ করার মানসিকতা যদি থাকে তোমার জন্য এইটা বেস্ট। থিওরিটিক্যাল বেশি।রেজাল্ট করা একটু কঠিন হতেও পারে। কিন্তু লোক ম্যানেজ করাটাই হবে তোমার পেশা ! মজা না? মোটের ওপর তোমার মধ্যে লিডারশিপ জিনিসটা থাকা লাগবে। ডিপ্লম্যাসি থাকা লাগবে। বারগেইন করার ক্ষমতা থাকা লাগবে। তাহলেই এই সাবজেক্ট তোমার জন্য।

ব্যাংকিং ! খুব ভাল সাবজেক্ট। যদি ব্যাংকিং সেক্টরে আগ্রহ থাকে নিতে পার। তবে সুদে এলারজি থাকা যাবেনা। আর ইসলামিক সরা অনুসারে সুদ কঠোর কঠোর কঠোর কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর বাংলাদেশের ৯০% ব্যাংকের মুল আয়ই কিন্তু সুদ। আর সেখান থেকে হবে তোমার বেতন !

জেনারেল গাইডলাইন দিয়ে ফেললাম। এবার কিছু দুঃখের কথা বলি। এইযে উপরের লেখাটা লিখলাম এর পরেও আমি জানি অনেকেই মেসেজ করবে যে ভাই আমি কনফিউজড। এর একটা বড় কারণ হল এক্সপ্লোরিং এর যথেষ্ট অভাব। আবার এমনও হতে পারে আমি পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে লিখাটা লিখতে পারিনাই। তবে আমি কিছুটা তো তথ্য দিয়েছি। তাইনা? তাহলে তোমার কর্তব্য কি হবে? তথ্যের যে গ্যাপটা আছে সেটা জানা। নিজে নিজে তথ্য বের করা। সুন্দর করে নিজে নিজে আরও বেশি স্টাডি করা যে কোন বিষয় তোমার জন্য বেস্ট হবে। দরকার হলে ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ভাই বা ইউনিভার্সিটির ফোরাম, গ্রুপগুলোতে নিজের কনফিউশন নিয়ে প্রশ্ন করা। ভাই তুমি যদি ৬০ বছর বেঁচে থাক এবং ৩০ বছর বয়সেও যদি তুমি প্রফেশনাল লাইফে ঢোক, তাহলে তোমার প্রফেশনাল লাইফ ৩০ বছরের। এই ৩০ বছর তুমি যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করবা সেটা নির্ধারণ করতে এট লিস্ট ৩ মাস তো তোমাকে এইটা নিয়ে স্টাডি করা দরকার তাইনা? আই মিন এটা ডিজারভ করে তো। বাট তুমি আজকে এই লেখাটা পড়লে, কয়েকজন মানুষের বা বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শুনলে এবং ডিসিশন নিয়ে ফেললে। আলটিমেটলি তুমি ভুল বা ঠিক যাই সিদ্ধান্ত নাও না কেন তোমার উচিত নিজে থেকে একটা ডিসিশন মেকিং সেন্স এবং এবিলিটি গ্রো করা। নাহলে লাইফে অন্যের কথায় কতদূর চলবে বল!

দরকার হলে ডিসিশন মেকিং এর ওপর একটা কোর্স নাও, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এর ওপর আরও একটা কোর্স নাও। ইন্ডাস্ট্রিতে ভিজিট কর যে কোন প্রফেশনের মানুষ কেমন কাজ করে, তাঁরা কেমন আছেন। গুগলে সার্চ কর যে ''Which subject is best for me'' বা এইরকম কিছু। Business Insider, Forbes এইগুলাতে বিষয় নির্বাচনের ওপর অনেক আর্টিকেল আছে। সেগুলো কষ্ট করে পড়। পরিসংখ্যান দেখ যে কোন বিষয়ের সেক্টর কেমন, এবং সে সেক্টরগুলোর অবস্থা এবং ফিউচার প্রস্পেক্ট কেমন। যারা ঐসব সেক্টরে কাজ করছেন তাঁদেরকে মেইল কর, ফোন কর। জানতে হবে নিজের দায়িত্বেই। কেও তোমার হয়ে জেনে দিবে না।
বড়ভাই, বড়বোনরা তোমাকে সাজেশন দিবেন নিজের অবস্থান থেকে। তাঁরা তো তোমার অবস্থান, তোমার সিচুয়েশন, তোমার পছন্দ, তোমার স্কিলস এইগুলা তোমার চেয়ে বেশি জানেন না। তাই কিভাবে তুমি তাঁদের কাছ থেকে বেস্ট ডিসিশন আশা কর। এইটা নিজের ওপর অন্যায় না? 

আরেকটা প্রব্লেম। এখনকার তরুণদের কমন কিছু কথা ''আমি তো ক্রিয়েটিভ না!'', ''আমি কিসে ভাল আমি নিজেই জানিনা'', ''আমি নিজের ব্যাপারে কিছু বলতে পারিনা''। এটা যদি হয় তাহলে কে তোমার ব্যাপারে বেশি জানবে বল? FBI? RAB? Police? Army? নাকি অন্যকেও? নিজেকে জান। নিজেকে কিভাবে জানতে হয় সেটা বুঝ। দরকার হলে এইটার ওপরও একটা লেকচার নিয়ে ফেল। কোন সিনিয়রের সাথে আলোচনা কর। দেখবে নিজেকে যদি জানতে পার অনেক কনফিডেন্স পাবে। সফলতা পাওয়া খুব সহজ হয়ে পড়বে।

শেষকথা। বিজনেস বিষয়টা অনেক ইন্টারেস্টিং। কিন্তু তুমি আরও ইন্টারেস্ট পাবা যদি রাইট ট্র্যাকে থাক। জব মার্কেটে ডিমান্ড বেশী বলে কিছু নাই। তুমি ভাল করলে তুমি বেস্ট হতে পারবে। সাবজেক্ট কোন ম্যাটার না।। তবে একাউন্টিং এ বিবিএ করে বেকার আছে এমন লোক খুব কম আছে। সো স্রোতে গা ভাসিও না। নিজের মধ্যে যা আছে সেটা আবিষ্কার করে বিষয় নির্বাচন কর। তোমার প্যাশন যেখানে সেটাতে যাও। তবে যদি বিবিএ'র কোন ভালো বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে পারো তোমাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবেনা।

আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে পারেন। পাশাপাশি আমাদের সাইটের অন্যন্যা আর্টিকেলগুলো পড়ুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.