ইংরেজি শেখার উপকারিতা ও উপায়সমূহ | Muhammed Juwel Ahmed





ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। আজকের দিনে ক্যারিয়ার যুদ্ধে এগিয়ে যেতে চাইলে অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি শেখার উপকারিতা আপনি তখনই ভোগ করতে পারবেন, যখন এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ভালো একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন

কেননা ইংরেজি বিশ্ব প্রসিদ্ধ এমন একটি ভাষা, যা রপ্ত করে খুব সহজেই পরিচিত-অপরিচিত যে কারো সাথে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায় এবং জ্ঞানের পরিধি সহজেই বাড়ানো যায়। যা আমাদের বাস্তবজীবনে একটি মানসম্মত জীবনযাত্রা তৈরি করতে বহুমুখী ভূমিকা রাখে।

এই একুশ শতকে এসে যেকোনো পেশার ক্ষেত্রে ইংরেজি শেখার গুরুত্ব অপরিসীম। ইংরেজি শেখার অনেক গুরুত্ব, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোর্সটিকায় আমাদের আজকের এই লেখাটি মূলত ইংরেজি ভাষার উপকারিতা নিয়ে আপনারা জানতে চলেছেন।

আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি ইংরেজি কেন শিখবেন, কীভাবে শিখবেন এবং এটি শেখার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবেন। তাহলে চলুন, শুরু করি।

ইংরেজি শেখার উপকারিতা

ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার বর্তমানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের নিকট ইংরেজি ভাষা অল্প সময়েই খুব জনপ্রিয়তা লাভ করছে। আজকে আমরা জানবো কেন ইংরেজি ভাষা শিখবেন এবং ইংরেজি কিভাবে আপনার দৈনন্দিন জীবনকে উন্নত করে সে সম্পর্কে।

১. স্মার্ট ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট

আপনি যদি খুব ভালো একটি ক্যারিয়ার বিল্ড-আপের স্বপ্ন দেখেন, তাহলে ইংরেজি শেখা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। ইংরেজি শেখার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো যেকোনো চাকরি খুব সহজে আপনি পেতে পারেন। আমরা ছোটবেলা থেকে ইংরেজির গুরুত্ব রচনা পড়ার সময় জেনে এসেছি যে, ইংরেজি জানা না থাকলে ভালো চাকরি পাওয়া যায় না। এ কথাটি একেবারে উড়িয়ে দেবার মত নয়।

আপনি ইংরেজি শিখতে পারলে খুব সহজে ভালো একটি চাকরির ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। বাংলাদেশের সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি উভয় ক্ষেত্রে ইংরেজিতে দক্ষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিসিএস দিয়ে যদি ইংরেজিতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন তাহলে খুব সহজে বিসিএস এর সবচেয়ে সেরা ক্যাডার অর্থাৎ ‘ফরেন ক্যাডার’ পেয়ে যাবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

এছাড়া কোম্পানি চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ইংরেজির উপর যদি আপনার ভালো দক্ষতা থাকলে তাহলে যে কোন চাকরিতে আপনি সবার চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবেন এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় দেখা যায় ইংরেজি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর থাকে। তাই চাকরির লিখিত পরীক্ষা বলুন কিংবা ভাইভা, সব জায়গায়তে রয়েছে ইংরেজির গুরুত্ব।

২. উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সুবিধা

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যেতে চান? ইংরেজি তো জানতেই হবে।আপনি যদি স্থির করে থাকেন বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করবেন এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন, তাহলে আপনার জন্য ইংরেজি শিক্ষক বাধ্যতামূলক। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লন্ডনের মত গুরুত্বপূর্ণ দেশে যদি আপনি যেতে চান তবে ইংরেজিতে অবশ্যই ভালো দখল থাকতে হবে।

ইংরেজিতে দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা রয়েছে সেখানে আপনাকে উত্তীর্ণ হয়ে একটা ভালো স্কোর নিয়ে আপনাকে সেটা দিয়ে বিদেশে পড়ার জন্য আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে আপনাকে যেমন ভালো কথা বলা শিখতে হবে তেমনি ইংরেজিতে ভালো লেখার দক্ষতা থাকতে হবে।

যারা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চান কিংবা বিদেশে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য ইংরেজি শেখার গুরুত্ব অপরিসীম।

৩. অর্থনৈতিক উপকারিতা

আপনি যদি একজন্য ব্যবসায়ী হন, তাহলেও ইংরেজি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার ক্রেতা বা গ্রাহকদের অসুবিধা বুঝতে পারবেন এবং সেটার সমাধান করে দিতে পারবেন।

ছাত্রজীবনেও ইংরেজির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি এর থেকে সুবিধা আদায় করতে পারেন। যাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে তারা ছাত্রজীবনে খুব ভালো পরিমাণ টিউশন পেয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে তাদের খুব চাহিদা বেশি। এছাড়া বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করে আয় করতে 

৪. বিভিন্ন দেশে খুব সহজে ভ্রমণ

আপনি যদি ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে পারেন তাহলে খুব সহজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। একেক দেশের একেক রকমের ভাষা হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন আন্তর্জাতিক কোন ভ্রমণে যাবেন তখন খুব সহজে যোগাযোগ করার জন্য এই ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন।

ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা আপনার যোগাযোগ দক্ষতাকে আরো একধাপ উপরে পৌঁছে দিবে। ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা থাকলে আপনি যে কোন দেশে খুব সহজে বসবাস করতে পারবেন। ইংরেজি শেখার উপকারিতার মধ্যে এটি অন্যতম একটি।

৫. অনলাইন ক্যারিয়ার

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কেউ চাকরী করতে না চাইলে, তার জন্য খোলা আছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হয়ে থাকেন, তাহলে ভাষাগত দক্ষতা দিয়ে অনলাইনে নিজের অবস্থান আর দৃঢ় করতে পারেন।

বর্তমানে তরুণদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংকে বলা হয়ে থাকে স্বাধীন পেশা। ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণত ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা হয়ে থাকে। আপনার যদি আইটি বিষয়ে কোনো দক্ষতা থাকে তাহলে সেটা আপনি কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। 

ইংরেজি শেখার আরো বেশকিছু সুবিধা

  • নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
  • নিজেকে সবার সামনে আরো বেশি স্মার্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ক্যারিয়ারে খুব দ্রুত প্রমোশন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারবেন।
  • বন্ধুমহলে নিজের আলাদা এবং গ্রহণযোগ্য একটি অবস্থান গড়ে তুলতে পারবেন।

ইংরেজি কীভাবে শিখবেন?

ইংরেজি শেখার এত গুরুত্ব জানার পর অবশ্যই আপনার মনে হচ্ছে, এটি শিখে রাখা জরুরী, তাই নয় কি? আপনি যদি ইংরেজি শিখতে খুব বেশি বদ্ধপরিকর হয়ে থাকেন, তাহলে কোর্সটিকায় আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি। কোর্সটিকায় রয়েছে ইংরেজি শেখার সকল উপকরণ। যা দিয়ে আপনি দক্ষতার সাথে প্রায়োগিক ইংরেজি শিখতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আলোচনায় আমরা আপনাকে ইংরেজি শেখার উপকারিতা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি, লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনি যদি ইংরেজি শিখতে চান তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য উপকারী হবে।

এই লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি ইংরেজি ভাষা শেখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারবেন এবং আপনি খুব আগ্রহ নিয়ে ইংরেজি শিখতে পারবেন।




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.