জেনেনিন কম্পিউটার বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও উত্তর ( Q&A ) Muhammed Juwel Ahmed |


তো বন্ধুরা, আজকে অনেক দিন পর আমরা কম্পিউটার নিয়ে একটি বিশেষ আর্টিকেল লিখছি।


কম্পিউটার বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর
কম্পিউটার বিষয়ক জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর

এই আর্টিকেলটিতে আমরা কম্পিউটার বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর কিছু নিয়ে কথা বলবো। (Computer related questions & answer in Bangla).

এমনিতে, কম্পিউটার নিয়ে কিছু নতুন এবং অগ্রসর (advanced) ইউসাররাও কিন্তু অনেক ধরণের প্রশ্ন নিয়ে ভাবেন।

তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রশ্ন কিন্তু অনেক সাধারণ তবে কিছু ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।

তাই, এখানে আমি প্রথমে কিছু সাধারণ “কম্পিউটার রিলেটেড প্রশ্ন” ও উত্তর নিয়ে আপনাদের বলবো।

কম্পিউটার বিষয়ক ১০ টি প্রশ্ন ও উত্তর বাংলাতে

প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে কথা বলার আগে আমি আপনাদের বলে দিতে চাই, যদি কম্পিউটার নিয়ে আপনার কিছু সমস্যা বা প্রশ্ন রয়েছে, তাহলে নিচে কমেন্ট করুন।

আমি আমার অনুভব এবং অভিজ্ঞতার হিসেবে আপনাদের উত্তর ও সমাধান অবশই দিবো।

১. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? (What Is Computer Virus)

একটি কম্পিউটার ভাইরাস (computer virus) হলো, এমন একটি “কম্পিউটার প্রোগ্রাম (computer program)” যেটাকে অন্যান্য “কম্পিউটার ডিভাইস (computer device)” গুলির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়।

এই ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যাকে বলা হয় “কম্পিউটার ভাইরাস“, আপনার ডিভাইসে (device) প্রবেশ করে ডিভাইসটিতে থাকা অন্যান্য প্রোগ্রাম গুলিতে নিজে নিজে ছড়িয়ে যায়।


এবং তারপর, সেই ভাইরাসটি তার নিজের হিসেবে অন্যান্য প্রোগ্রাম গুলিকে edit, modify বা corrupt করতে থাকে।

তাই, এই ধরণের পরিস্থিতি যেকোনো কম্পিউটার ইউসার এর জন্য অনেক ভয়াবহ হতে পারে।

কারণ, এভাবে নিজের হিসেবে program গুলি edit বা modify করে, একটি কম্পিউটার ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য চুরু করার সাথে সাথে সেগুলি ধ্বংস (destroy) করতেও সক্ষম।

কম্পিউটার ভাইরাস মানে কি ? এই প্রশ্নোর উত্তর একটাই।

এ হলো এমন একটি ধবংসকারী কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যেটা আপনার কম্পিউটার ডিভাইস এর সাথে সাথে আপনার নিজেরো ক্ষতি সাধন করতে পারবে।

এমনিতে বিভিন্ন প্রকারের কম্পিউটার ভাইরাস রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন প্রকারে একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে ক্ষতি করতে পারে।

এবিষয়ে অধিক জানার জন্য, নিচের আর্টিকেলটি পড়ুন।

একটি ভাইরাস, আপনার কম্পিউটারে মূলত দুই প্রকারে প্রবেশ করতে পারে।

  1. ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
  2. এক্সটার্নাল স্টোরেজ ডিভাইস এর মাধ্যমে। 

২. আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে ?

এমনিতে সব থেকে প্রথম কম্পিউটারটির নাম “abacus” বলে বলা হয় যেটাকে ১৬২২ সালে “William Oughtred” এর দ্বারা উদ্ভাবন (invent) করা হয়।

কিন্তু, পরের সময়ে সব থেকে প্রথম আধুনিক কম্পিউটার মেশিনটি (machine) ছিল, “Analytical Engine” যেটাকে ডিসাইন (design) করেছিলেন “Charles Babbage” নামের একজন ব্রিটিশন mathematician, প্রায় ১৮৩৩ থেকে ১৮৭১ সালের মধ্যে।


Charles Babbage কে, কম্পিউটারের জনক (father of computer) বলেও বলা হয়।

৩. কম্পিউটার চালু হচ্ছে না ? কি করবেন 

যদি আপনার কম্পিউটার চালু হচ্ছে না, তাহলে এতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে আপনার সিস্টেম সফটওয়্যার (system software) এর ঝামেলা এর কারণ হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার (hardware) খারাপ হওয়াটাও এর কারণ হওয়া দেখা গেছে।

তবে, কম্পিউটার চালু না হলে, নিচে দেওয়া এই প্রক্রিয়া গুলি করে দেখতে পারেন।

এতে, ৭৫% কম্পিউটার চালু না হওয়ার সমস্যার সমাধান হয়েই যায়।

  • প্রথমেই, আপনার CPU cabinet এর পেছনে লেগে থাকা Power cable টি চেক করে দেখুন। হতে পারে ক্যাবলটি খারাপ হয়েছে বা ঢিলা করে লেগে রয়েছে যার জন্য কম্পিউটার চালু হচ্ছেনা।
  • যদি আপনার কম্পিউটার হটাৎ কিছু দিন থেকে স্টার্ট হচ্ছেনা, তাহলে হতে পারে PSU (power supply unit) নষ্ট হয়েছে। PSU বা SMPS আপনার কম্পিউটারের motherboard এ বিদ্যুৎ (power) প্রদান করার কাজ করে। তাই, যদি power supply unit খারাপ হয়েছে, তাহলে কম্পিউটার কোনোমতেই চালু হবেনা। এই ক্ষেত্রে, একটি নতুন PSU কিনে motherboard এর সাথে সংযুক্ত (connect) করতে হবে।
  •  প্রত্যেক computer motherboard এর সাথে RAM সংযুক্ত হয়ে থাকে। এবং, অনেকেই এবেপারে জানেননা যে, motherboard এ থাকা “RAM slot” যেখানে RAM লাগানো হয়, সেখানে যদি ধুলো জমে যায় তাহলে, কম্পিউটার সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে থাকবে। তাই, এই ক্ষেত্রে আপনি motherboard এ থাকা RAM slot থেকে RAM গুলি খুলে slot গুলির থেকে ধুলো সরিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, RAM গুলিকেও অল্প পরিষ্কার করে, তারপর আবার ram slot এ লাগিয়ে দিতে হবে। এতে, ৫৫% কম্পিউটারের নিজে নিজে বন্ধ হওয়ার সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
  • CPU Cabinet এ থাকা power switch খারাপ থাকলেও, আপনার কম্পিউটার চালু বা অন হবেনা। ২৫% কম্পিউটারে, চালু না হওয়া সমস্যা এই power switch খারাপ থাকার জন্য হওয়া দেখা গেছে। তাই, আপনি চাইলে একবার cpu cabinet টি বদলে অবশই দেখতে পারেন। তাছাড়া, যদি সম্ভব “power switch” টি মেরামত করার বিষয়েও ভাবতে পারেন।
  •  CPU cabinet টি খোলে একবার ভালো করে দেখুন, কোনো জরুরি power cable কম্পিউটারের motherboard থেকে সংযোগ ছিন্ন (disconnect) করা তো নেই। যদি আছে, তাহলে সেটা আবার সঠিক ভাবে motherboard এর সঠিক জায়গায় লাগিয়ে বা সংযুক্ত (connect) করে দিতে হবে।

তাহলে, যদি ওপরে বলা সমাধান গুলি করেও, আপনার কম্পিউটার চালু হচ্ছে না, তাহলে হয়তো আপনাকে সম্পূর্ণ “motherboard” টি পাল্টে দিতে (change) হবে।

৪. কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং করা কি সম্ভব ?

হে অবশই, কম্পিউটারে বাংলা, হিন্দি এবং আরো অন্যান্য ভাষাতে লেখা সম্ভব। তবে, এর জন্য আপনাদের বিভিন্ন software ব্যবহার করতে হবে।

যদি আমরা, বাংলা ভাষাতে কম্পিউটারে লিখতে চাই, তাহলে আমাদের কাছে একটি ফ্রি “Bangla keyboard software” রয়েছে।

সেই সফটওয়্যার টির নাম হলো “Avro keyboard“.

এই বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে, আমরা অনেক সহজেই নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বাংলাতে টাইপ করতে পারি।

তাছাড়া, যেকোনো office tools যেমন, MS word, MS excel, Online writing এবং অন্যান্য যেকোনো application গুলিতে বাংলা ভাষাতে লিখতে পারবো।

৫. প্রয়োজনীয় কম্পিউটার কোর্স সমূহ কি কি ?

এমনিতে কম্পিউটারের সাথে জড়িত প্রচুর কোর্স (course) রয়েছে, যেগুলি অনেক লাভজনক।

তবে, আমি আপনাদের এমন কিছু প্রয়োজনীয় কম্পিউটার কোর্স গুলির বিষয়ে বলছি, যেগুলি যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে এবং আপনার নিজের শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।

কম্পিউটারের এই জরুরি কোর্স গুলি আপনারা উচ্চমাধ্যমিকের পর বা গ্রাজুয়েশন করার পর করলে বেশি ভালো।

১. MS office professional course

আজকাল যেকোনো অফিসে (office) বা দপ্তরে কম্পিউটারের সাথে জড়িত যেকোনো কাজ MS office এর মাধ্যমে করা হয়।

তাই, যতটা জলদি সম্ভব MS office word, PowerPoint বা excel application এর বিষয় গুলিতে নিজেকে একজন বিশেষজ্ঞ (expert) হিসেবে তৈরি করে নিন।

বিশ্বাস করুন, এই কম্পিউটার কোর্স প্রত্যেকের জন্য অনেক জরুরি এবং লাভজনক।

Microsoft office এর কম্পিউটার কোর্স সমূহ করতে আপনার কেবল ২ থেকে ৩ মাসের সময় লাগবে।

এবং, যত বেশি প্রাকটিক্যাল চর্চা করবেন, ততটাই ভালো করে শিখতে পারবেন।

২. Animation & VFX

এই animation এবং vfx এর কম্পিউটার কোর্স সুমুহ করাটা সবাইর পক্ষে সম্ভব না।

তবে, উচ্চমাধ্যমিকের পর এই কম্পিউটার কোর্সের করার চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

কারণ, এখনের সময়ে graphic designing এবং animation এর ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারলে প্রচুর সুযোগ থাকবে।

ভবিষ্যতে animation & VFX এর চাহিদা আরো অনেক বেড়ে যাবে।

তাছাড়া, এই ধরণের একটি কোর্স করে আপনারা নিজেদের অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করে YouTube এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার, এই কম্পিউটার কোর্স করে আপনারা বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

যেমন,

  1. Freelance VFX Professional
  2. VFX Expert
  3. Film Animation 
  4. Trainer (শেখাতে পারবেন).
  5. Professional visual Effects Expert

এবং ইন্টারনেটে অল্প খুঁজলেই, এই কোর্স করে অন্যান্য কি কি চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সেটাও জেনেনিতে পারবেন।

৩. Web Designing & Development

এখনের সময়ে সব কিছুই কিন্তু ডিজিটাল (Digital).

এবং, যেকোনো ব্যবসা বা সংগঠনের একটি ওয়েবসাইট অবশই রয়েছে।

তাই, এখনের সময়ে web designer এবং developer দেড় চাহিদা প্রচুর।

তাছাড়া, এই কম্পিউটার কোর্স করলে, চাকরির সুযোগ প্রচুর থাকবে।

তবে, নিজের একটি web designing & development এর ব্যবসাও করাটা সম্ভব হবে।

Web designing করে, আপনারা বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হয়ে দাঁড়াতে পারবেন।

যেমন,

  • Web designer (নিজস্ব ব্যবসা বা চাকরি হিসেবে)
  • Web Developer (নিজস্ব ব্যবসা বা চাকরি হিসেবে)
  • UEX Designer
  • Graphics Designer

৪. Digital Marketing

Digital marketing এর কোর্স করা লোকেদের চাহিদা প্রচুর।

কারণ, মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দিনের পর দিন এই অনলাইন প্রযুক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া, উচ্চমাধ্যমিকের পর আপনি যদি কিছু আলাদা এবং লাভজনক digital technology র সাথে সংযুক্ত কোর্স করতে চাচ্ছেন, তাহলে “Digital Marketing” এর কোর্স সেরা।

এই ক্ষেত্রে, চাকরির সুযোগ অনেক বেশি।

কারণ, একটি নতুন ধরণের ক্যারিয়ার হওয়ার জন্য, এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লোকেদের সংখ্যা অনেক কম।

এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করে আপনারা বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হয়ে দাঁড়াতে পারবেন।

যেমন,

  • Digital Marketer (নিজস্ব ব্যবসা হিসেবে)
  • Digital Marketing professional (অন্যান্য কোম্পানির জন্য কাজ করে)
  • Online Brand Management
  • Social Media Manager
  • SEO professional
  • SEO consultant
  • Digital Marketing instructor (নিজের কোর্স তৈরি করতে পারবেন)

৫. Computer Hardware Repairing

আজ প্রত্যেকের ঘরেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অবশই রয়েছে।

তাই, এই ধরণের একটি hardware repairing কোর্স করা থাকলে, আপনি নিজের একটি computer repairing এর দোকান অবশই দিতে পারবেন।

তাছাড়া, computer hardware repairing এবং maintenance নিয়ে আপনার যদি ভালো অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান থাকে, তাহলে অনেক নাম করা IT company গুলিতেও চাকরি পাওয়ার সুযোগ অবশই থাকবে।

৬. Mobile Application Development

একটি smartphone আমাদের জীবনের সব থেকে প্রিয় জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এর ব্যবহার ও চাহিদা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকবে।

তবে, online shopping থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের mobile games, food ordering এবং প্রায় যেকোনো ক্ষেত্রে একটি mobile application রয়েছে।

আর তাই, এখনের সময়ে mobile app development আপনার জন্য অনেক লাভজনক এবং নতুন রকমের একটি ক্যারিয়ার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

এই, ধরণের কোর্স করা লোকেদের সংখ্যা বর্তমানে অনেক কম।

এবং তাই, app development এর বিষয়টি নিয়ে ভালো করে জ্ঞান নিতে পারলে, বিভিন্ন IT company গুলিতে চাকরি পাওয়ার প্রচুর সুযোগ থাকবে।

তাছাড়া, আপনি নিজের একটি mobile app তৈরি করেও প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

এই কোর্স করে আপনারা বিভিন্ন বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে দাঁড়াতে পারবেন।

যেমন, 

  • Application editor & designer
  • UI designer
  • Application developer
  • Entrepreneur (নিজের app তৈরি করে)
  • App tester

তাহলে, ছাত্ররা উচ্চমাধ্যমিকের পর বা গ্রাজুয়েশন করার পর ওপরে বলা কম্পিউটার কোর্স গুলি করলে, বিভিন্ন IT company সহ ভালো ভালো কোম্পানি গুলিতে চাকরি পাওয়ার প্রচুর সুযোগ থাকবে।

৬. কম্পিউটারে কি টিভি দেখা সম্ভব ?

কম্পিউটারে টিভি দেখাটা অবশই সম্ভব। আমি নিজেই আমার কম্পিউটারের মাধ্যমে TV দেখছি।

তবে, আপনি টিভি দুটি মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

একটি হলো, অনলাইন বিভিন্ন অনলাইন live TV website বা application এর মাধ্যমে।

এবং, দ্বিতীয় প্রক্রিয়া হলো, TV tuner card ব্যবহার করে।

TV টিউনার কার্ড এক রকমের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।

এই হার্ডওয়্যার আপনি আপনার monitor এর সাথে সংযুক্ত করে, তারপর যেকোনো DTH বা Dish TV র মাধ্যমে টিভি (TV) দেখতে পারবেন।

মনে রাখবেন, সবসময় external TV tuner card ব্যবহার করবেন।

এতে, আপনি কম্পিউটার না চালিয়েই monitor এর সাহায্যে টিভি দেখতে পারবেন।

তবে, internal TV TUNER card ব্যবহার করলে, যতবার আপনি টিভি দেখতে চাইবেন, আপনার কম্পিউটার চালু করতেই হবে।

 ৭. কম্পিউটার কত প্রকারের ? কম্পিউটারের প্রকারভেদ

এমনিতে, কম্পিউটার (computer) বললেই আমরা কেবল desktop computer বা laptop কেই বুঝি।

এবং এটা স্বাভাবিক।

প্রায় অনেকেই, কম্পিউটার কত প্রকারের বা এর প্রকারভেদ গুলি নিয়ে বিশেষ কোনো ধ্যান দেননা।

তবে, মনে রাখবেন, কম্পিউটার বিভিন্ন প্রকারের রয়েছে।

আমার এবং আপনার বাড়িতে থাকা ওই desktop computer বা laptop ছাড়াও, এর ভিন্ন ভিন্ন প্রকার রয়েছে।

কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার গুলি হলো –

  • Super computer 
  • Mainframe computer 
  • Mini computer 
  • Micro computer 

Super computer :

এই ধরণের কম্পিউটার গুলি অনেক বেশি ফাস্ট (fast) এবং আকারে অনেক বিশাল থাকে।

এবং, আমাদের সাধারণ কম্পিউটার গুলির মতো সাধারণ কাজে এগুলি ব্যবহার করা হয়না।

এই ধরণের অ্যাডভান্সড কম্পিউটার গুলি scientific এবং engineering applications এর কাজে ব্যবহার করা হয়।

কারণ, এই ধরণের কাজে, অনেক বড় সংখ্যায় database গুলি handle করতে হয়।

তাছাড়া, অনেক বেশি computational operations করার জন্য কেবল, এই ধরণের সুপার কম্পিউটার গুলি সক্ষম।

কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে, এই সুপার কম্পিউটার গুলি সাধারণ কম্পিউটার গুলির তুলনায় হাজার গুন্ অধিক দ্রুত (fast) এবং সঠিক।

Mainframe computer :

Mainframe computer গুলি অনেক বড় বড় organization গুলির দ্বারা ব্যবহার করা হয় কিছু সংকট পূর্ণ (critical) এপ্লিকেশন গুলির জন্য।

এই ধরণের কম্পিউটার গুলিতেও অধিক পরিমানে স্টোরেজ, অনেক বড় আকার, প্রসেসিং এর প্রচুর শক্তিশালী ক্ষমতা এবং আরো অন্যান্য কিছু শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে।

অধিক বড় ডাটা প্রসেসিং (data processing) এর কাজে বিভিন্ন বড় organization গুলি এই ধরণের মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করেন।

Mini computer :

মিনি কম্পিউটার সেগুলিকে বলা হয়, যেগুলিতে আধুনিক এবং শক্তিশালী প্রসেসিং পাওয়ার (processing power) থাকার সাথে সাথে অনেক শক্তিশালী থাকবে, কিন্তু তাদের আকার ছোট হবে।

মাইক্রো কম্পিউটার এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটারের মাঝে থাকা কম্পিউটার হলো এটা।

কারণ, এই ধরণের কম্পিউটার গুলি আকারে, মাইক্রো কম্পিউটার থেকে বড় এবং মাইনফেস্ট কম্পিউটার থেকে ছোট হয়।

তবে, সুপার কম্পিউটার এবং মাইনফেস্ট কম্পিউটারের তুলনায় এর ক্ষমতা ও শক্তি কম।

আপনি অবশই এই ধরণের কম্পিউটার অবশই ব্যবহার করেছেন।

  • Desktop computer 
  • Notebook / laptop computers 
  • Network computer 
  • Tablet 

এগুলি হলো, মিনি কম্পিউটারের কিছু প্রকার।

এই ধরণের কম্পিউটার, বিশেষ করে মানুষের ঘরে ঘরে এবং দফতরে সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

তবে, কেবল সাধারণ word processing এবং accounting এর কাজেই এগুলিকে ব্যবহার করা হতো।

Micro computer :

এখন, ওপরে বলা সব ধরণের কম্পিউটার গুলির পর আসে, মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer).

এগুলি, সুপার কম্পিউটারমেইনফ্রেম কম্পিউটার এবং মিনি কম্পিউটারের তুলনায় আকারে অধিক ছোট।

তবে, অনেক কম খরচেই এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করা সম্ভব।

এগুলি হলো এমন কিছু উন্নত এবং অ্যাডভান্সড কম্পিউটার, যেখানে microprocessor হিসেবে একটি central processing unit (CPU) ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া, মেমরি বা রেম (RAM) এর ব্যবহার করার সাথে সাথে এখানে input ও out device ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কিছু জায়গা এর circuit board এ দেওয়া হয়েছে।

ব্যক্তিগত (individual) ব্যবহারের জন্য জন্য এই ধরণের অনেক ছোট আকারের কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল।

এখনের সময়ে, আমরা এই মাইক্রো কম্পিউটার গুলিকে সোজা ভাবে personal computer বা PC বলি।

তাহলে বুঝলেন তো মাইক্রো কম্পিউটার কি।

তাহলে এখন বুঝলেনতো “কম্পিউটার কত প্রকারের” ?

৮. কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ গুলির নাম কি কি ?

এমনিতেম, কম্পিউটারের বিভিন্ন আলাদা আলাদা অংশ (parts) রয়েছে।

তবে, কিছু জরুরি এবং মুখ্য অংশ গুলির নাম আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি।

১. Monitor – ভিডিও এবং গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লে পাওয়ার জন্য, মনিটর ব্যবহার করা হয়।

২. CPU case – কম্পিউটারের মুখ্য ইন্টারনাল ডিভাইস (internal device) গুলিকে, CPU case বা CPU cabinet এ একসাথে রাখা হয়।

৩. Keyboard – টাইপিং (typing) এবং ইনপুট প্রদান করার জন্য keyboard ব্যবহার করা হয়।

৪. Mouse – মাউস হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যার দ্বারা আমরা কম্পিউটারকে কাজ করার নির্দেশ দিতে পারি।

৫. Processor (CPU) – CPU বা processor, কম্পিউটারের অনেক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এ, কম্পিউটারে সব রকমের কাজ গুলিকে প্রসেস (process) করে।

৬. RAM – RAM হলো কম্পিউটারের অনেক জরুরি একটি অংশ বা হার্ডওয়্যার। এর দ্বারা, কম্পিউটার চালু থাকা অবস্থায় সব রকমের data এবং information গুলি সেভ ও জমা করে রাখে।

কম্পিউটার বন্ধ হওয়ার পর সেই data ও information গুলি RAM থেকে আবার মুছে যায়।

৭. Hard drive – হার্ড ড্রাইভ হলো কম্পিউটারের একটি স্টোরেজ ডিভাইস। এর মাধ্যমে, আমরা যেকোনো ডাটা, ভিডিও, ডকুমেন্ট, ইমেজ বা ইনফরমেশন আমাদের কম্পিউটারে সেভ (save) করে রাখতে পারি।

৮. Motherboard – কম্পিউটারের যেকোনো ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল ডিভাইস বা হার্ডওয়্যার ও উপাদান গুলি এই motherboard এই সংযুক্ত করা হয়।

এই motherboard টি, PSU বা power supply unit থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে।

Motherboard এর মাধ্যমে, কম্পিউটারের প্রত্যেকটি অংশ গুলি একে আরেকজনের সাথে যোগাযোক (communicate) করতে পারে।

তাহলে, কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ গুলির কথা বললে, ওপরে বলা গুলি মুখ্য।

৯. SSD এবং HDD স্টোরেজের পার্থক্য কি ?

আমরা সাধারনে, কম্পিউটারে স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে “Hard disc drive” বা “HDD” ব্যবহার করি।

তবে, এখন নতুন একটি স্টোরেজ ডিভাইস এসে গেছে, যেটাকে বলা হয় “solid state drive” বা “SSD“.

HDD storage drive গুলি অনেক পুরোনো প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, যার কারণে এরা অনেক স্লো (slow) তবে অনেক কম দামেই পাওয়া যেতে পারে।

HDD গুলি magnetic tape দিয়ে তৈরি করা হয়। তাছাড়া, এগুলির read and write করার দ্রুততা (speed) অনেক স্লো।

কিন্তু, SSD storage device গুলি আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

SSD গুলি HDD তুলনায় অনেক ছোট থাকে এবং এখানে ডাটা (data) গুলি instantly-accessible memory chips গুলিতে স্টোর করে রাখা হয়।

তাই, এই ধরণের SSD storage কম্পিউটারে ব্যবহার করলে, আপনার কম্পিউটার অনেক দ্রুত ভাবে কাজ করবে।

এই SSD গুলি অনেক আধুনিক এবং দ্রুত।

আর তাই সাধারণ HDDর তুলনায় SSDর দাম অনেক বেশি।

যদি আপনি বর্তমানে নতুন কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করছেন, তাহলে অন্তত OS installation এর জন্য একটি কম storage capacity র SSD অবশই ব্যবহার করবেন।

১০. নিজে কম্পিউটার ফ্ল্যাশ বা ফরম্যাট করা কি সম্ভব ?

হে অবশই, আপনি আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ সেটআপ ফ্ল্যাশ বা ফরম্যাট দিতে পারবেন।

তবে, এই ক্ষেত্রে আপনার ৩ টি জিনিসের প্রয়োজন হবে।

  • Windows ৭ বা ১০ এর iso file.
  • Bootable flash drive তৈরির জন্য একটি pen-drive.
  • Rufus software

আপনি অনেক সহজেই একটি অরিজিনাল windows ১০ ISO ফাইল, উইন্ডোজের official ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এখন, আপনার কাছে একটি pen drive থাকতে হবে, যেটা কম্পিউটারে থাকা USB port এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

তারপর, Rufus software এর মাধ্যমে, pen-drive টিতে উইন্ডোজ ISO ফাইলটি ফ্ল্যাশ করে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ তৈরি করতে হবে।

অবশেষে, তৈরি হওয়া ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি দিয়ে আপনি আপনার কম্পিউটারে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে পারবেন।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আমরা এই আর্টিকেলে কম্পিউটার নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর এর বিষয়ে কথা বললাম।

তবে, যদি আপনি কম্পিউটার বিষয়ক কিছু প্রশ্ন বা সমস্যার বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন, তাহলে কমেন্ট অবশই করবেন।

শেষে, যদি আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার অবশই করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.