কম্পিউটারের র্যাম (ram) কি ? এর কাজ এবং প্রকারভেদ |

র্যাম (RAM) কাকে বলে: এখনের সময়ে কম্পিউটার বিষয়ক জটিল জিনিস গুলি নিয়ে আপনার জ্ঞান আছে কি নেই সেটা পরের কথা।

ram মানে কি
Ram বলতে কি বোঝায় ?

তবে, কম্পিউটার বিষয়ক কিছু সাধারণ বিষয় গুলির ওপর আপনার জ্ঞান থাকা টা কিন্তু অনেক জরুরী। 

এখনের যুগ হলো কম্পিউটার প্রযুক্তির (computer technology) যুগ। 

প্রত্যেকটি কাজ আজকাল কম্পিউটারের মাধ্যমেই করা হয় 

এবং তাই, কম্পিউটার বিষয়ক কিছু সাধারণ জ্ঞান যদি আপনার না থাকে, তাহলে বেপারটা আপনার জন্য ভবিষ্যতে বিভিন্ন খেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। 

তাই, আজকে আমরা কম্পিউটারের একটি বিশেষ এবং অনেক জরুরী অংশ নিয়ে কথা বলবো। 


এবং সেই জরুরি অংশটি হলো, “RAM”. (About ram in Bangla).

আজকে আমরা জেনে নিবো “ram কি” (What Is RAM in Bangla), “ram এর কাজ কি” “ram এবং rom এর পার্থক্য কি”, এবং শেষে র্যাম এর বিশিষ্ট্য এবং প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আপনার জেনে নেবো। 

তবে মনে রাখবেন, র্যাম বা ram বলতে কেবল ডেস্কটপ কম্পিউটার (desktop computer) এর ram বোঝায়না। 

একটি র্যাম (ram) যেভাবে আমাদের কম্পিউটার ও ল্যাপটপের জন্য জরুরি, সেভাবেই স্মার্টফোন গুলিতেও এর প্রয়োজনীয়তা ঠিক একি। 


কারণ আমাদের মোবাইল বা স্মার্টফোন (smartphone) গুলিও এক ধরণের computer device.

এবং সেটাই কারণ যার জন্য, আমরা কম্পিউটার ও মোবাইল দুটোই কেনার ক্ষেত্রে, র্যাম (ram) কতটুকু রয়েছে সেটা আগেই দেখে নেই। 


তাই, কম্পিউটার হোক বা আধুনিক স্মার্টফোন, র্যাম (ram) এর পরিভাষা দুটো ক্ষেত্রেই সমান বা একি। 

তাহলে চলুন, নিচে আমরা প্রথমেই “র্যাম কি বা ram কাকে বলে” এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু করি। 

র্যাম (ram) কি ? (What Is A Ram in Bangla)

র্যাম এর সম্পূর্ণ নাম বা ram এর পূর্ণ রুপ হলো হলো “র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি” ইংরেজিতে “random access memory.

তাছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে একে “direct access memory” বলেও বলা হয়.


RAM হলো কম্পিউটারের একটি অনেক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ hardware.

তবে, র্যাম এর পূর্ণ রূপ বা ফুল ফর্ম এর বেপারে জানার পর, হয়তো আপনি এই বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারলেননা। 

চলুন, র্যাম এর ব্যাপারে আমরা অল্প সরল এবং সহজ ভাবে বোঝার চেষ্টা করি।


কম্পিউটারের ram হলো, এমন একটি “স্টোরেজ মেমরি ডিভাইস“, যেটা কিছু সময়ের জন্য, যেকোনো “এপ্লিকেশন (application)” প্রসেস (process) করার উদেশ্যে, এপ্লিকেশনের সাথে জড়িত বিভিন্ন তথ্য (information) এবং ডাটা (data) অস্থায়ী ভাবে নিজের কাছে জমা রাখে। 

কম্পিউটারকে দেওয়া আপনার কাজের নির্দেশ অনুসারী, বিভিন্ন তথ্য (information) বা ডাটা (data), ram নিজের মেমোরিতে সেভ (save) বা সঞ্চিত করে রাখে। 

এতে, অনেক সহজে এবং দ্রুত ভাবে কম্পিউটার, আপনার নির্দেশ হিসেবে কাজ গুলিকে প্রসেসরের কাছে তুলে দিতে পারে। 

এবং, মনে রাখবেন, ram কেবল কিছু সময়ের জন্য যেকোনো information বা data নিজের কাছে জমা রাখে। 

কাজ প্রসেস হয়ে হয়ে গেলে বা কম্পিউটার রিস্টার্ট (restart) ও turn off করে দিলেই, সকল অস্থায়ী তথ্য ও ডাটা ram থেকে নাই হয়ে যাবে। 

Ram যেকোনো কম্পিউটারের সব থেকে জরুরি একটি অংশ। 

কেননা, আমাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কতটা দ্রুত ভাবে কাজ করবে, সেটা নির্ভর করবে কম্পিউটারের ram memory এর ওপরে।

তাহলে, র্যাম (Ram) বলতে কি বুঝায় বিষয়টি বুঝতে পারলেন তো ?

কম্পিউটারে Ram এর কাজ কি ?

যখনি আমরা কম্পিউটারকে কোনো কাজ দেই, সেই কাজের সাথে জড়িত তথ্য এবং ডাটা গুলি র্যাম (ram) নিজের কাছে সেভ (save) ও সঞ্চিত করে নেয়। 

এবং তার পর, ram এর মাধ্যমে সেই সকল অস্থায়ী ডাটা ও তথ্য গুলি, প্রসেসর (processor) সহজে সংগ্রহ কোরে, কাজ গুলি সম্পন্ন (complete) করে নিতে পারে। 

তাছাড়া, ram এবং processor এর মধ্যে চলতে থাকা, এই data ও information গুলির আদান প্রদানের প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত গতিতে চলতে থাকবে। 

আর তাই, আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে থাকা র্যাম (ram) যত বেশি উন্নতমানের এবং অধিক ফ্রিকোয়েন্সির (frequency) থাকবে, ততটাই দ্রুত ভাবে এই “data processing” এর কাজ গুলি হবে। 

আপনার computer বা smartphone device ডিভাইসে যদি একটি ram না থাকে, তাহলে সেই ডিভাইস কখনো চালু হবেনা।

কারণ, কম্পিউটার বা মোবাইল চালু করার পর, OS (operating system) এর সাথে জড়িত ডেটা ও তথ্য গুলিও ram memory তে সঞ্চিত হয়।

তারপর র্যাম থেকে, প্রসেসর (processor) আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের তথ্য ও ডাটা গুলি সংগ্রহ করে।

শেষে, ডেটা প্রসেসিং হওয়ার পর আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইল বুট (boot) হয় বা চালু হয়।

তাই, ram হলো যেকোনো কম্পিউটারের এমন একটি temporary storage memory, যেখানে কম্পিউটারে সক্রিয় application, software, information গুলির সাথে জড়িত data ও machine code গুলি অস্থায়ী ভাবে সেভ (save) হয়ে থাকে।

এবং, এই র্যাম মেমরির থেকেই, প্রসেসর information বা data গুলি সংগ্রহ কোরে, যেকোনো কাজ সম্পন্ন করে।

র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি (ram), আকার, গঠন, ক্ষমতা, দ্রুততা (speed) এবং স্থাপত্য (architecture) হিসেবে আলাদা আলাদা হতে পারে। 

র্যাম নিয়ে এই বিষয় গুলিতে ধ্যান দেওয়াটা অনেক জরুরি, যখন আপনি একটি computer device কেনার অথবা আপগ্রেড করার কথা ভাবছেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

ধরুন, আপনি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে যেকোনো একটি সফটওয়্যার চালু করলেন।

ধরেনিন সেই সফটওয়্যারটি হলো একটি ওয়েব ব্রাউসার (web browser).

এখন, আপনি সফটওয়্যার টিতে ক্লিক করার সাথে সাথে, সেই web browser software এর সাথে জড়িত প্রত্যেকটি data এবং information ডিভাইস এর ram memory তে save হয়ে যাবে।

এবং, তারপর ram এর থেকেই software টির data ও information গুলি processor দ্বারা সংগ্রহ করা হবে।

একবার, processor বা CPU দ্বারা data ও information গুলি প্রসেস হওয়ার পর, আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলে সেই web browser application টি ওপেন (open) হয়ে যাবে।

এখন একবার ভেবে দেখুন, software টিতে ক্লিক করার থেকে শুরু করে সফটওয়্যারটি ওপেন হওয়া অব্দি কতটা কাজ হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু, তাও সবটাই কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে।

কারণ, ram এবং processor মাঝে হওয়া এই প্রক্রিয়া অনেক হাজার গুন্ দ্রুত ভাবে সম্পন্ন হয়।

Ram এর কাজ এটাই যে, কম্পিউটারে যেকোনো কাজ হওয়ার সময়, সেই কাজের সাথে জড়িত data, information বা machine code গুলিকে নিজের কাছে সেভ (save) বা জমা করে রাখা।

তাহলে এখন বুঝলেন তো, ram এর কাজ কি বা কম্পিউটারে র্যাম কি কাজ করে।

মনে রাখবেন

Ram এর সাইজ (size) যত বেশি থাকবে, ততটাই সহজ ভাবে কম্পিউটারে মাল্টিটাস্কিং (multitasking) করা যাবে এবং কম্পিউটার হ্যাং (hang) হবেনা। 

কারণ, বেশি র্যাম থাকা মানেই হলো, কম্পিউটারের কাছে অধিক অস্থায়ী মেমরি (temporary memory) থাকা।  

এবং, অধিক অস্থায়ী মেমরি থাকা মানেই হলো, অধিক কাজ করার জন্য অধিক বেশি পরিমানের data ও Information র্যাম এর কাছে অস্থায়ী ভাবে জমা রাখা যাবে। 

এমনিতে, 1GB, 2GB, 4GB, 8GB, 16GB, 32GB র্যাম (ram) আমরা ব্যবহার করতে পারি।

Ram এর প্রকারভেদ 

এখন, “র্যাম কি” এবং “ram এর কাজ কি” এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পর, আমরা এখন জানবো, “র্যাম এর বিভিন্ন প্রকার” গুলির বিষয়ে।

আজকাল প্রায় যেকোনো computing-capable device গুলিতে ram এর প্রয়োজন।

যেমন, smartphones, tablets, desktops PC, laptops, HDTV ইত্যাদি।

এবং, প্রত্যেক আলাদা আলাদা device গুলিতে ব্যবহার হওয়া ram memory গুলির কাজ এবং উদ্দেশ্যে প্রায় একি।

কম্পিউটারের র্যাম মেমরির (ram memory) মূলত ৬ টি আলাদা আলাদা প্রকার দেখা যায়।

তবে, প্রত্যেকটি  র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরির (RAM) এর কাজ করার ক্ষমতা আলাদা আলাদা হতে পারে। 

৬ টি কম্পিউটার র্যাম এর প্রকার (types of computer ram)

  • Static RAM (SRAM)
  • Dynamic RAM (DRAM)
  • Synchronous Dynamic RAM (SDRAM)
  • Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM (SDR SDRAM)
  • Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (DDR SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4)
  • Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5)

চলুন, বিষয় গুলি অল্প ভেঙে জেনে নেই। 

১. Static Ram (SRAM) : ১৯৯০ সালে এই ধরণের র্যাম বাজারে আনা হয়েছিল।

এবং, বর্তমানেও এই র্যাম গুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। Digital camera, printer, LCD screen ইত্যাদি ডিভাইস গুলিতে এই SRAM গুলি ব্যবহার করা হয়।

২. Dynamic Ram (DRAM) : প্রায় ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের ভেতরে এই DRAM গুলির প্রচলন ছিল।

এমনিতে, video game console, networking hardware এবং এই ধরণের ডিভাইস গুলিতে এই র্যাম গুলি ব্যবহার করা হতো।

৩. Synchronous Dynamic RAM (SDRAM) : ১৯৯৩ সালের থেকে বর্তমান সময়েও এই ধরণের SDRAM ব্যবহার করা হচ্ছে।

Computer memory এবং video game console এর ক্ষেত্রে এই র্যাম এর প্রকার গুলি ব্যবহার করা হয়।

৪. Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM (SDR SDRAM) : ১৯৯৩ সালে এই SDR SDRAM গুলি বাজারে এসেছিলো এবং বর্তমানেও চলছে।

এই ধরণের র্যাম গুলিও, computer memory এবং video game console এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।  তবে, SDR SDRAM গুলি কিছু উন্নতমানের।

৫. Double Data Rate Synchronous Dynamic Ram (DDR SDRAM) : ২০০০ সালের থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরণের এই ধরণের র্যাম গুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।

Computer memory RAM হিসেবে DDR SDRAM গুলি ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটার ডিভাইস গুলির জন্য অনেক আধুনিক, দ্রুত এবং অনেক উন্নতমানের র্যাম মেমরি হলো এই DDR SDRAM গুলি.

৬. Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM) : প্রায় ২০০৩ সালের পর থেকে এই ধরণের র্যাম বাজারে এসে পড়েছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে।

এই ধরণের র্যাম (RAM) গুলি মূলত VIDEO GRAPHICS CARD গুলিতে ব্যবহার করা হয়।

তবে, কিছু ট্যাবলেট (tablet) ডিভাইস গুলিতেও GDDR SDRAM গুলির ব্যবহার হয়েছে।

বিশেষ করে, VIDEO GRAPHICS RENDERING এবং dedicated GPU (graphics processing unit) এর উদ্দেশ্যে এই ধরণের GDDR SDRAM তৈরি করা হয়েছে।

High definition realistic video এবং 720p বা 1080p high-resolution displays view ও gaming এর ক্ষেত্রে, এই ধরণের GDDR RAM ব্যবহার হয়।

Ram এবং ROM এর পার্থক্য কি কি ?

এমনিতে, random access memory (RAM) এবং read only memory (ROM) মধ্যে তেমন বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই।

কারণ, দুটোই হলো এমন এক memory device বা hardware যেখানে data ও information সঞ্চিত করে রাখা হয়।

তবে হে, ক্ষমতা এবং কার্যশক্তি হিসেবে দেখলে এদের মধ্যে প্রায় প্রুচুর পার্থক্য রয়েছে।

Difference between RAM and ROM 

১. Memory nature or type

RAM কেবল, কিছু সময়ের জন্য অস্থায়ী ভাবে, বর্তমানে CPU দ্বারা ব্যবহার হওয়া  data, information এবং machine code গুলি নিজের মধ্যে সঞ্চিত করে রাখতে পারে।

কিন্তু, 

Rom এর ক্ষেত্রে, এটা সম্পূর্ণ বিপরীত।

একটি ROM হলো কম্পিউটারের এমন একটি মেমরি যেখানে data, information বা file স্থায়ী ভাবে স্টোর (store) করে রাখা থাকে।

Computer এর bootstrap এর ক্ষেত্রে জরুরি data ও information এই ROM memory তে রাখা হয়।

যেমন, কম্পিউটারের bios এবং framework.

২. Data access permission 

Ram memory তে থাকা data এবং information গুলি যেকোনো সময় read, write এবং erase করা যেতে পারে।

এবং, সেটাও একাধিক বার করা সম্ভব।

কিন্তু,

Rom memory তে থাকা data এবং information গুলি কেবল read করা যেতে পারে।

তাই, একে বলা হয় “রিড অনলি মেমরি” (Read only memory).

৩. Data availability 

আপনার computer device রিস্টার্ট বা টার্ন অফ করলে, র্যাম এ থাকা তথ্য ও ডাটা গুলি মুছে (erase) যায়।

কারণ Ram হলো “volatile memory” এবং যতক্ষণ এতে বিদ্যুৎ (power) সরবরাহ (supply) করা হবে, ততক্ষন এ data ও information স্টোর ও জমা করতে পারবে।n

কিন্তু, 

কম্পিউটার ডিভাইস টার্ন অফ করলেও ROM এ থাকা তথ্য ও ডাটা মুছে যাবেনা।

সেগুলি নিজের জায়গাতেই থাকবে।

কারণ, ROM হলো “non-volatile memory” এবং যে বিদ্যুৎ সরবরাহ (power supply) ছাড়াও data ও information নিজের মধ্যে রাখতে পারে।

৪. Speed (দ্রুততা)

কম্পিউটারের RAM হলো অনেক high speed memory.

কিন্তু,

RAM এর তুলনায় ROM অনেক বেশি পরিমানে slow.

৫. CPU Interaction

র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরিতে সঞ্চিত data ও information গুলি সিপিইউ (CPU) সোজা ভাবে অ্যাক্সেস করতে পারে।

কিন্তু, 

রিড অনলি মেমরিতে (ROM) সঞ্চিত ডেটা ও ইনফরমেশন গুলি সিপিইউ অ্যাক্সেস করতে পারবেনা। 

তবে, সেই ডেটা ও ইনফরমেশন গুলি ram memory তে সঞ্চিত থাকলে, সেগুলি সিপিইউ দ্বারা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। 

৬. Size and Capacity

RAM গুলি একনিতে অনেক বেশি সাইজ (size) এর থাকে এবং এদের ধারণক্ষমতা (capacity) অনেক বেশি।

কিন্তু, 

ROM গুলির সাইজ (size) অনেক কম এবং এদের ধারণক্ষমতাও (capacity) সীমিত।

৭. ব্যবহার (uses)

CPU cache এবং primary memory র ক্ষেত্রে, RAM গুলি ব্যবহার করা হয়।

তবে,

Firmware, bios এবং Micro-controllers এর ক্ষেত্রে ROM ব্যবহার করা হয়।

৮. Accessibility

RAM এ সঞ্চিত ডেটা ও ইনফরমেশন গুলি সহজে অ্যাক্সেস (access) করা যেতে পারে। 

তবে,

ROM এ সঞ্চিত ডেটা এবং ইনফরমেশন গুলি সহজেই অ্যাক্সেস করা যেতে পারেনা।

৯. মূল্য (cost)

RAM memory গুলির মূল্য (cost) অনেক বেশি।

তবে,

RAM এর তুলনায় ROM memory গুলির মূল্য অনেক কম।

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি “ram এবং rom এর পার্থক্য কি কি ” সেটা আপনারা সহজেই বুঝতে পারলেন।

কম্পিউটারে কতটুক র্যাম এর প্রয়োজন ?

দেখুন, এই প্রশ্নের উত্তর আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে আলাদা আলাদা হতে পারে।

কারণ, উন্নতমানের এবং অধিক ক্ষমতা থাকা র্যাম ব্যবহার করার জন্য, আপনার কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার থাকতে হবে।

তবে, বর্তমানে DDR3 এবং DDR4 মডেলের ram ব্যবহার করা হচ্ছে।

DDR3 এবং DDR4 আধুনিক এবং উন্নতমানের র্যাম যেগুলির কার্যক্ষমতা প্রচুর ভালো ও দ্রুত।

তাই, আপনি যদি একটি নতুন কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে সেটাতে DDR4 এর ram ব্যবহার করুন।

তাছাড়া, ram memory র frequency যতটা বেশি থাকবে, ততটাই দ্রুত ও স্মুথ (smooth) ভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারবে।

কারণ, ram frequency আসলে ram এর দ্রুততার (speed) পরিমান বোঝায়।

তাই, যত বেশি ram এর frequency থাকবে ততটাই দ্রুত হবে আপনার র্যাম।

উদাহরণ স্বরূপে,

2400MHz, 2133MHz, 1600MHz, 3200 MHz এবং আরও অনেক frequency র র্যাম রয়েছে।

এখন, শেষে আপনার ধ্যান দিতে হবে, র্যাম এর সাইজ এর ওপরে।

Ram frequency র মতোই, যতটা বেশি ram এর size থাকবে, ততটাই স্মুথ (smooth) ভাবে কম্পিউটারে কাজ করতে পারবেন।

এতে, কম্পিউটার স্লো হওয়া বা হ্যাং হওয়ার সমস্যা দেখা দিবেনা।

কারণ, ram এর size অধিক হওয়া মানেই, CPU দ্বারা কম্পিউটারে একটি সময়ে অনেক কাজ একসাথেই করা যেতে পারবে।

এবং, যাকে আমরা বলি “মাল্টিটাস্কিং (multitasking”.

আপনারা বাজারে বিভিন্ন আলাদা আলাদা size এর ram পেয়ে যাবেন।

যেমন, 2GB, 4GB, 8GB, 16GB, 32GB এবং 64GB.

তাই, আপনার কম্পিউটারের জন্য একটি ভালো frequency র অধিক size থাকা ram ভালো অবশই হবে।

যেমন, 2400MHz থেকে 3200 MHz এর frequency থাকা একটি 8GB র র্যাম।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা এই আর্টিকেলে শিখলাম যে, “ram কি (what is a ram in Bangla)“, “ram এর কাজ কি“, “বিভিন্ন প্রকারের ram” এর শেষে “RAM এবং ROM এর পার্থক্য কি কি” সেবিষয়েও আমরা জানলাম।

আপনার কম্পিউটারের দ্রুততা এবং কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ রূপে, ram এবং processor এর ওপরেই নির্ভর করবে।

কারণে, কম্পিউটারের এই দুটি hardware আপনার নির্দেশ অনুসারী যেকোনো কাজ সম্পন্ন ও প্রসেস করে।

তাই, RAM যতটা উন্নত, high frequency র এবং অধিক বেশি size এর ব্যবহার করবেন, আপনার কম্পিউটার ততটাই দ্রুত ভাবে এবং হ্যাং (hang) না হয়ে কাজ করবে।

কম্পিউটার ও ল্যাপটপের সাথে জড়িত অন্যান্য প্রশ্ন ও সমস্যা থাকলে, আমাকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.