গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন?
সূচনা
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাতিত পুরো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টই অচল। এর কারনও বিদ্যমান চোখের সামনেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যা যা দরকার একটা কোম্পানির, তার বেশির ভাগই বানায় গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা।
ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল, ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ভেতরে পড়ে।
এসব কারনেই গ্রাফিক্স ডিজাইন-এর গুরুত্ব দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন, তাহলে অবশ্যই এটি আপনার জীবনে নেওয়া অন্যতম একটা ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হতে পারে।
যাহোক, আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ও গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন। আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলটি থেকেই পেয়ে যাবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোনো একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে রঙ, রেখা ও বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন এই তথ্য বা ম্যাসেজগুলো হয় মার্কেটিং সম্পর্কিত।
মার্কেটিং বাদেও বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের আওতায়। গার্মেন্টস সেক্টর তার মধ্যে অন্যতম। গার্মেন্টস খাতের যেকোনো পণ্য তৈরি করার আগে এর ডিজাইন করতে হয়।
আর আপনি জেনে থাকবেন যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর পৃথিবী বিখ্যাত। তাই এ খাতে যোগ দিলে সেটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই উপকারী হবে।
আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাবেন যদি দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন। পাশাপাশি আপনি ফ্রিলান্সিং করেও অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে এই ডিজাইনিং প্রয়োজন হয়।
ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এতো জনপ্রিয়?
ক্যারিয়ার হিসেবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কেন এতো জনপ্রিয় তা অনেক মানুষেরই কৌতূহল। আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে এর অসংখ্য কারন রয়েছে। যে কেউই চাইবে এমন একটি পেশা নির্ধারণ করার জন্য যার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। চলুন দেখে আসি গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার হিসাবে কেন এতো জনপ্রিয়ঃ
সৃজনশীল পেশা
গ্রাফিক্স ডিজাইন পরিপূর্ণরুপে একটি সৃজনশীল পেশা। এই পেশায় আপনার সৃজনশীলতাই আপনার মূল হাতিয়ার, পুঁথিগত বিদ্যা এখানে তেমন একটা কাজে আসে না। আপনি যদি সৃজনশীল না হন, তাহলে আপনি এই সেক্টরে উন্নতি করতে পারবেন না।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার সঠিকভাবে না জানলে আপনি আপনার সৃজনশীলতা সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। আপনাকে অনেক চর্চা এবং ধৈর্য্যের সাথে বিভিন্ন প্রজেক্ট করতে হবে নিজের কাজের পারদর্শিতা বাড়িয়ে নেয়ার জন্যে।
আপনি হয়ত অনেক ডিজাইন অনলাইনে পাবেন, কিন্তু নিজেকে যদি সেই ফ্রি ডিজাইনগুলোর মধ্যেই আটকে রাখেন তাহলে আপনার জন্যে এই পেশা নয়। আপনাকে নিজেকে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
আপনি যত বেশি সৃজনশীলতার সাথে আপনার আইডিয়া ফুটিয়ে তুলতে পারবেন ততই আপনার কাজের কোয়ালিটি উন্নত হবে। আপনি যদি আপনার সৃজনশীলতাকে স্বাধীনভাবে ফুটিয়ে তুলতে ভালবাসেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায় আপনি উন্নতি করতে পারবেন।
উচ্চতর চাহিদা
বর্তমান বিশ্বে ভিজুয়াল কনটেন্ট সব থেকে বেশি পপুলার হচ্ছে। সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনও অনেক বেশি চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের কাজের জন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, কারন এই ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত মানুষ হাতে গোনা। আপনি যদি নিজেকে এই কাজে পারদর্শী করে তুলতে পারেন তাহলে বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন। যেখানে আপনার বেতনের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি।
বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, আপনি যেকোন জায়গায় বসে এই কাজ করতে পারেন। আপনাকে কোন অফিসে বসে কাজ করতে হবে না। আপনি চাইলে ঘরে বসে কাজ করতে পারেন।
শুধু মাত্র একটি ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করেই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন যেকোন জায়াগায় বসে। এই পেশাটা সম্পূর্ণরূপে কাজের পারদর্শিতার উপরে নির্ভর করে বলে, শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি জরুরী হিসাবে ধরা হয় না। আপনি যদি পারদর্শী হন, তাহলেই আপনি এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।
কাজের স্বাধীনতা
গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা স্বাভাবিকভাবে স্বাধীনচেতা হন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভালবাসেন। আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে আপনি নিজে নিজেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারেন। আপনি নিজের পোর্টফোলিও ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে নিজেই কাজ করতে পারেন।
আপনি অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম পাবেন যেখানে আপনি নিজের একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিজের কাজগুলো প্রদর্শন করে রাখতে পারেন। আপনার কাজ দেখে যদি কারো ভাল লাগে তাহলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের প্রোজেক্টে কাজ করার জন্যে।
অধিক আয়ের সুযোগ
যেহেতু বর্তমান বিশ্ব ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট এর দিকে ঝুকে পড়ছে, আপনি চাইলে এখনই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অধিক আয় নিশ্চিত করতে পারেন। আপনি হয়ত জানেন না যে অনেক কোম্পানি আছে যারা শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন করার জন্যে লক্ষ্ লক্ষ টাকা ব্যয় করে।
আপনি যদি ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি আছে যারা তাদের প্রোডাক্টগুলো ভালোভাবে তাদের ওয়েবসাইটে ফুটিয়ে তুলতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সাহায্য নিয়ে থাকে।
চাকরির সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে আপনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। বিদেশি কোম্পানিগুলোতে কাজ করার চেয়ে সব থেকে বেশি ভালো হয় যদি আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করা শুরু করেন।
কারন একবার কাজ করতে থাকলে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে এবং তাদের মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সাথে কাজের সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে দেশি কোম্পানিতে কাজ করতে চান, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হবে এবং এই বিষয়ক সার্টিফাইড কোর্স করতে হবে।
তবে অনেক দেশি কোম্পানিও এখন একাডেমিক যোগ্যতার থেকেও দক্ষতার উপরেই বেশি ফোকাস দিচ্ছে। আপনি চাইলে ওইসব কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন।
প্রতিভা দেখানোর সুযোগ
আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ কম। সুযোগ থাকলেও সেগুলার তেমন মূল্যায়ন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে আপনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার যদি প্রতিভা থাকে, তাহলে সেটা দেখানোর ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। আপনি যথাযথ মূল্যায়নও পাবেন। আপনার প্রতিভা গুলো চাইলে পোর্টফোলিও আকারে মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রদর্শন করতে পারবেন। সেগুলো দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন।
উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নাই
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে কোনো উচ্চতর ডিগ্রিধারী হওয়া লাগবে না। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক মানুষ আছে যারা স্কুলের গন্ডিও ঠিক করে পার করতে পারেন নি। ছাত্র থেকে শুরু করে গৃহিণীরা পর্যন্ত এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের সাথে সংযুক্ত।
এখানে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট থাকে না এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে। তাই আপনি খুব বেশি একটা শিক্ষিত না হয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এখানে কেউ আপনার কাছে শুনতে চাইবে না যে আপনি কতটা শিক্ষিত। এখানে আপনার ক্লায়েন্টরা শুধু দেখতে চাইবে আপনার দক্ষতা।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
আরও বড় একটি আশার বাণী হচ্ছে এই খাতের ভবিষ্যত সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমানে এমন একটি সময় এসে গেছে যেখানে আমরা মার্কেটিং বলতে শুধু মাত্র ডিজিটাল মার্কেটিংকেই বুঝি।
একটা সময় এর মাত্রা ও আওতা আরও বাড়বে। নতুন নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মেথড বের হবে যেগুলো মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে নির্ভরশীল হবে। তাই যারা এই সেক্টরে নিজেদের ক্যারিয়ার দাঁড় করানোর কথা ভাবছেন, তারা নিঃসন্দেহে অনেক সুদূরপ্রসারী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং
ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা বর্তমানে। অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে এই সেক্টরের মাধ্যমে। আপনি চাইলেই ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে।
এই ফ্রিলান্সিং এর খুব বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ছোট্ট একটি লোগো থেকে শুরু করে টেলিভিশন কমার্শিয়াল তৈরি সহ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল মার্কেটিং সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রেই রয়েছে এর চাহিদা৷ এজন্য মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড কাজ অনেক বেশি পাওয়া যায়।
কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?
ক্যারিয়ার হিসাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন নির্ধারণ করার পরে প্রথম যে জিনিসটি সর্ম্পকে মনে প্রশ্ন আসে সেটি হলো কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন। প্রধানত দুইটি উপায় আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার।
প্রথমত, আপনি চাইলে গুগল থেকে বিভিন্ন রিসোর্স সংগ্রহ করে সেগুলো পড়ে শিখতে পারেন। এরপরেই আসে ইউটিউব। ইউটিউব-এও বিভিন্ন ভিডিও পেয়ে যাবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত। এর মধ্যে যেকোনো একটি চ্যানেল অনুসরণ করলেই আপনি শিখতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন।
এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করিয়ে থাকে। ওইসব কোর্স গুলো করেও শিখতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। তবে সবকিছুর প্রথমে আপনার লাগবে একটা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন।
ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশের একটি অন্যতম ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স হিসেবে আপনি চাইলে ঘুড়ি লার্নিং এর গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্সগুলি দেখতে পারেন।
এখানে আপনি একই সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যাসিক থেকে এডভান্স পর্যন্ত সবগুলো বিষয় সর্ম্পকে খুঁটিনাটি জানতে পারবেন।তাছাড়াও বর্তমানে টি শার্ট ডিজাইনের কাজ করেও অনেকে বেশ ভালো আয় করছে। আপনিও যদি সে ধরনের কোনো কাজ করে আয় করতে চান,
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে?
আসলে সত্যি কথা বলতে আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতো দিন সময় লাগবে সেটি একমাত্র আপনার পক্ষেই বলা সম্ভব। একটি উদাহরণের মাধ্যমে চলুন বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করি।
ধরুন ছোটবেলায় আপনার গণিত করতে খুব ভালো লাগত। আবার আপনার কোনো বন্ধুর কাছে গণিত ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল কাজগুলির একটি।
এখন আপনার হয়ত একটি অংক করতে ১০ মিনিট সময় লাগলেও আপনার বন্ধুর হয়ত সেই একই অংকটি করতে ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন হতো।
খেয়াল করে দেখুন, একই অংক হলেও আপনি ও আপনার বন্ধুর সেই অংকটিকে সমাধান করার সময় কিন্তু এক নয়। দু’জনের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে এক্ষেত্রে সময় কিছুটা কম বেশি লাগছে।
ঠিক একইরকমভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি আপনার যদি আগ্রহ থাকে, তাহলে হয়ত আপনি এক মাসের মধ্যেই গ্রাফিক্স ডিজাইনে অনেক দূর শিখে ফেলতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে থাকেন, আপনার যদি কোনো রকম আগ্রহ না থাকে এই ব্যাপারে, তাহলে হয়ত আপনার শিখতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন পড়বে।
কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়?
সত্যি কথা বলতে বর্তমানে প্রত্যেকটি জায়গায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা রয়েছে। আপনি রাস্তায় বের হলে বিলবোর্ড থেকে শুরু করে দেওয়ালের পোস্টার পর্যন্ত সব জায়গাতেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ছোঁয়া আছে।
তাই আপনি যদি সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার এই স্কিলটিকে ব্যবহার করে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবেন।
উপসংহার
এই ছিল মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কিভাবে শিখবেন এই নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত আলোচনা। আশা করি সব কিছু খুব সুন্দর ভাবে বুঝেছেন। এখন সময় এসেছে কাজে লেগে পড়ার। যেকোনো একটা পন্থা বেছে নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফেলুন এবং জব মার্কেটে ঢুকে পড়ুন। আর কোনো বিষয়ে যদি জানতে চান, তাহলে সেটি কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
কোন মন্তব্য নেই