ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব, সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব, সুবিধা, লাভ এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি (Importance of digital marketing in Bangla)।
ব্যবসার প্রসারের সবথেকে বড় উদ্দেশ্যই হল সম্ভাব্য ক্রেতাদের (target audience) কাছে নিজের পরিষেবা (সার্ভিস) বা পণ্যের (প্রোডাক্ট) প্রতি তাদের বিশ্বাস অর্জন করে ব্যবসার প্রসার ঘটানো।
যেকোনো ব্যবসার উন্নতির জন্যে এডভার্টাইসমেন্টের পাশাপাশি সফল মার্কেটিং পরিকল্পনাও অত্যন্ত জরুরি।
তাই আজকের এই যুগে, মার্কেটিং এর চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ীদের কাছেই।
ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের দ্রুত প্রসার মার্কেটিং জগতেও এক বিশাল প্রভাব ফেলেছে।
আর, এই প্রভাব থেকেই তৈরী হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) এর।
এই আর্টিকেলে, আজকে আপনারা জানবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে।
ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি মার্কেটিং পরিকল্পনা, যার সাহায্যে একজন ব্যবসায়ী ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে অনলাইনে তার ব্যবসার প্রসার ও প্রচার ঘটাতে পারেন।
এই ধরণের মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনি অনলাইন-এ আপনার ক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে আপনার সুবিধা মতো ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন এবং নিয়মিত ব্যবসার প্রচার করে গ্রাহক পেতে থাকবেন।
আসুন, এখন আমরা জেনে নেই এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন অধিক প্রয়োজনীয় –
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা
চলুন বন্ধুরা, এবার আমরা সরাসরি জেনেনেই যে কেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে প্রচুর এবং এই আধুনিক মার্কেটিং প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, ব্যবহার, লাভ এবং সুবিধা গুলো কি কি।
আপনারা, নিচে সম্পূর্ণটা ভালো করে পড়ে নেওয়ার পর ইটা অবশই বুঝতে পারবেন যে, ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন জরুরি।
১. সহজে এবং তাড়াতাড়ি ব্যবসার প্রচার
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল ব্যবহার করে ক্রেতাদের অনলাইন উপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার খুব তাড়াতাড়ি প্রচার করা যায়। এতে কম সময়ের মধ্যেই আপনার ব্যবসার বিষয়ে অধিক লোকেরা জেনেনিতে পারেন এবং ব্যবসায় উন্নতি হতে বেশি সময় লাগেনা।
২০১৯ সাল অনুযায়ী, প্রায় ৪৩০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং বছর পেরোনোর পাশাপাশি এই সংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়তে চলেছে।
এইবার, কোনো ব্যবসায়ী যদি এই ইন্টারনেট পরিষেবার (service) সাহায্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে তার পণ্যের (products) প্রচার শুরু করেন; তখন তিনি একই সাথে অনেক সম্ভাব্য ক্রেতার (consumers) কাছে পৌঁছতে পারেন। এবং সেটাও কেবল একটি ল্যাপটপ বা মোবাইল এর মাধ্যমে।
এই অনলাইন মার্কেটিং আপনাকে ব্যাপকভাবে নতুন ক্রেতাদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যেতে সাহায্য করে।
আপনার ব্যবসার অনলাইন উপস্থিতি সম্পর্কে ক্রেতারা যদি নিশ্চিত হন, তবেই তারা আপনার থেকে পরিষেবা কিনতে আগ্রহ দেখাবেন।
সেক্ষেত্রে, বুঝতেই পারছেন যে অনলাইন মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রসার অত্যন্ত জরুরি।
২. গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক তৈরি
ডিজিটাল মার্কেটিংকে হাতিয়ার করে আপনি ক্রেতাদের সাথে খুব সহজেই একটা সুসম্পর্ক তৈরী করতে পারেন।
এখানে, একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের ক্রেতাদের একটি দারুন যোগাযোগ এর মাধ্যম তৈরী করে দেন।
এর ফলে, আপনি খুব সহজেই আপনার দর্শক বা সম্ভাব্য ক্রেতাদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিতে পারেন।
কিংবা, তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধে বিশেষ খেয়াল রাখতে পারেন।
মনে রাখবেন, আপনি কোনো দর্শকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা কিন্তু অনেক জরুরি, কেননা পরে গিয়ে সেই দর্শক-ই কিন্তু আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩. কম খরচে মার্কেটিং সম্ভব
পুরোনো ধরণের মার্কেটিং-এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং-এ খরচ অনেকটাই কম হয়।
অনলাইন দুনিয়ার পরিধি অনেকটা বেশি হওয়ায়, আপনার ব্যবসার প্রচার অনেক ক্ষেত্রেই অনেকটা বেশি হয়।
অর্থাৎ, অনেক কম খরচেই অনলাইন মার্কেটিং আপনাকে অধিক বেশি পরিমাণ ক্রেতা দিয়ে থাকতে সক্ষম।
আপনার ব্যবসার চাহিদা অনুযায়ী আপনি বেশ কয়েক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম বা কৌশল গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আসুন জেনে নিই সেগুলো কি কি।
১. SEO (Search Engine Optimization)
অনলাইন মার্কেটে, এই SEO শব্দটি খুবই জনপ্রিয়।
এই মার্কেটিং স্ট্রাটেজি অনুসারে, আপনার ব্যবসার যেই ওয়েবসাইট রয়েছে, সেটিকে গুগল (Google) সার্চের প্রথম সারিতে নিয়ে আসা।
এর কারণ হল, অনলাইন-এর একটি সমীক্ষার মতে, ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রায় ৯০% লোকেরা গুগল সার্চ এর প্রথম ৩টি পেজ থেকে খুঁজে পাওয়া তথ্য গুলো পড়ে থাকেন।
সুতরাং, আপনার ওয়েবসাইটের rank বা ক্রম গুগল-এর SERP (সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ) অনুযায়ী যত বেশি বা ভালো হবে, ততই আপনি আপনার ব্যবসার জন্য গ্রাহক সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে পেতে থাকবেন এবং আপনার ব্যবসা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে।
একটা ব্র্যান্ড হিসেবে নিজের ব্যবসাকে তুলে ধরতে গেলে বেশি পরিমাণ মানুষের কাছে পৌঁছানোটা সবথেকে বেশি জরুরী।
তাই, আপনার ব্যবসার ওয়েবসাইটটি যাতে খোঁজা মাত্রই খুব সহজে, দর্শকের চোখের সামনে চলে আসে, সেই ক্ষেত্রে SEO-এর ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
২. PPC (Pay Per Click)
এই মার্কেটিং পরিকল্পনাতে পয়সা বিনিয়োগের মাধ্যমে অনলাইন দর্শকের সংখ্যা বাড়ানো হয় বা সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে নিজের ব্যবসার প্রচার করানো হয়।
মানে, আপনার ব্যবসার প্রচারের ক্ষেত্রে বা গ্রাহক পাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপনের সাহায্য নিতে হবে।
আপনার দেখানো অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপর লক্ষ্যবস্তু দর্শ বা শ্রোতারা যতবার ক্লিক করবেন, ঠিক ততবারই বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার থেকে সেই প্রতিটি ক্লীকের জন্যে টাকা নিয়ে নিবেন।
তবে, অনেক কম টাকা খরচ করে অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর শ্রোতাদের কাছে নিজের ব্যবসার প্রচার করা সম্ভব।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করে অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য দরকারি বিভিন্ন তথ্য গুলো দর্শকের জন্যে তৈরী করেন।
এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবসার মালিকদের তাদের ব্যবসার পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে।
কেননা, অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন বিষয়ে রুচি রাখা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি লোকেরা সক্রিয় হয়ে রয়েছেন।
আর এমন একটি ভিড়ভাড় জায়গাতে ব্যবসার প্রচার করলে, গ্রাহক এর আকর্ষণ অবশই পাওয়া যাবে।
এছাড়াও, সরাসরি ক্রেতাদের সাথে কথোপকথন চালাতেও এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে।
যেমন- ফেসবুক পেজ, গ্রুপ, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ইত্যাদির থেকে অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাদের পণ্য গুলো দর্শকদের কাছে সরাসরি বিক্রি করতে পারছেন।
৪. ইমেইল মার্কেটিং
যদিও এই মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া অনেক পুরোনো, তবে অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে মেইলিং-এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার করার প্রক্রিয়াটি অনেক লাভজনক এবং অনেকাংশে সফল বলে মনে করা হয়।
খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে, আপনি যখন আপনার নির্ধারিত ক্রেতাদের ব্যক্তিগতভাবে কোনো মেইল পাঠান বা আপনার পুরোনো ক্রেতাদের সাথে মেইল আদানপ্রদান করেন, তখন আপনি সরাসরি তাদের কাছে আপনার ব্যবসার কথা তুলে ধরতে পারেন।
তাই, আপনি যখন ইমেইল এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসা, পণ্য, সেবা বা ব্র্যান্ড এর প্রচার করে থাকেন, তখন সেই প্রচারের প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং।
৫. কনটেন্ট মার্কেটিং
সবসময় সরাসরি ব্যবসা-সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে দর্শক আগ্রহী নাও থাকতে পারেন।
তাই, এই কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রোডাক্ট সম্বন্ধে চিত্তাকর্ষক (attractive) কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু শ্রোতাদের সামনে পেশ করেন।
এর সাহায্যে দর্শকরা প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিজে থেকেই আগ্রহী হয়ে, সেই প্রোডাক্ট কেনেন।
যেমন- বিভিন্ন স্মার্টফোন সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন জায়গাতে রিভিউ পড়ি বা দেখি, সেগুলো হল কনটেন্ট মার্কেটিং এর অংশ।
৬. ভিডিও মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে বড় অবদান হল, ভিডিও পাবলিশ করা এবং সেগুলোকে দেখার সুবিধা।
এই ভিডিওর মাধম্যেও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রোডাক্ট বা পরিষেবা সম্পর্কে ক্রেতাদের জানান।
এই ভিডিও মার্কেটিং পরিকল্পনার সাহায্যে আপনি আপনার ব্যবসা সম্পর্কে দর্শকদের মনে বিশ্বাস তৈরী করতে সক্ষম হতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আপনাকে পণ্যের, ব্যবসার, ব্র্যান্ড ইত্যাদি নিয়ে নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট শেয়ার করার সুযোগ দেয়।
সরাসরি বললে, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে নিজের ব্যবসা বা পণ্যের প্রচার করার কাজটিকেই বলা হয় ভিডিও মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা এবং লাভ
এবার আমরা সরাসরি ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ এবং সুবিধা নিয়ে কিছুটা তথ্য জানার চেষ্টা করবো।
১. সহজে নির্ধারিত ভোক্তা (target audience) খুঁজে নেওয়ার সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর আসল সুবিধাই হল, এটি খুব নিখুঁতভাবে আপনার ব্যবসাকে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়।
আপনি খুব সহজেই আপনার কাস্টোমারদের খুঁজতে পারলেন।
২. একসাথে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব
সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা না থাকলেও, বেশিরভাগ সময়ই নিউসপেপার বা টিভিতে দেওয়া বিজ্ঞাপন গুলো সময়মতো সব দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারে না।
তাই, ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন না, ঠিক কতগুলো দর্শক তাদের এই বিজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে পারলেন।
অন্যদিকে, ডিজিটাল মার্কেটিং, যেহেতু, ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে, তাই ইন্টারনেটের সাহায্যে, খুব সহজেই traffic (দর্শকের সংখ্যা) নির্ধারণ করা সম্ভব।
এছাড়াও, মার্কেটিং পরিকল্পনা পরিবর্তন করে আপনি অনেক মানুষের কাছে আপনার ব্যবসার তথ্য সহজেই ছড়িয়ে দিতে পারেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
এছাড়া, আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন উপাদান (প্রক্রিয়া) গুলো একসাথে কাজে লাগিয়ে যেকোনো জায়গা, শহর, দেশ, গ্রাম ইত্যাদিতে বসবাস করা অসংখক মানুষের কাছে নিজের ব্যবসার প্রচার করতে পারবেন।
৩. খুব সহজে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো
এখনকার বেশিরভাগ মানুষ, ইন্টারনেট দুনিয়াতে সময় কাটাতে পছন্দ করেন।
সেই কারণে, আপনার ক্রেতারা এবং সম্ভাব্য ক্রেতারাও অর্ধেক সময় অনলাইনই থাকেন।
তারা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ওয়েবসাইট খুঁজে দেখে তবেই কোনো কিছু কেনার কথা ভাবেন।
তাই আবশ্যকভাবেই, আপনার ব্যবসা যদি অনলাইনে সক্রিয় থাকে, তাহলে আপনি সহজেই আপনার ক্রেতাদের কাছে অনেক সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন।
আপনি নিজের ঘরে বা দপ্তরে বসে বসে কেবল একটি smartphone বা laptop এর মাধ্যমে এই কাজ করতে পারবেন।
৪. কম খরচে লাভজনক মার্কেটিং পরিকল্পনার সুবিধা
কোম্পানি বা ব্যবসা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং-এর জন্যে কম-বেশি খরচা করতেই হবে যাতে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো যায়।
তবে, টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ বা ম্যাগাজিনে আপনি যেই খরচায় বিজ্ঞাপন দেন, তার থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনেক সস্তায় আপনি ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।
এছাড়াও, এই অনলাইন মার্কেটিং-এ কম খরচাতে তুলনামূলক ভাবে অধিক বেশি গ্রাহকের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।
একবার, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কোনো একটি বিজ্ঞাপন দিলে, তা কোনোদিন হারিয়ে যায় না বা কনটেন্ট বার বার তৈরি করতে হয়না।
ফলে, এক কনটেন্ট থেকে ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর নতুন কাস্টমার পেতে পারেন।
৫. আডভার্টাইসমেন্ট ক্যাম্পেইন (ad campaign)
অনলাইন মার্কেটিং-এর প্রথম সুবিধাই হল, আপনি আপনার প্রয়োজন মতো, যখন খুশি তখন আপনার এডভার্টাইসমেন্ট তৈরী এবং সেখানে পরিবর্তনও করতে পারেন।
আপনি আপনার দর্শকদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য বা মতামত পেলে, সেগুলোর অনুযায়ী এড ক্যাম্পাইন গুলোতে বদল আনতে পারেন।
এতে, আপনি সহজেই বুঝতে পারেন, আপনার বিজ্ঞাপন বা প্রচারে কিছু পরিবর্তন দরকার কি দরকার নয়।
৬. Return on Investment বেশি
অনেক ব্যবসায়ীরা মনে করেন, যে অনলাইনে বিজ্ঞাপন থেকে বিনিয়োগের হার অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
অনলাইন মিডিয়া হওয়ার জন্যে, ব্যবসায়ীরা অল্প পরিমাণ খরচেই প্রচুর ক্রেতাদের কাছে অনলাইনে পৌঁছে যান।
আপনি যদি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সম্বন্ধে নিশ্চিত থাকেন, তাহলে আপনি সহজেই আপনার অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দর্শক দের গ্রাহকে পরিণত করতে পারবেন।
আপনার তৈরী করা প্রতিটি ad ক্যাম্পেইন থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনি সেই campaign-গুলোর ROI বা বিনিয়োগের হার দেখতে পারেন।
৭. ব্র্যান্ড (Brand) তৈরী
ব্র্যান্ড শব্দের অর্থ হল, একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরী নির্দিষ্ট নামের পণ্য।
অর্থাৎ, আপনার ব্যবসা যখন আপনার পণ্যের পরিষেবা অনুসারে ব্যবসায় পরিচিত পায়, তখনই আপনার কোম্পানি ব্র্যান্ড-এ পরিণত হয়।
ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করে আপনি আপনার কোম্পানিকে ব্র্যান্ড-এর জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন।
আপনি আপনার ব্যবসার স্বচ্ছতা বজায় রেখে, কাস্টোমারদের চাহিদার সাথে আপনার প্রোডাক্টের প্রয়োজনীয়তা মিলিয়ে দিতে পারলেই, অনলাইন মার্কেটিং আপনার কোম্পানিকে ধীরে ধীরে ব্র্যান্ড-এ পরিণত করতে সক্ষম।
৮. বড় বড় কর্পোরেশন কোম্পানির সাথে প্রতিযোগীতার সুযোগ
ব্যবসার জগতে প্রতিযোগিতা ছাড়া বেড়ে ওঠা অসম্ভব।
তবে, এই অনলাইন মার্কেটিং স্ট্রাটেজিগুলো ছোট হোক বা বড় যেকোনো বাণিজ্যিক কোম্পানিকে প্রচারের সমান সুযোগ দেয়।
তাই, এখানে কোনো অসম প্রতিযোগিতা থাকে না।
যেহেতু, আমাজন বা ওয়ালমার্ট, এই কোম্পানি গুলো হলো লিডিং ব্র্যান্ড (leading ব্র্যান্ড)।
এদের সাথে মাঝারি বা ছোট মাপের ব্যবসার তুলনা হয় না, কারণ এরা মানুষের কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক আগে থেকেই তৈরী করে ফেলেছে।
তাহলে, ডিজিটাল মার্কেটিং কেন ছোট বা মাঝারি ব্যবসার ক্ষেত্রে জরুরি ?
তার কারণ হল, বড় কোম্পনির পাশাপাশি আপনার ব্যবসাও অনলাইন মার্কেটিং-এর সাহায্যে সেই কাস্টোমারদের পেতে সক্ষম।
SEO বা PPC পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে আপনার কোম্পানিও গুগল ads rank অনুসারে বড় কোম্পানি গুলোর সাথে টেক্কা দিতে পারে।
কারণ, এখানে আপনার বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ranking বা সার্চের প্রথম সারিতে রাখা হয়।
এই ranking নির্ভর করে, আপনি আপনার ব্যবসার জন্যে কত ভালো করে দরকারি keywords নির্বাচন করছেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব, লাভ, সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম। (Importance of digital marketing in Bangla).
আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে।
যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই