ফ্রিল্যান্সিং শিখার কমপ্লিট গাইডলাইন ২০২৩
ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন আর্নিং নিয়ে আমি বেশ কিছু পোস্ট অলরেডি দিয়েছি। কয়েকটি পোস্টে আমি প্র্যাকটিক্যালি দেখিয়েছি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ আপনারা শিখবেন। যারা আমাদের পোস্ট গুলো নিয়মিত পড়েন তারা অনেকই এই প্রশ্নটি করেছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং আমাদের কাছে একটি কমপ্লিট গাউডলাইন চেয়েছেন। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের প্রশ্ন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এর উত্তর দেয়ার পাশাপাশি আপনাকে যে গাইডলাইন দিব তা যদি আপনি ফলো করেন, তাহলে আমি আপনাকে দিয়ে অনলাইনে আয় করিয়েই ছাড়বো।
ফ্রিল্যান্সিং শিখার প্রথম ধাপে আমরা শিখবো কিভাবে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। তারপর গুগলের এবং ইউটিউবের কাছ থেকে সঠিক ইনফরমেশন কালেক্ট করে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখবো। স্টেপ বাই স্টেপ ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় কাজ আমরা শিখবো এবং এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হবো। এর জন্য আমাদের যা কিছু প্রয়োজন হবে, কিভাবে কোথা থেকে শুরু করতে হবে সবকিছু সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন এই পোস্টে পাবেন।
আগের পোস্টে আমি লিখেছি ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এবং অনলাইনে ইনকামের গাইডলাইন দিয়েছি, যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই পোস্ট দুটি আপনাকে ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে। তাই আপনি এই পোস্ট পড়ার আগে অবশ্যই আগের পোস্ট গুলো পড়ে আসুন, যদি আপনি একেবারেই নতুন হন বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা কম থাকে। আমরা সবসময় আপনাদেরকে শতভাগ সঠিক তথ্য দিয়ে থাকি, তাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখুন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বেসিক নলেজ
1. PC on/off
2. Typing
3. Office (Ms-word, PPT, Excel)
4. Browser function
5. Keyboard shortcut
6. Paint resizing
7. Image conception
8. Snipping tool
9. Search engine
10. Internet world
11. Gmail
12. Printing
13. FB account
14. Keyword researching
15. PC trouble
16. Sign up/Sign in
17. Online Registration process
18. Downloading
19. Basic software using
20. Modem, Internet, Broadband, hotspot setup
21. Notepad
22. Screenshot
23. JPG/PNG/GIF
24. Google Chrome/ Mozilla Firefox
25. Email Marketing Basic Concept
26. Link
27. URL
28. Domain
29. Hosting
30. Zip file
31. Copywriting
32. Bandwidth
33. Theme/template
34. Slide
35. Twitter
36. LinkedIn Profile
37. Icon Search
38. Copy, Paste, Save Image, and Document
39. Browser plugin
40. Extension
41. Blog conception
42. Google drive
43. Proxy server
44. Browser Advanced setting
45. IP address
46. MAC address
47. Verification
48. What is Digital Marketing
ইন্টারমিডিয়েট নলেজ
1. Micro-workers
2. Server
3. Outlook
4. VPN
5. VPS
6. Notepad++
7. Canva.com
8. Advanced Google search, map
9. Tin Eye-Image copywriting
10. Keywords
11. Page Rank
12. Adsense knowledge
13. CPC
14. PPC
15. CPM
16. YouTube Channel
17. Blog
18. Forum
19. FB Page
20. FB group
21. MarketPlace
22. Payment Method
23. Lead
24. Traffic
25. Google Trends, ads manager
26. Apps
27. Online Software
28. Extractor
29. Template
30. Theme
31. Basic HTML Tag
32. Pinterest acc.
33. Instagram acc.
34. PowerPoint –Image creation
35. Advanced Excel
36. Advanced PPT
37. Rapportive for mail
38. Tool kits
39. Photoshop/Illustrator Software
40. WordPress basic concept
এই বেসিক এবং ইন্টারমিডিয়েট নলেজ গুলো কিভাবে শিখবো? খুবই সহজ, প্রতিটি টার্ম আপনি গুগল এবং ইউটিউব থেকে শিখে নিবেন। গুগলে অথবা ইউটিউবে গিয়ে লিখবেন আর সার্চ দিবেন সাথে সাথেই আপনি সবকিছু পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, আপনার এই নলেজগুলো যত বেশি স্ট্রং হবে আপনি তত ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। আর এই নলেজ গুলোতে যদি আপনার দুর্বলতা থাকে, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে টিকে থাকতে পারবেন না আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।
হতাশ হবার কোন কারণ নেই। আপনার যদি লিস্টের সবগুলো কাজ জানা থাকে তাহলে ধরে নিন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর ৭০% অলরেডি শিখে ফেলেছেন। এবার আসুন দেখি কিভাবে বাকি ৩০% শিখবো।
ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য কোন কোন বিষয়ে রিসার্চ করা দরকার?
ফ্রিলান্সিং শিখতে হলে কিছু ব্যাপার মনে রাখতে হবে। কোন একটা টপিক বা বিষয়ের উপর বার বার পড়া। তবে বিভিন্ন অনলাইন সাইটে গিয়ে আপনাকে জানতে হবে আর তখন মনে রাখতে হবে
- What to do?
- How to do?
- Where to do?
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞ্যানভান্ডার
- YouTube
যেসব বিষয়ে রিসার্চ করা দরকার
(Research Topics for Make Money Online)
- Content Writing or blog writing
- Online Surveys
- Web searching (Paid)
- Starting your own Website
- Website Review
- Article writing for the website
- CPA Marketing & Affiliating Website
- Working at fiverr / freelancer / upwork
- SEO –like Keyword Research and rank
- Facebook Marketing
- Twitter Marketing
- LinkedIn Marketing
- Pinterest Marketing
- Data Entry
- Email Marketing
- Graphic Design
- Web design & Development
- YouTube Marketing
- Amazon SEO
- Virtual Assistant
- Adsense
- Alternative Adsense
- Mobile apps
- Market research
- Teaching online
- Writing e-book
- YouTube channel
- Translator
- Transcription jobs
- Selling Photos Online
- Buy Selling Website, Domain Name, or Mobile Apps
- Becoming a Website Tester
- Become a Guest Writer to Earn Money Online
- by Becoming an Online Researcher
এই যে লিস্ট টা দেখলেন, এখান থেকে প্রতিটি কাজই খুবই ডিমান্ডেবল। এর মধ্যে যে কাজগুলো আপনার ভালো লাগবে আপনি সেগুলো শিখে ফেলুন। এগুলো শিখতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে আপনি নিশ্চিত ভাবে সফল হবেন। তবে অনলাইন প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে, তাই নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে। সবসময় নতুন কিছু শিখতে হবে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়
ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি হবেন একজন ফ্রিল্যান্সার। এবার আমরা জানবো কিভাবে ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়। স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করুন
নিস বাছাই করুন
এতক্ষণে আপনি যা কিছু জানলেন এবং শিখলেন, এর মধ্যে যে কাজটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে এবং যে কাজে আপনার সমসময় আগ্রহ থাকবে সে কাজটি সিলেক্ট করুন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ইউটিউব মার্কেটিং অথবা ফেসবুক মার্কেটিং চয়েজ করেছেন। এবার আপনি ইউটিউব মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হয়ে যান। আমাদের ওয়েবসাইটে দুটি পোস্ট আছে, ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এবং ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার নিয়ম। এই দুটি পোস্ট আপনার ইউটিউব মার্কেটিং শিখার জন্য যথেষ্ট।
এবার চলুন দেখে নিই, যদি আপনাকে কেউ ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ দেয় তারপর কি হবে। যে আপনাকে কাজ দিবে, সে আসলে চাইবে আপনাকে দিয়ে তার বিজনেস প্রমোট করতে। এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করতে হলে আরো বেশ কিছু প্লাটফর্মে কাজ করতে হবে। যেমন, ফেসবুক, লিঙ্কডিন, ইন্সতাগ্রাম, টুইটার, রেডিট এবং আরো কিছু সোস্যাল সাইট।
ফেসবুক মার্কেটিং শিখার জন্য আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি পোস্ট আছে। কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় এবং ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয় এই দুটি পোস্ট অবশ্যই পড়ুন। তাছাড়া ফেসবুক বুস্টিং এর একটি পোস্ট আছে, এটিও পড়ুন। ফেসবুক শপ ডিজাইনের একটি প্র্যাকটিক্যাল টিউটোরিয়াল অলরেডি দিয়েছি, যা বর্তমান সময়ে খুবই ডিমান্ডেবল। এটি অবশ্যই শিখে ফেলুন।
এগুলো আপনাকে খুব ভালোভাবে শিখে ফেলতে হবে। তারপর যেটা আপনার অবশ্যই লাগবে তা হল একটি ওয়েবসাইট। এভাবে আপনার নিসের সাথে রিলেটেড প্রত্যেকটা বিষয়ে আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখবো এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনের প্র্যাকটিক্যাল টিউটোরিয়াল আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। এটি শিখে আপনি খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
পোর্টফোলিও
আপনি যে নিস বাছাই করেছেন এবং কাজ শিখেছেন, এগুলো কোথায় করছেন? আমার সাজেশন ফলো করুন। প্রতিটি প্লাটফর্মে নিজের নামে প্রোফাইল তৈরি করে কাজ শিখতে থাকুন। তাহলে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা টা হবে তা হল, আপনার নিজের অনলাইন প্রেজেন্স তৈরি হবে। তখন আপনি যে পরিচিতি লাভ করবেন, তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে আপনাকে কাজ দেওয়ার জন্য।
আপনাকে বার বার একটা কথাই বলব, আপনি যদি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে চান তাহলে অবশ্যই নিজের একটা পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বানিয়ে নিন। এর জন্য আপনার ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে। মাত্র ২হাজার টাকায় হয়ে যাবে।
মার্কেটপ্লেস
পোস্টের শুরু থেকে আমি আপনাকে যা কিছু বলে এসেছি সব কাজ কমপ্লিট হলে এবার আপনি মার্কেটপ্লেসে আসুন। লোকাল মার্কেট এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে যারা কাজ করছে তাদের স্কিলের সাথে নিজের স্কিলের তুলনা করুন। দেখুন তারা কি কি সার্ভিস দিচ্ছে। আপনার মাঝে কাজ শিখার যদি কোন প্রকার ঘাটতি থাকে তা আগে পূরণ করুন। তারপর আপনি কাজ খুঁজুন বা আপনার সার্ভিস সেল করা শুরু করুন।
Fiverr.com এ আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করে প্রতিটি কাজ শিখার সাথে সাথে একটি করে গিগ তৈরি করে রাখুন এবং নিয়মিত একটিভ থাকুন।
প্রাইস নির্ধারণ
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি কি ধরণের সার্ভিস দিচ্ছেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। অন্যরা কি রকম প্রাইস নিচ্ছে এবং নিজের কাজের পারিশ্রমিক তুলনা করে আপনার সার্ভিসের প্রাইস নির্ধারণ করুন। এক্ষেত্রে আপনি কখনো প্রাইস অতিরিক্ত কম বা বেশি দিবেন না। তাহলে কখনো ক্লায়েন্টের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন না। আর আপনার সার্ভিস আপনি সেল দিবেন, সেটা আপনি নিজেই ভালো বুঝবেন কিভাবে একজন ক্রেতার মন জয় করতে হয়।
স্কিল লেভেল আপ করুন
প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে থাকুন, আপনার নিশ রিলেটেড। সবসময় চেষ্টা করুন নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভাবে প্রেজেন্ট করতে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতিনিয়ত কতটা আপডেট হচ্ছে। তাই নিজেকে আপডেট রাখার কোন বিকল্প নেই।
নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করুন
যেসব জাগায় আপনার অনলাইন প্রোফাইল আছে সব জাগায় নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করুন। সপ্তাহে অন্তত ১টি করে অবশ্যই পোস্ট করুন। আপনার ইন্ডাস্ট্রি রিলেডেট আপনার কাজের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করতে পারেন। এই একটি প্র্যাকটিস আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। কেননা মানুষ হিসেবে আমাদের ফলো করা এবং রেফারেন্সে বিশ্বাসী হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি।
অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আপনার নিয়মিত এক্টিভিটি আপনার অডিয়েন্স বাড়িয়ে তুলবে। তখন আপনার কাজ পাওয়ার পরিমাণ ও বাড়বে। আর একটা বিষয়ের প্রতি সবসময় মনোযোগী হবেন, যখনই নতুন কিছু শিখবেন, সবার সাথে তা শেয়ার করবেন, এটি আপনার কাজের দক্ষতা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে।
কোন মন্তব্য নেই