ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে এই গাইডলাইনগুলো জেনে নিন!



আচ্ছা, ফ্রিল্যান্সিং করে কি আসলেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়? ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করতে যেয়ে আমরা প্রায়ই এমন সব বিজ্ঞাপন দেখে থাকি- “দশ দিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে হয়ে যান লাখপতি!” এসব বিজ্ঞাপন দেখে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এগুলো কি আদৌ সম্ভব? 

উত্তর হলো, হ্যাঁ এবং না। আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি) ও এর নাড়ি-নক্ষত্র জানতে হবে। আর সেসব নিয়েই আজকের এই ব্লগ! এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ফিল্যান্সিং মানে কি, ফ্রিল্যান্সার কি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়, ও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (freelancing career) সম্পর্কে বিস্তারিত।

আর আপনারা যারা ঘরে বসেই ধাপে ধাপে জানতে চান ফিল্যান্সিং মানে কি ও ফ্রিল্যান্সিং করা শিখতে চান, তাদের জন্য টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে ”ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং” কোর্স। এই কোর্সটির মাধ্যমে আপনি প্রাথমিক ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে এডভান্স ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা এবং শেষ পর্যন্ত একজন শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার ধাপগুলোর সম্পূর্ণ নির্দেশিকা পাবেন। 

এই ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটি আপনাকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (freelancing career) গড়তে, ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বিকাশ করতে এবং ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্স চাকরি পেতে টিপস ও কৌশল শিখতে সহায়তা করবে। কোনোরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই শুরু করার জন্য নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে এখনই কোর্সটি এনরোল করুন!

চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি)।

ফ্রিল্যান্সিং কি / ফিল্যান্সিং মানে কি?

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। মূলত যারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। 

ফ্রিল্যান্সিং হলো কোন প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে মানুষ শত বছর ধরে। যেমন একজন রিক্সাওয়ালাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ সে অন্যের রিক্সা চালায়, ইচ্ছা হলে প্যাসেঞ্জার নেয়, নাহলে নেয় না। তার ফ্রিডম আছে। ইদানিং ফটোগ্রাফাররাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ তারা কোথাও ফটোগ্রাফার হিসাবে চাকরি না করে বরং অনুষ্ঠান বেসিসে শুট করে আর পারিশ্রমিক নেয়।

ঘরে বসে Freelancing

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত গাইডলাইন।
  • আন্তজার্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (যেমন: Upwork, Fiverr) এ নিজের প্রোফাইল তৈরি এবং কাজ পাবার উপায়।

  • ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে আছে, বিশ্বে বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে শত কোটি টাকার। হিসেব মতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার আছে ৫ লক্ষাধিক। ফ্রিল্যান্সিং -এ যেমন রয়েছে সম্ভাবনা, তেমনি এ নিয়ে আছে প্রচুর ভুল ধারণা। ফ্রিল্যান্সিং কি, এই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষের সঠিক ধারণা না থাকায় এই ভুল ধারণাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদ। এ সব নিয়েও আলোচনা হবে এই লেখাতে।

    মনে করুন আপনি একজন সিনেম্যাটোগ্রাফার। এখন একটা ভিডিও এডিট করার জন্য আপনার একজন ভিডিও এডিটর প্রয়োজন। তখনই আপনি একটা বিজ্ঞাপনে দেখলেন একজন এডিটর কাজ খুঁজছেন। ব্যস, আপনি তাকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজটা করতে বললেন। এখানে ভিডিও এডিটর হলেন ফ্রিল্যান্সার, আপনি বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং বিজ্ঞাপনটি হলো মার্কেটপ্লেস।

    ফিল্যান্সিং
    সোর্স: Shift

    অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং -এ মূলত  ক্লায়েন্ট একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আপনাকে কাজ দিবে, আপনি সে কাজে চুক্তিবদ্ধ হবেন, নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজটা করবেন, আর সেটা অনলাইনের মাধ্যমেই ক্লায়েন্টকে ডেলিভার করবেন, আর ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমেই আপনাকে পেমেন্ট করবে। ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি) সে বিষয়ে নিশ্চয়ই একটা ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এখন একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সার, আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কী।

    ধরুন আপনি ভাল একাউন্টিং করেন। আমেরিকার এক ক্লায়েন্টের কোম্পানির ১৫ দিনের একাউন্ট অডিট করতে হবে। সে একটা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজটা অফার করল। অনেকের মতো আপনি অ্যাপ্লাই করলেন। আপনি কাজটা পেলেন। একটা এমাউন্ট পেমেন্টে চুক্তিবদ্ধ হলেন। কাজটা আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে সম্পন্ন করলেন, অনালাইনের মাধ্যমে আপনি সেটা ডেলিভার করলেন, ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে দিল।

    তাহলে,

    প্রশ্ন

    উত্তর

    ফ্রিল্যান্সিং কি?

    একটি মুক্ত পেশা

    ফ্রিল্যান্স কাজ কে করল?

    আপনি!

    ফ্রিল্যান্সার কে?

    আপনি!

    ফ্রিল্যান্সিং কে করল?

    আপনি!

    আউটসোর্স কে করল?

    ক্লায়েন্ট!

    আউটসোর্সার কে?

    ক্লায়েন্ট

    আউটসোর্সিং কে করল?

    ক্লায়েন্ট!

    অর্থাৎ আপনি কখনই আউটসোর্সিং করছেন না। সেটা করছে ক্লায়েন্ট! কেউ যদি ক্লেইম করে সে আউটসোর্সিং শেখাবে, তাকে প্রতারক বলে গণ্য করুন, কারণ সে নিজেই জানে না আউটসোর্সিং কি। সে প্রতারণা করছে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজ না, কেউ যদি ক্লেইম করে সে ফ্রিল্যান্সিং শেখাবে, সে ক্ষেত্রে সে-ও প্রতারক।

    আশা করি বুঝে গিয়েছেন আউটসোর্স, আউটসোর্সার, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার ও ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি)। কিন্তু কেন করবেন ফ্রিল্যান্সিং?

    ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কেন গড়বেন?

    ফ্রিল্যান্সিং সহজ কাজ নয়। তেমনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের আয় ও কম নয়।

    ফ্রিল্যান্সিং লাইফ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সফল হওয়ার পেছনের গল্প শুনলে আপনি তাকে ‘লিজেন্ড’ খেতাব দিবেন। কারণ সফলতার পেছনের গল্প আনন্দের হয়না, অনেক স্ট্রাগল থাকে। রাতের পর রাত কোন কাজ শেখা, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখা, বই পড়া, কাজগুলো প্র্যাক্টিস করা, ধৈর্য ধরে টাকার আশা  না করে কাজে দক্ষ হওয়ার জন্য মাসের পর মাস সময় দেয়া, এসব থাকে একজনের সফলতার পেছনে।

    একটা উদাহরণ দেয়া যাক।

    আপনি ধরুন বিবিএ পড়ছেন। ফিন্যান্স নিয়ে। পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে ২০ বছর। ২০ বছর পড়াশোনা করা আপনি একটা জবে ফ্রেশার হিসেবে এপ্লাই করেন, যার সেলারি ১৫ হাজারের মত। অনেকবার রিজেক্ট হতে হয়, কারণ আরও শত-শত এপ্লাই করছে। শেষমেশ একটা জব পান।

    ফিল্যান্সিং মানে কি
    Image source: Wave Accounting

    ১৫ হাজারের জব করার জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন দু-বার না ভেবে। পড়াশোনা শেষ করে একটা লোকাল জবের জন্য প্রতিযোগীতায় নামলেন একই শহরের অন্যদের সাথে, যারা কিনা আপনার লেভেলের পড়াশোনাই করেছে।

    এবার ভাবুন ফ্রিল্যান্সিং এর কথা, এমেরিকার একটা কোম্পানি তাদের একটা জব আউটসোর্স করল মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। ২ সপ্তাহের প্রজেক্ট, ১ হাজার ডলার। এপ্লাই করল কারা? সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওপেন, (ছোট শহর নয়), বিশ্বের টপ প্রফেশনালরা এপ্লাই করল, আপনিও করলেন। তার মানে? এবার আপনার প্রতিযোগীতার লেভেল কোথায়?

    এবার ভাবুন, এই লেভেলে প্রতিযোগিতার জন্য আপনি শুধু ২ মাসের কোর্স করেই দক্ষ হতে পারবেন? অবাস্তব নয়?

    হ্যাঁ এটা সত্যি যে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে মাসে লাখ টাকা আয় করা যায়, সার্ভেতে দেখা যায়, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয় মাসে ২ লাখের উপর। কিন্তু তারা ২ মাসে কোর্স করে এত দূর আসেনি। তারা অন্তত এক বছর  সময় নিয়ে টাকা আয়ের কথা না ভেবে শেখার উপর জোর দিয়েছিল!

    যেখানে ১৫ হাজার টাকার জবের জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন, মাসে কয়েক লক্ষ আয় করতে, বিশ্বের টপ-লেভেল প্রফেশনালদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে ১-২ বছর সময় দিয়ে কাজ শিখবেন না?

    কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

    আপনি যেই কাজে দক্ষ শুধু সে কাজগুলোই ফ্রিল্যান্স হিসেবে করবেন। কাজের জন্য নিয়মিত বিড করবেন। আপনি যা জানেন তা দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন:

    ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কপি রাইটিং, মার্কেটিং, টাইপিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, ভার্চুলাল এসিস্ট্যান্ট এর মতো কাজগুলোর জন্যে প্রচুর বিড আসে৷ তাই এমন কাজ পেতে হলে একজন ফ্রিল্যান্সারকে বেশ বড় রকমের একটা প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়।


    তুলনামূলক কঠিন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং- এমন সব কাজ। এমন কাজে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, প্রতিযোগিতাও কিছুটা কম। কিন্তু এসব কাজ নিখুঁতভাবে করতে হবে।

    কাজের অভিজ্ঞতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি হলে আয়ও বেশি হয়। কোনো কাজ না জানলে শিখে নিন। আজ না হোক, কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

    ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কিছু ধাপ:

    • আগে জানুন এই খাতে কোন কোন ফিল্ড আছে।
    • তারপর ভেবে দেখুন আপনার এখন যে ব্যাকগ্রাউন্ড, স্কিল এবং ইন্টারেস্ট; সেটার সাথে কোন ফিল্ড মিলে যায়।
    • বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঐ ফিল্ডগুলোর এখন পোস্ট করা জবগুলো ঘেঁটে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন এ ধরণের কাজে কী কী স্কিল লাগে।
    • ঠিক করার পর এবার সেই স্কিলগুলো শেখার কথা ভাবুন। অনলাইনেই শেখা যায় ধৈর্য থাকলে। এদেশে প্রথম সারির ফ্রিল্যান্সাররা নিজে নিজেই শিখে সফল।
    • কারও কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন এই সময়ে এসে, স্কিল্ড হওয়ার পর পরামর্শ নিন কীভাবে ফিল্ডে নামা যায়। প্রথমেই ‘ভাই, ইনকাম করার সহজ পথ বলেন’ বলে কাউকে ইরিটেট করবেন না।
    • চেষ্টা করতে থাকেন, ফেইল করলে ভুলগুলো শুধরে আবার ট্রাই করেন। যে কাজে আপনাকে এক্সেপ্ট করেনি, সে কাজ নিজেই করুন, সেম্পল প্রজেক্ট হিসেবে প্র্যাক্টিসও হবে, পোর্টফোলিও হবে।
    • ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায় চিন্তা না করে স্কিল ডেভেলপ করার দিকে মনোযোগী

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?

    মার্কেটপ্লেস বা ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো মূলত বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বিশ্বের নানান প্রান্তের বায়াররা তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করানোর জন্য ঐ কাজটিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকেন। মার্কেটপ্লেসে পুরো ব্যাপারটা ঘটে সুসংগঠিত একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

    Data Entry দিয়ে Freelancing

    কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার জন্য ডাটা এন্ট্রি স্কিল
  • প্রফেশনালভাবে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং জগতে টাকা উপার্জন করার উপায়


  • প্রথমে ক্লায়েন্টরা মার্কেটপ্লেসে এসে সেখানে তারা ফ্রিল্যান্সারদের করা বিভিন্ন বিড পর্যালোচনা করে দেখেন। একজন ফ্রিল্যান্সার তার করা বিডে বলে দেন যে তিনি কাজটি কত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারবেন আর কতো পারিশ্রমিক নিবেন। ক্লায়েন্ট এরপর সব বিড থেকে যেটিকে সবচেয়ে ভালো মনে করবেন, সেটিই গ্রহণ করবেন। তারপর ফ্রিল্যান্সারদের কাজ শেষ হয়ে গেলে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ পরিশোধ করে দেওয়া হয়। তবে আপনার আয় করা অর্থ থেকে মার্কেটপ্লেস কিছু অর্থ কেটে রেখে বাকিটা আপনার একাউন্টে জমা করে দিবে।

    কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো:

    মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ পাবেন?

    কোথাও চাকরির আবেদন করতে হলে যেমন প্রতিষ্ঠানের নিকট আপনার বায়োডাটা জমা দিতে হয় ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং করতে হলেও আপনার একটি বায়োডাটা বা প্রোফাইল প্রয়োজন। 

    আপনার প্রোফাইলটিকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে আপনি যখন বিড করবেন, তখন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখেই আকৃষ্ট হয়। একটা প্রোফাইল বানাতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

    ১. আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলে ঢুকেই সর্বপ্রথম যা চোখে পরে তা হচ্ছে আপনার ছবি। প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ফরমাল ছবি ব্যবহার করবেন।

    ২. আপনার স্কিল অনুযায়ী টাইটেল-ট্যাগ-ডেসক্রিপশন লিখবেন। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট, সে বিষয়টি নিয়ে দুই-একটা কাজ সেখানে রাখতে হবে। যেমন, আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনে ভালো হন, তাহলে আপনার আঁকা কোনো ছবি প্রোফাইলে যোগ করে দিতে পারেন। আপনি এই পর্যন্ত যত ফ্রিল্যান্স কাজ করেছেন তার স্ক্রিনশট নিয়ে উক্ত কাজের বিবরণ এবং লিংক আপনার প্রোফাইলে যোগ করতে পারেন।

    ৩. Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল মেজারমেন্ট নামে একটা পরীক্ষা দেয়া যায়। এগুলোতে অংশগ্রহণ করলে সেটি প্রোফাইলের জন্যে মন্দ হবে না কিন্ত!

    ৪. আপনি কী রকম ঘন্টা প্রতি রেটে কাজ করতে আগ্রহী তার একটি সাধারণ ধারণা ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলে দেয়া ঘন্টাপ্রতি রেট থেকে পায়। এটা ভেবেচিন্তে লিখবেন। 

    ৫. একাউন্ট খোলার সময় কোন ফেক তথ্য দিবেন না। আপনার একাউন্টের নাম, এনআইডি এবং ব্যাংক একাউন্ট: সব জায়গায় নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি একই হতে হবে।

    ফ্রিল্যান্সার হতে যা যা প্রয়োজন:

    ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে কোন কোন দক্ষতা কাজে লাগবে, সেই দক্ষতা সম্পর্কে জানা এবং দক্ষতাগুলো অর্জন করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান আর যদি না জানেন যে ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে কোন দক্ষতা কাজে লাগবে, তাহলে আপনার কাজ শুরু করাটা বেশ কঠিন হবে। আর আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই আপনাকে কাজ দেওয়া হয়।

    ফ্রিল্যান্সার হতে যা যা প্রয়োজন

    কম্পিউটার চালানোর বেসিক স্কিল
    • কম্পিউটার অন অফ করতে পারা
    • যেকোনো সফটওয়্যার ইনস্টল এবং আনইনস্টল করতে পারা
    • কম্পিউটারে লেখালেখির কাজ করতে পারা
    • MS Word, MS Excel, MS PowerPoint ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় টুলসগুলোর ব্যবহার করতে পারা।
    • ফাইল ট্রান্সফার করতে পারা।
    • কম্পিউটারের বেসিক ট্রাবলশুটিং সম্পর্কে জানা, ইত্যাদি।
    ইন্টারনেটইন্টারনেট কানেকশনের সাথে পরিচিত থাকা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারা।
    ইংরেজি ভাষার দক্ষতাফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনাকে বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলা এবং কাজ বুঝিয়ে দেওয়া লাগবে, অনেক বাহিরের ব্লগ পড়তে হবে, অনেক মার্কেটপ্লেসে জয়েন থাকতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
    দক্ষতা অর্জনফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনি কোন বিষয়ে (গ্রাফিক ডিজাইন, মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি) দক্ষ, তা ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্স কাজ করা বেশ কঠিন।
    আত্মবিশ্বাসআপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোনো কাজ নেওয়ার সময় অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে আপনি কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন কি না। এ জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে আপনি তার কাজের জন্য উপযুক্ত
    প্রবলেম সলভিং স্কিলকাজ করার সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশল জানতে অনলাইনে দ্রুত এবং সঠিকভাবে তথ্য খোঁজার কৌশল জানতে হবে। কারণ, ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যেই বেশকিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সমাধান করা সম্ভব।
    ফ্লেক্সিবিলিটিক্লায়েন্টের সমস্যা সমাধানের মনমানসিকতা থাকতে হবে। কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে কাজ জমা দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, ক্লায়েন্টের চাহিদামতো একাধিকবার জমা দেওয়া কাজে পরিবর্তন আনার মানসিকতাও থাকতে হবে। বিরক্তবোধ করা যাবে না, এতে বাজে রেটিং পেতে পারেন।

    ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (freelancing career) গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু জেনে গেলেন। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়?

    ফ্রিল্যান্সিং আয়: ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়?

    এই পেশাতে উপার্জনের কোন লিমিট নেই এবং মাসিক উপার্জন সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি যদি ভালোভাবে কাজ করলে মাসিক ১০,০০০ ডলারেরও বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

    অনেকেই মনে করেন, দুই থেকে চার মাস ফ্রিল্যান্সিং করলেই অনেক টাকা আয় করা যায়। এ ধারণা একদম ভুল। ভালোভাবে যেকোনো কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় প্রথমে আয়ের পরিমাণ খুব কম থাকে। ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পেতেও অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়। আর তাই হাতে যথেষ্ট সময় এবং ধৈর্য থাকলেই কেবল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের চিন্তা করতে হবে। 

    টাকার চিন্তা করার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি কি কাজ পারেন কিংবা আপনি কাজ করতে আগ্রহী না কি। যদি পারেন তবে কেমন পারেন এবং আপনি কতো সময় দিতে পারবেন। 

    বর্তমানে সবথেকে বেশি আয় হয় ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিএফএক্স এইসব থেকে।

    এছাড়াও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রযুক্তিনির্ভর কাজের সংখ্যা বেশি থাকায় নিজেকে প্রযুক্তিতে সবসময় হালনাগাদ রাখতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত আয়ের মানসিকতা বাদ দিয়ে সময় নিয়ে ভালোভাবে কাজ শেষ করতে হবে।

    ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়
      Image Source: Flexjobs

    কীভাবে পারিশ্রমিক পাবেন?

    অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার পর সঠিক জ্ঞান না থাকলে নানা কারণে প্রতারিত হয়ে অর্থ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। ইন্টারনেট কিন্তু খুব নিরাপদ কোন জায়গা নয়। তাই সঠিক পদ্ধতি না জানলে খুব সহজেই আপনি বোকা বনে যেতে পারেন। মার্কেটপ্লেসগুলোর পেমেন্ট অপশনে গেলে জানা যায়, সেই সাইটগুলো কোন কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে।

    পেপ্যাল বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় এবং অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত একটি মাধ্যম। তবে বাংলাদেশে পেপাল এর সার্ভিস না থাকার কারণে এ দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন থেকে আয়ের অর্থ উত্তোলন করা অনেক বেশি কষ্টকর ছিল। 

    পেওনিয়ার অনেকটাই সে সমস্যা দূর করে দিয়েছে । বর্তমানে প্রায় সব মার্কেটপ্লেসেই পেপালের বিকল্প হিসেবে পেওনিয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী ফ্রি মাস্টারকার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। পেওনিয়ারের প্রিপেইড, ডেবিট, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন কিংবা পেমেন্ট করতেও পারবেন।

    ফ্রিল্যান্সিং -এর সুবিধা

    ফ্রিল্যান্সিং যেমন প্রচুর সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

    ১। কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা:

    এখানে কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা মানে, আপনি চাইলে অর্ডার নিতেও পারেন, আর আপনার যদি সমস্যা থাকে তাহলে অর্ডার নাও নিতে পারেন! কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়াই আপনি কাজ থেকে ছুটি নিতে পারেন। তবে, আপনি যদি কোন কাজ নিয়ে থাকেন, তাহলে নির্দিষ্ট ডেডলাইনের মধ্যে সেই কাজ জমা দেওয়া আপনার জন্য আবশ্যক!

    ২। সময়ের স্বাধীনতা:

    এর কোনো বাধাধরা সময় নেই, যেকোন সময় কাজ আসতে পারেন, আবার নাও আসতে পারেন। ফিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি একটি অর্ডার নিলে সেই অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট ডেডলাইন থাকে। আপনাকে এই সময়ের মধ্যে বায়ারের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু, আপনি কাজটি সকালে করবেন না বিকালে, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার! এটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (freelancing career) গড়ার অন্যতম সুবিধা।

    ৩। ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা:

    আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, কাজ ঠিক মতো করে জমা দিতে পারলেই বায়ার খুশি!

    ৪। নিজের পছন্দের কাজ করার স্বাধীনতা:

    ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি চাইলে কাজ নিবেন, আর না চাইলে কাজ নিবেন না, সেটা সম্পুর্ণ আপনার ব্যাপার! কেউ আপনাকে সেই জন্য কিচ্ছু বলবে না, বা তাদের সেই অধিকার নেই! 

    ৫। নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারনের স্বাধীনতা:

    ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি কাজের জন্য কেমন পারিশ্রমিক নিবেন তা নিজেই ঠিক করে নিতে পারবেন।

    ৬। একই সময়ে কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করার স্বাধীনতা:

    একজন ফ্রিল্যান্সার চাইলে একই সাথে বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। আসলে, ফ্রিল্যান্সিং এর এই কাজ গুলো সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত হয় না! তাই, একজন চাইলে এক সাথে একাধিক কোম্পানিতে সার্ভিস দিতে পারবেন।


    ঘরে বসে Freelancing

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জেনে এবং বিগিনার স্কিল শিখে শুরু করুন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। আজই এনরোল করে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন এবং স্বল্প সময়ে ঘরে বসে আয় শুরু করুন।

     

    ফ্রিল্যান্সিং -এর অসুবিধা:

    ১। প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগে:

    ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করতে অনেকে পারে না। সেজন্য অসুবিধা হতে পারে। কাজের কোন নিরাপত্তা বা গ্যারান্টি নাও হতে পারে।

    ২। সব মাসে সমান উপার্জন হয় না:

    ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক বড় একটি সমস্যা হচ্ছে, এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে সমান উপার্জন করতে পারবেন না! দেখা গেল, আপনি এক মাসে ২০টি অর্ডার পেয়ে ৫০০০ ডলার উপার্জন করলেন। আবার দেখা গেল পরের মাসেই মাত্র ৫টি অর্ডার পেলেন যার মূল্য হয়তো ২০০ ডলার।

    ৩। সামাজিক মর্যাদা:

    আমাদের দেশের মানুষ এখনো প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে আর সেই কারণে অনেকেই ফ্রিল্যান্সারদেরকে মূল্যায়ন করে নাহ। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিকভাবে কিছুটা হীন দৃষ্টিতে দেখা হয়।

    ৪। অতিরিক্ত কাজের কারণে শারীরিক সমস্যা:

    দেখা যায়, অনেকেই আছেন যারা ঘুমের থেকে উঠে কম্পিউটারে বসেন আর ঘুমানোর আগে কম্পিউটার ছাড়েন। এই সব মানুষদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। ধীরে ধীরে ব্যাক পেইন, শোল্ডার পেইন, মাইগ্রেনের সমস্যা, চোখের সমস্যা, ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

    তাই সব সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন। আপনার যদি একটি স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, ইংরেজি ভাষা জ্ঞান, নতুন কিছু শেখার মানসিকতা ও ধৈর্য থাকে, তাহলে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার!

    ফ্রিল্যান্সিং কি সবাই করতে পার? কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার:

    • যাদের অতিরিক্ত লোভ নেই।
    • যারা কাজ শেখার ধৈর্য রাখে।
    • যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মত কমিউনিকেশন জানে।
    • যারা শর্টকাটে টাকা আয় করতে চায় না।
    • যাদের জীবনে কিছু করার প্রবল ইচ্ছে আছে।
    • যারা সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়।
    • যাদের শেখার প্রবণতা আছে।

     যারা এ পথে না আসলে ভাল করবেন:

    • যারা সবসময় চিন্তা করে ফ্রিল্যান্সিং করে কত আয় করা যায়।
    • যারা সহজে আয়ের পথ খুঁজছেন।
    • যারা চাকরির বা অন্য পেশার পাশাপাশি সাইড ইনকাম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কে ভাবছেন।
    • যারা মনে করছেন শেখা শুরুর ১৫দিন – ১ মাসের মধ্যেই কারিকারি টাকা আয় করবেন।
    • যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন ‘ঘরে বসে লাখ টাকা’ দেখে এই পেশার জন্য আগ্রহী হয়েছন।
    • যারা ফ্রিল্যান্সিং কে খুব সহজ ভাবেন।

    ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু ভুল ধারণা:

    • ট্রেইনিং সেন্টারে গেলেই সফল হওয়া যায়!
    • CAPTCHA এন্ট্রি, ফেইক লাইক, পিটিসি, BET365 এগুলো ফ্রিল্যান্সিং!
    • ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ, দিনে ২ ঘন্টা সময় দিলেই হাজার টাকা!
    • ফ্রিল্যান্সিং মানে SEO.
    • ফ্রিল্যান্সিং আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য, বিজনেস, নন-আইটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছেলে মেয়েদের জন্য না।
    • ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটি ওরিয়েন্টেড ফিল্ডে কাজ করতে হবে।

    ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে প্রতারণা থেকে সাবধান!

    যে খাতই ভাল করে, সে খাতের নাম ব্যবহার করে কিছু প্রতারক প্রতারণা করা শুরু করে। তেমনি এখন বেশ জমজমাট আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং এর নামে ট্রেইনিং প্রতারণা। বেশিরভাগ ট্রেনিং সেন্টার গুগল-ইউটিউব বা অন্যান্য ভাল মেন্টরের লেখা পড়ে মুখস্থ করে সেটা শেখানোর জন্য ট্রেনিং খুলে বসে।

    একটু ভাবুন, আপনাকে সফল হওয়ার মেন্টরশিপ সে-ই দিতে পারবে, যে ঐ কাজে নিজে সফল। কিন্তু যে নিজেই কাজ করেনা বা করেনি, সে কি করে আপনাকে ট্রেইনিং দিতে পারবে?

    এসব ট্রেনিং সেন্টারের মালিক / ট্রেইনারদের ব্যাকগ্রাউন্ড খোঁজ নিলে দেখবেন, তারা নিজেরা অন্য ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করেছিল, নিজেরা ঐ কাজে দক্ষ হতে পারেনি, সফল হতে পারেনি। তো কি করবে? যা শিখেছে তা অন্যকে শিখিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়, আর ট্রেনিং করার জন্য অর্থলোভী মানুষের তো দেশে অভাব নেই।

    আরেকদল আরও এক ধাপ এগিয়ে। তারা অবৈধ-সাইবারক্রাইমকে ফ্রিল্যান্সিং বলে চালিয়ে দেয়, আর এ সম্পর্কে জানেনা এমন ছেলেমেয়েদের কাজ করায় তাদের প্রতিষ্ঠানে।

    CAPTCHA এন্ট্রি, ফেসবুক ফেইক লাইক, পিটিসি (Clicksense, trafficmonsoon), আর এখন নতুন যুক্ত হয়েছে Bet365.

    এগুলো পিওর সাইবারক্রাইম এবং অবৈধ। এগুলোর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন যোগসূত্র নেই। বছর কয়েক আগে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর নামে এসব অবৈধ কাজ হচ্ছে বলে বিশ্বের নামকরা কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদনও আসে।

    আচ্ছা, এত নেগেটিভ দিক কেন আলোচনা করা হল?

    আমার একটা বিশ্বাস হল, মানুষ কোন কাজে সফল না হতে পারার কারণ হল তারা সঠিক পথে না গিয়ে ভুল পথে যায়। আপনি যদি তাদের ভুল পথ সম্পর্কে সাবধান করে দিতে পারেন, তারা কোন না কোনভাবে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।


    @টেন মিনিট স্কুল

    কোন মন্তব্য নেই

    Blogger দ্বারা পরিচালিত.