ফ্রিল্যান্সিং হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা-কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসে তাদের কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারেন। মূলত ফ্রিল্যান্স এর কাজে স্বাধীনতা থাকে বলে ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা হিসেবে সকলের কাছে অনেক প্রিয় একটি পেশা।
ফ্রিল্যান্সিং কি ?
ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজের চুক্তি করে সেই কাজ শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে আয় করাকে সংক্ষেপে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
আর ও সহজ ভাবে যদি বলি এক কথায়- নিজের স্কিল বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট থেকে উপার্জন করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি?
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে স্বাধীনতা রয়েছে। কাজের জন্য কোন দায়বদ্ধতা থাকে না এবং কারো বকাঝকা খাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
- যে কোন সময় ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
- নগদ কোন টাকা বিনিয়োগের দরকার হয় না
- একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটর সাহায্যে কাজ শুরু করতে পারবেন।
- আপনি আপনার নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।
- আপনার কোন Boss নেই। আপনি নিজেই আপনার বস।
- চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।
- ঘরে বসে কাজ করা যায়।
- কোন অফিস এর প্রয়োজন হয় না।
জানেন কি করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো জব করছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা।
নানান কারনেই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্বিক ফ্রিল্যান্সিং জবই বর্তমানে অনেক নিরাপদ এবং এটিই সবচেয়ে ভালো বাংলাদেশের তরুনদের জন্য।
লকডাউনে শুধু শুধু বাসায় অলস বসে না থেকে নিজের দক্ষতাকে নিয়ে যান আরো একধাপ এগিয়ে, তৈরি হন ফ্রিল্যান্সিং জবের জন্য।অনলাইনে দক্ষতা বৃদ্ধি করে নিজের ক্যারিয়ারকে প্রতিষ্ঠিত করুন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে।
ফ্রিলান্সিং কিভাবে করব?
মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইনে ফ্রিলান্সিং কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে ফ্রিলান্সিং করে আয় করতে পারবেন।
আগে যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এরপর? এরপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে একটু সময় দিতে হবে। ঘাটাঘাটি করতে হবে। যারা অনেক দিন থেকে কাজ করে, তাদের প্রোফাইল দেখতে হবে। তাদের প্রোফাইল দেকে তাদের প্রোফাইলের মত নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে।
এবং ইংরেজীতে একটু দক্ষ হতে হবে। এমন না যে ফ্লুয়েন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে বা লিখতে হবে। অন্তত একটি জব পোস্ট পড়ে কি কি করতে বলছে, কি কি করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার মত ইংরেজী জ্ঞান থাকতে হবে।
অনলাইনে ফ্রিলান্সিং কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই।কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে ফ্রিলান্সিং করে আয় করতে পারবেন।নতুনদের জন্য ফ্রিলান্সিং ফাইভার মার্কেটে কাজ করা টাই ভাল।
শেষ কথা
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে স্টেপ বাই স্টেপ আপনাকে সামনে আগাতে হবে। আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার মত লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার প্রতিযোগিতা করেই টিকে রয়েছে। তাই এখানে সফল হওয়ার কোন শর্টকাট পদ্ধতি নেই। এরকম পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন
কোন মন্তব্য নেই