উদ্ভিদবিজ্ঞান নিয়ে কেন পড়বেন || উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়ে কি হওয়া যায় || মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ

কেন পড়ব উদ্ভিদবিজ্ঞান



গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু শক্তি কমিশন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, খাদ্য অধিদপ্তর, পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, এনআইবি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরিবেশসম্পর্কিত বিভিন্ন এনজিও, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফার্মাসিউটিক্যাল ইনস্টিটিউট, বায়োটেকনোলজির যতগুলো ল্যাবরেটরি হয়েছে সেখানেও প্রয়োজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী। একইভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের কাজও করছেন তাঁরা। 

আমাদের শিক্ষার্থীরাই এ রকম বিভিন্ন খাতে কাজ করে যাচ্ছে। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভিদবিজ্ঞানী ছাড়া চলবে না। সেখানে কাঁচামালের জন্য উদ্ভিদ লাগে। অন্যদিকে ইনসুলিনও ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি। সব ভেষজ ওষুধ তৈরি হয় উদ্ভিদ থেকে। উদ্ভিদবিজ্ঞান শুধু উদ্ভিদের ক্ষুদ্র একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই। এর বিস্তৃতি অনেক বড়। আমাদের টেকসই প্রযুক্তির সাহায্যে এটাকে কাজে লাগাতে হবে দেশের কল্যাণে। 

কারা পড়বে

জীববিজ্ঞানের প্রতি যাদের ভালোবাসা রয়েছে, পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করতে চায়, যারা উদ্ভিদ পছন্দ করে—তাদের জন্য এ বিষয়। এ বিষয় নিয়ে পড়ে অনেক ধরনের কাজ করার
সুযোগ রয়েছে। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে, দেশ ও জাতির উপকারে আসা যাবে। জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। ব্লু ইকোনমির কথাই ধরা যাক, বঙ্গোপসাগরজুড়ে আমরা সি উইড চাষ করতে পারি। আবার যেমন বর্তমানে ফুলের চাষ থেকে লাভবান হওয়া যাচ্ছে। 

যারা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবে, বিজ্ঞানের নতুন নতুন ধারা উন্মোচন করতে চায়, পরিবেশের ও মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চায়, তাদের জন্যই উদ্ভিদবিজ্ঞান। কারণ, বিজ্ঞানের বিশাল এই অংশে প্রবেশ করতে পারলে তুমি নতুন করে শেখার, জানার, বোঝার ও চর্চা করার সুযোগ পাবে। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.