জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর CGPA গ্রেডিং পদ্ধতি বের করার নিয়ম, ২য় পার্ট




জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম:
Mark RangeGrade Point (GP)Letter Grade (LG)Division
৮০-১০০৪.০০A+১ম বিভাগ
৭৫-৭৯৩.৭৫A১ম বিভাগ
৭০-৭৪৩.৫০A-১ম বিভাগ
৬৫-৬৯৩.২৫B+১ম বিভাগ
৬০-৬৪৩.০০B১ম বিভাগ
৫৫-৫৯২.৭৫B-২য় বিভাগ
৫০-৫৪২.৫০C+২য় বিভাগ
৪৫-৪৯২.২৫C২য় বিভাগ
৪০-৪৪২.০০D৩য় বিভাগ
০-৩৯০.০০Fail
——–

NU CGPA নির্ণয়:

১ বছরের CGPA নির্ণয : এক বছরে মোট অর্জিত পয়েন্ট এক বছরে মোট অর্জিত ক্রেডিট।

এক বছরে মোট অর্জিত পয়েন্ট : কোন বিষয়ে প্রাপ্ত পয়েন্টকে ঐ বিষয়ের ক্রেডিট দিয়ে গুন। এভাবে সকল সাবজেক্টের পয়েন্টকে তাদের ক্রেডিট দিয়ে গুন দিয়ে সব গুনফলকে যোগ করে পাওয়া যাবে “এক বছরের মোট অর্জিত পয়েন্ট”।
.
এক বছরের মোট অর্জিত ক্রেডিট : পাশ কৃত সকল বিষয়ের ক্রেডিট যোগ করে পাওয়া যাবে “এক বছরের মোট অর্জিত ক্রেডিট”

Ex : বিষয়ভিত্তিক পয়েন্ট × তার ক্রেডিট :
A-= 3.50×4 =14 ;
B+=3.25×4=13;
A+=4.00×4 =16;
B+=3.25×4=13;
A-=3.50×4=14;
B+=3.25×4 =13;

সুতরাং মোট অর্জিত পয়েন্টস :
14+13+16+13+14+13=83

এবং মোট অর্জিত ক্রেডিট :
4+4+4+4+4+4 = 24

মোট জিপিএ দাড়ায় : 83÷24=3.45
.
৪ বছরের CGPA নির্নয়: চার বছরের মোট অর্জিত পয়েন্ট (প্রথম বর্ষ + ২য় বর্ষ + ৩য় বর্ষ + চতুর্থ বর্ষ) ÷ পুরো কোর্সের মোট অর্জিত ক্রেডিট সংখ্যা।

চার বছরের মোট অর্জিত পয়েন্ট : জিপিএ নির্নয়ের প্রথম ধাপের ন্যায় সকল বর্ষের “মোট অর্জিত পয়েন্টস” গুলো পর পর যোগ করলে পাবেন চার বছরের মোট অর্জিত পয়েন্ট।

পুরো কোর্সের মোট অর্জিত ক্রেডিট : পুরো কোর্সের সকল পাশকৃত বিষয়ের ক্রেডিটের যোগ ফল হলো পুরো কোর্সের মোট অর্জিত ক্রেডিট।

Ex : চার বছরের মোট অর্জিত পয়েন্টস : 83+85+81+79=328

পুরো কোর্সের মোট অর্জিত ক্রেডিট :
24+24+26+28=102

অতএব, মোট CGPA : 328÷102=3.21

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রেডিং সিস্টেম ও সিজিপিএ নির্ণয় করার পদ্ধতি 2023



GPA(Grade Point Average) এবং CGPA(Cumulative Grade Point Average) দুটি শব্দের সাথে আমরা পরিচিত। এর মধ্যে জিপিএ আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করার পর হিসেব করতে পারলেও অনার্স ডিগ্রী মাস্টার্স এ এসে বুঝতে পারি না সিজিপিএ কিভাবে বের করব।

৪ বছরের কোর্সে প্রতি বছর আপনি যে মার্ক অর্জন করবেন সেটার গড়কে বলা হয় GPA আর ৪ বছরের মোট রেজাল্টের গড়কে বলা হয় CGPA.

অনার্স ডিগ্রী মাস্টার্সের প্রতি ইয়ারে সাবজেক্ট ভিত্তিক ক্রেডিট থাকে। এটা আপনার সিলেবাসে প্রতিটা সাবজেক্ট এর পাশেই লেখা দেখবেন।

কোর্স ভিত্তিক নাম্বারের ভিন্নতা থাকতে পারে। যেমন সব কোর্স ১০০ নাম্বারের হয় না। কিছু কোর্স থাকে দুটো ৫০ করে ১০০ নাম্বার। এক ইয়ারে আপনি যে বিষয়গুলা পড়বেন এদের প্রত্যেকটিকে একেকটি কোর্স বলা হয়।

তাহলে ধরি আপনি প্রথম বর্ষে মোট ৬ টি সাবজেক্ট পড়ছেন। প্রত্যেকটা ৪ ক্রেডিট করে মোট ২৪ ক্রেডিট। এবার পরীক্ষায় প্রত্যেক সাবজেক্টে আপনি পেয়েছেন ৪০ করে। তাহলে ৪০ পেলে ২ পয়েন্ট পেয়েছেন প্রতি সাবজেক্টে। তাহলে ৬টি সাবজেক্টে পেয়েছেন (৬*৮) মানে ৪৮ পয়েন্ট। উপরে লক্ষ্য করুন প্রতিটা সাবজেক্ট এর পাশে ঠিক কত নাম্বার পেলে কত পয়েন্ট হবে সেটা লেখা আছে। তাহলে ৪৮/২৪ তাহলে আপনার সিজিপিএ ২।

এবার প্রতিটা সাবজেক্টে যদি আপনি ৮০ নাম্বার করে পান আপনার পয়েন্ট প্রতিটায় হবে ১৬ করে। তাহলে ৬টি সাবজেক্ট কে গুণ করবেন ১৬ দিয়ে। মানে ১৬*৮=১২৮/২৪= ৪ মানে আপনার সিজিপিএ ৪।

আশা করি যারা গ্রেডিং সিস্টেম ও সিজিপিএ নির্ণয় করার পদ্ধতি জানতেন না তারা অনেকটাই জানতে পেরেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ সবার আগে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন৷ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম ও সিজিপিএ নির্ণয় করার পদ্ধতি। অনার্স ১ম, ২য়, ৩য় ,৪র্থ বর্ষের জিপিএ হিসেব করার নিয়ম।


আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম CGPA গ্রেডিং পদ্ধতি বের করার নিয়ম সম্পর্কে ।
আশা করছি CGPA গ্রেডিং পদ্ধতি বের করার নিয়ম |  বলতে কি বুঝায় বিষয়টা আপনার ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন।
CGPA গ্রেডিং পদ্ধতি বের করার নিয়ম  নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.